উত্তর : হারাম মাসগুলো হচ্ছে- রজব, যিলক্বদ, যিলহজ্জ ও মুহাররম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহর নিকটে মাসের সংখ্যা বারটি আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে। তন্মধ্যে চারটি হারাম (সম্মানিত)। এটাই সরল বিধান। সুতরাং এ মাসগুলোতে তোমরা নিজেদের প্রতি যুলুম করো না’ (সূরা আত-তাওবাহ : ৩৬)। এ মাসগুলোতে শিকার করতে কোন বাধা নেই। তবে শিকারের নিষিদ্ধতা দু’টি বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত। যথা : ১- হজ্জ বা উমরার ইহরাম বাঁধা। কারণ আল্লাহ তা‘আলা ইহরাম অবস্থায় শিকার করতে নিষেধ করেছেন (সূরা আল-মায়েদাহ : ৯৫)। ইবনু কাছীর (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘এটি ইহরাম অবস্থায় শিকার নিষিদ্ধের ঘোষণা ও সে অবস্থার নিষেধাজ্ঞা’ (তাফসীরে ইবনে কাছীর, ২/৯৯ পৃ.)। ২- হারামের সীমানার মধ্যে শিকার করা। এ প্রসঙ্গে বর্ণিত হাদীছগুলোর ভিত্তিতে হারামের সীমানা বলতে মক্কা ও মদীনা উদ্দেশ্য (ছহীহ বুখারী, হা/১২৮৪)।
মক্কাতে শিকার তাড়ানো হারাম। শিকার করাতো আরও জঘন্য হারাম। আর মদীনার ব্যাপারে আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলতেন, ‘যদি আমি মদীনাতে হরিণ চরতে দেখি তবে আমি একে সন্ত্রস্ত করব না। রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘মদীনার দুই লাবা ভূমির মাঝের জায়গাটুকু হারাম (পবিত্রস্থান)’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৭৭৪)। ‘লাবা’ বলা হয় হাররাকে অর্থাৎ কালো পাথরকে। মদীনায় কালো পাথরের দু’টি ভূমি আছে। একটি হল পূর্বপাশে, অন্যটি হল পশ্চিমপাশে। পক্ষান্তরে হারাম মাসগুলোর সাথে শিকার নিষিদ্ধ হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। আল্লাহই ভাল জানেন (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৯৭২১৬)।
প্রশ্নকারী : নাজমুছ ছাকিব, সাতক্ষীরা।