উত্তর : এটা ভ্রান্ত আক্বীদা। এ সমস্ত বক্তব্য মিথ্যা ও ভিত্তিহীন, বরং ঈমান ধ্বংসের অন্যতম কারণ। ইসলামের স্বর্ণযুগে পীর-মুরীদী কোন প্রথার অস্তিত্ব ছিল না। বর্তমানে কিছু স্বার্থপর লোক পীর সেজে ধর্মের নাম ভাঙ্গিয়ে পেটপূজায় ব্যস্ত রয়েছে। ঐসব লোকের শিখিয়ে দেয়া এসব ভ্রান্ত আক্বীদা পরিত্যাগ করে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনুসরণ করতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন,
قُلْ أَطِيْعُوا اللَّهَ وَالرَّسُوْلَ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَإِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْكَافِرِيْنَ
‘(হে নবী!) আপনি বলুন, তোমরা আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য কর। যদি তোমরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন কর, তাহলে নিশ্চয় আল্লাহ কাফের সম্প্রদায়কে ভালবাসেন না’ (সূরা আলে ইমরান : ৩২)।
উল্লেখ্য যে, এ ধরনের আক্বীদা পোষণকারী ভাইকে বিদ‘আতী ও ভ্রান্ত পথ থেকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। এরপরও যদি সে ঐ কাজে লিপ্ত থাকে, তাহলে তার সাথে চলাফেরা বন্ধ করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, مَنْ أَحْدَثَ فِيْهَا حَدَثًا أَوْ آوَى مُحْدِثًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللهِ وَالْمَلائَِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِيْنَ ‘যদি কেউ এখানে বিদ‘আত করে অথবা বিদ‘আতীকে আশ্রয় দেয়, তাহলে তার উপর আল্লাহ, ফেরেশতা ও সমগ্র মানুষের অভিশাপ বর্ষিত হবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৮৭০ ‘মদীনার ফযীলত’ অধ্যায়-২৯, ‘মদীনা পবিত্র হওয়া’ অনুচ্ছেদ-১; ছহীহ মুসলিম, হা/১৩৬৬)।
প্রশ্নকারী : সাদ্দাম হোসেন, দিনাজপুর।