বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৮ অপরাহ্ন
উত্তর : ইমাম ইবনু সীরীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি স্বপ্নে কুরআন তিলাওয়াত করেন, তিনি যদি দ্বীনদার হয়ে থাকেন, তবে এটা তার মযবুত ঈমান ও তাক্বওয়ার নিদর্শন। সত্যিই যদি ঐ মহিলা আল্লাহর অনুগত বান্দী হয়, তবে তা তার মর্যাদা ও সম্মান বৃদ্ধির প্রতিও ঈঙ্গিত বহন করে। আর যদি ঐ মহিলা দ্বীনদার না হয়ে গুনাহগার হয়, তবে এর মাধ্যমে তাকে তওবাহ ও সৎকর্মের দিকে আহ্বান করা হচ্ছে। পাপ থেকে মুক্ত হয়ে স্বচ্ছ ও পবিত্র জীবনযাপন করার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। শরী‘আত ও সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরতে বলা হচ্ছে। স্বপ্নে যে আয়াতগুলো তিলাওয়াত করা হয়েছে সেগুলো যদি কুরআনের সাথে মিলে যায়, তবে তার উপর আমাল করা উচিত। আর যদি ভুল হয় তবে তা বর্জনীয়। এর মাধ্যমে শয়তান তাকে ভ্রষ্টতার দিকে ধাবিত করতে চাইছে (https://www.coffeear.com/woman-reads-koran-dream.htm)।

উল্লেখ্য যে, স্বপ্নের ব্যাখ্যা করা শরী‘আত সম্মত। কিন্তুু সব ব্যাখ্যাকে শরী‘আত মনে করা উচিত নয়। কেননা ব্যাখ্যা ভুলও হতে পারে। যেমনটি আবূ বকর ছিদ্দীক (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর ক্ষেত্রে হয়েছিল। তিনি একটি স্বপ্নের ব্যাখ্যা করতে চাইলে, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁকে বললেন, ‘ঠিক আছে তুমি এর ব্যাখ্যা দাও’। ব্যাখ্যা করার পর যখন তিনি নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সম্বোধন করে বললেন, আচ্ছা আমাকে বলুন, আমি ঠিক ব্যাখ্যা করেছি, না ভুল? নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, কিছু ঠিক বলেছ। আর কিছু ভুল বলেছ। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আল্লাহর কসম! আপনি অবশ্যই আমাকে বলে দিবেন যা আমি ভুল করেছি। নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, কসম কর না’ (ছহীহ বুখারী, হা/৭০৪৬; ছহীহ মুসলিম, হা/২২৬৯)। এ জন্যই ইমাম বুখারী (রাহিমাহুল্লাহ) ‘ভুল ব্যাখ্যাকারীর ব্যাখ্যাকে প্রথমেই চূড়ান্ত বলে মনে না করা’ মর্মে অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন (অধ্যায় নং-৯১, অনুচ্ছেদ নং-৪৭)।

ইসলামী শরী‘আতে স্বপ্ন তিন প্রকার। যথা : মনের কল্পনা, শয়তানের তরফ থেকে ভয় দেখানো এবং আল্লাহর তরফ হতে সুসংবাদ। তাই কেউ যদি অপসন্দনীয় কিছু দেখে তবে সে যেন তা কারো কাছে বর্ণনা না করে। বরং উঠে যেন ছালাত আদায় করে নেয়’ (ছহীহ বুখারী, হা/৭০১৭)। অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে, ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। তাই এ সময় আল্লাহর প্রশংসা করতে হয়। আর খারাপ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে আসে। তখন তা অন্যের কাছে প্রকাশ না করে শয়তানের অনিষ্ট থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাইতে হয় (ছহীহ বুখারী, হা/৭০৪৫)।


প্রশ্নকারী : খাদীজা মীম, নারায়ণগঞ্জ।




প্রশ্ন (৯) : ইক্বামতে ‘ক্বাদ ক্বা-মাতিছ ছালাহ’-এর জবাবে ‘আক্বা-মাহাল্লাহু ওয়া আদামাহা’ বলা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩): ইসলামে মুদারাবা কি হালাল? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : প্রচলিত রয়েছে যে, ইফতারের পূর্বমুহূর্তে দু‘আ কবুল হয়। উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : মায়ের সম্পদে মেয়েদের বা বোনদের অংশ কি বেশি থাকে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : কুরআনের আয়াত ও বিভিন্ন হাদীছ মানসূখ হওয়ার কারণ কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : সমাজে দেখা যায় যে, মৃত ব্যক্তির মাথার নিকট সূরা ফাতেহা এবং তার কবরে পায়ের দিকে সূরা বাক্বারার শেষের দিক থেকে কিছু আয়াত পাঠ করা হয়। শরী‘আতের দৃষ্টিতে উক্ত নিয়মের কোন ভিত্তি আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : যেকোন কাজ আল্লাহর জন্য করতে চাইলেও মনের মধ্যে রিয়া প্রভাব বিস্তার করে। যেমন ছালাতের ক্ষেত্রে, দান-ছাদাক্বার ক্ষেত্রে। এমতাবস্থায় কী করা উচিত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : সাংগঠনিক বায়‘আত সম্পর্কে শায়খ বিন বায এবং শায়খ ইবনু উছায়মীনের ফৎওয়া কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : কুরবানী করার সময় কোন্ দু‘আ পড়তে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : প্রতিবেশী যদি এমন ধরনের উম্মাদ পাগল ও মানসিক ভারসাম্যহীন হয় যে, যেকোন সময় গুরুতর বিপদ ঘটানোর আশঙ্কা থাকে। এমতাবস্থায় ইসলামের বিধান? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : প্রচলিত আছে যে, শিশুর বয়স ৫/৭ মাসে পড়লে কোন মসজিদে গিয়ে হুজুরের মাধ্যমে শিন্নি খাওয়াতে হবে এবং ঐ শিশুর সাথে আরেকটি শিশুর বন্ধু পাতাতে হবে। এমন প্রথা কি শরী‘আতসম্মত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : সকালে বরকত নাযিল হয়। এই কথার কোন দলীল আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ