মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৩:৫২ অপরাহ্ন
উত্তর : হারাম মাসগুলো হচ্ছে- রজব, যিলক্বদ, যিলহজ্জ ও মুহাররম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহর নিকটে মাসের সংখ্যা বারটি আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে। তন্মধ্যে চারটি হারাম (সম্মানিত)। এটাই সরল বিধান। সুতরাং এ মাসগুলোতে তোমরা নিজেদের প্রতি যুলুম করো না’ (সূরা আত-তাওবাহ : ৩৬)। এ মাসগুলোতে শিকার করতে কোন বাধা নেই। তবে শিকারের নিষিদ্ধতা দু’টি বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত। যথা : ১- হজ্জ বা উমরার ইহরাম বাঁধা। কারণ আল্লাহ তা‘আলা ইহরাম অবস্থায় শিকার করতে নিষেধ করেছেন (সূরা আল-মায়েদাহ : ৯৫)। ইবনু কাছীর (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘এটি ইহরাম অবস্থায় শিকার নিষিদ্ধের ঘোষণা ও সে অবস্থার নিষেধাজ্ঞা’ (তাফসীরে ইবনে কাছীর, ২/৯৯ পৃ.)। ২- হারামের সীমানার মধ্যে শিকার করা। এ প্রসঙ্গে বর্ণিত হাদীছগুলোর ভিত্তিতে হারামের সীমানা বলতে মক্কা ও মদীনা উদ্দেশ্য (ছহীহ বুখারী, হা/১২৮৪)।

মক্কাতে শিকার তাড়ানো হারাম। শিকার করাতো আরও জঘন্য হারাম। আর মদীনার ব্যাপারে আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলতেন, ‘যদি আমি মদীনাতে হরিণ চরতে দেখি তবে আমি একে সন্ত্রস্ত করব না। রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘মদীনার দুই লাবা ভূমির মাঝের জায়গাটুকু হারাম (পবিত্রস্থান)’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৭৭৪)। ‘লাবা’ বলা হয় হাররাকে অর্থাৎ কালো পাথরকে। মদীনায় কালো পাথরের দু’টি ভূমি আছে। একটি হল পূর্বপাশে, অন্যটি হল পশ্চিমপাশে। পক্ষান্তরে হারাম মাসগুলোর সাথে শিকার নিষিদ্ধ হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। আল্লাহই ভাল জানেন (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৯৭২১৬)।


প্রশ্নকারী : নাজমুছ ছাকিব, সাতক্ষীরা।





প্রশ্ন (১৪) : কসমের শব্দ কি ‘আল্লাহ’ হতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : কেউ যদি অজানা অবস্থায় শিরক করে, তাহলে তার আমল বাতিল হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : সুগন্ধি বা পারফিউম ব্যবহার করে কোন মহিলা বাড়ির বাইরে যেতে পারে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : দৈনিক যুগান্তর (২৫ ডিসেম্বর, ২০১৯) পত্রিকায় বলা হয়েছে যে, নাসা খালি চোখে সূর্যগ্রহণ দেখতে নিষেধ করেছে। যাতে করে মানুষ দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারে। সুতরাং ফিল্টার দিয়েই এটা দেখা উচিত। প্রশ্ন হল- সূর্যগ্রহণের সময় সূর্যের দিকে তাকানো যাবে না মর্মে কথাটি কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : ইমাম সূরা ফাতিহার শেষের আয়াত তিলাওয়াত করছেন। এমতাবস্থায় কেউ জামা‘আতে অংশগ্রহণ করলে সে কি ইমামের সঙ্গে ‘আমীন’ বলার পরে সূরা ফাতিহা পড়বে, না-কি প্রথমেই সূরা ফাতিহা পড়া শুরু করবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : ‘পিতা-মাতার দু‘আ আল্লাহ তা‘আলা ফিরিয়ে দেন না’ অর্থাৎ তাদের দু‘আ কবুলযোগ্য। প্রশ্ন হল- যাদের পিতা-মাতা মৃত্যুবরণ করেছেন- তাদের কবুলযোগ্য দু‘আ প্রাপ্তির জন্য করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যখন আল্লাহ তা‘আলা যমীন সৃষ্টি করলেন তখন তা দুলতে লাগল। অতঃপর পাহাড়গুলো সৃষ্টি করে সেগুলো পৃথিবীর উপর স্থীর করেন। অতঃপর পৃথিবী স্থীর হয়ে গেল। ফেরেশতাগণ পাহাড়ের এ শক্তি দেখে আশ্চর্যান্বিত হলেন এবং বললেন, হে আল্লাহ! আপনার সৃষ্টির মধ্যে পাহাড় অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? আল্লাহ বললেন, হ্যাঁ; আর সেটা লোহা। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করল, হে প্রভু! আপনার সৃষ্টির মধ্যে লোহা অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আগুন। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ! আপনার সৃষ্টির মধ্যে আগুন অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ; পানি। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ! আপনার সৃষ্টির মধ্যে পানি অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ; বাতাস। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ! আপনার সৃষ্টির মধ্যে বাতাস অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ; আদম সন্তান। যে তার ডান হাতে দান করে আর দানকে বাম হাত হতে গোপন রাখে। এ ঘটনাটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪০) : জনৈক ব্যক্তি বলেন, যে রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর দরূদ পাঠ করে তার জন্য সত্তর জন ফেরেশতা এক হাজার দিন পর্যন্ত নেকী লিখেন। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : বর্তমানে অনেক মহিলা শাড়ি পরে ছালাত আদায় করে থাকে। প্রশ্ন হল- শাড়ি পরে মহিলারা ছালাত আদায় করতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : লুডু ও ক্যারাম বোর্ড খেলা কি বৈধ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪৩) : মুসলিম নারী কি বাইরে গিয়ে কাজ করতে পারবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : মানুষ কি আশরাফুল মাখলূক্বাত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ