উত্তর : কোন জীবের বিনা প্রয়োজনে ছবি তোলা, সংরক্ষণ করা নিষিদ্ধ। তবে দেখার বিষয় হল- ছবি তোলার উদ্দেশ্য কী? উদ্দেশ্য যদি হয় ছবিকে সম্মান করা, তাহলে হারাম হবে। কারণ নিষিদ্ধ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য মাধ্যম ও উপকরণ ব্যবহার করাও হারাম (উছায়মীন, ফাতাওয়া রাসাইল ও মাসাইল, ২য় খণ্ড, পৃ. ২৮৫)। তাই স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ছবি সংগ্রহ করা নিষেধ (ছহীহ বুখারী, হা/৩২২৪; ছহীহ মুসলিম, হা/২১০৬)।
কোন মহিলার ছবি এমনকি পর্দাওয়ালা ছবিও ফেইসবুকে আপলোড করা হারাম। এটা একটি নব্য জাহিলিয়াত। অন্যদিকে হিজাব পরিহিতা নারীরা চোখের ছবি ফেসবুকে আপলোড করা হয়ে থাকে। যা আরও ভয়ংকর। এটা মানুষকে ফেতনার দিকে আহ্বান করে থাকে। অথচ শরী‘আতে দৃষ্টি অবনত করার ব্যাপারে স্পষ্ট বক্তব্য এসেছে। কেননা সমস্ত যিনা শুরু হয় দৃষ্টি থেকে। সুতরাং যে নিজের চোখের হেফাযত করতে পারে, তার জন্য অশ্লীলতা, যিনার মত ব্যাপারগুলো থেকে হেফাযত থাকার কাজটা সহজ হয়ে যায়। আর মেয়েরা যদি সেই চোখকেই পুরুষের লোলুপ দৃষ্টির জন্য উন্মুক্ত করে দেয়, তাহলে ফেতনার চূড়ান্ত ভয়াবহতার দিকেই তা রূপ নিবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘মুমিনদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে (সূরা আন-নূর : ৩০)।
তিনি আরও বলেন, ‘ঈমানদার নারীদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে ও তাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে; তারা যেন তার মধ্যে যা সাধারণত প্রকাশ থাকে তা ব্যতীত তাদের অলংকার বা সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে’ (সূরা আন-নূর : ৩১)। প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার যত মাধ্যম রয়েছে সেখানে অপ্রয়োজনীয় ছবি আপলোড দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
প্রশ্নকারী : শহীদুল্লাহ, সিরাজগঞ্জ।