উত্তর : এ বিষয়ে সামান্য মতভেদ রয়েছে। একই কথা ইফতারের ক্ষেত্রেও। তবে সবচেয়ে নিরাপদ হল, উক্ত ছিয়ামের পরিবর্তে আরেকটি ছিয়াম রাখা। বরং অধিকাংশ আলেমের মত হল, আরেকটি ছিয়াম রাখা অপরিহার্য। আসমা বিনতে আবূ বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন,
أَفْطَرْنَا عَلَى عَهْدِ النَّبِىِّ ﷺ يَوْمَ غَيْمٍ ثُمَّ طَلَعَتِ الشَّمْسُ. قِيْلَ لِهِشَامٍ فَأُمِرُوْا بِالْقَضَاءِ قَالَ بُدٌّ مِنْ قَضَاءٍ. وَقَالَ مَعْمَرٌ سَمِعْتُ هِشَامًا لَا أَدْرِىْ أَقْضَوْا أَمْ لَا
‘নবী (ﷺ)-এর যুগে একদা মেঘাচ্ছন্ন দিনে আমরা ইফতার করলাম, এরপর সূর্য দেখা যায়। বর্ণনাকারী হিশামকে জিজ্ঞেস করা হল, তাদের কি ক্বাযা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল? হিশাম (রাহিমাহুল্লাহ) বললেন, ক্বাযা ব্যতীত উপায় কী? (অপর বর্ণনাকারী) মা‘মার (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আমি হিশামকে বলতে শুনেছি, তাঁরা ক্বাযা করেছিলেন কি না তা আমি জানি না’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৯৫৯)। ইবনু হাজার ‘আসক্বালানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
وقد اختلف في هذه المسألة فذهب الجمهور إلى إيجاب القضاء، واختلف عن عمر فروى ابن أبي شيبة وغيره من طريق زيد بن وهب عنه ترك القضاء
‘এই মাসআলায় দ্বিমত সৃষ্টি হয়েছে। তবে অধিকাংশের মত হল, তা ক্বাযা করা আবশ্যক। ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) তা ক্বাযাা করার বিপক্ষে মত দেন। যা যায়েদ ইবন ওয়াহাবের সূত্রে ইবনু শায়বায় বর্ণিত’ (ফাৎহুল বারীঅ, ৪/২০০ পৃ.)।
অতএব অজ্ঞতাবশত কেউ সাহারীর সময় শেষ হওয়ার পরেও পানাহার করলে কিংবা সূর্য ডোবার পূর্বে ইফতার করলে করণীয় হল, মতবিরোধ থেকে বাঁচার জন্য উক্ত ছিয়ামটি পরবর্তীতে ক্বাযা করে নেয়াই অধিক নিরাপদ। আল্লাহই অধিক অবগত।
প্রশ্নকারী : আনোয়ার, কুড়িগ্রাম।