শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২১ পূর্বাহ্ন
উত্তর : ইসলামী মাহফিলগুলোতে প্রধান বক্তা বা অতিথির আগমনে তাদের সম্মানার্থে দাঁড়ানো বা উচ্চ প্রশংসা করা জায়েয নয়। এটা ইহুদী-খ্রিষ্টানদের স্বভাব (সূরা আন-নিসা : ৪৯; তাফসীরে ইবনু কাছীর, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৩২)। এভাবে আত্মপ্রশংসা করা বা অন্য কর্তৃক আত্ম প্রশংসিত হওয়ার আকাক্সক্ষার মৌলিক কারণ অহমিকা ও আত্মগর্ভ। অথচ রাসূসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, إِيَّاكُمْ وَالتَّمَادُحَ فَإِنَّهُ الذَّبْحُ ‘তোমরা পরস্পর প্রশংসা করা থেকে বেঁচে থাক। কেননা তা হচ্ছে যব্হ করা’ (ইবনু মাজাহ, হা/৩৭৪৩; সনদ হাসান, সিলসিলা ছহীহাহ, হা/১২৮৪)। অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, إِذَا رَأَيْتُمُ الْمَدَّاحِيْنَ فَاحْثُوْا فِيْ وُجُوْهِهِمُ التُّرَابَ ‘যখন তোমরা সামনে প্রশংসাকারীদেরকে দেখতে পাও, তখন তাদের চেহারায় মাটি নিক্ষেপ কর’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৩০০২; মিশকাত, হা/৪৮২৬)। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজেই নিজের পবিত্রতা বর্ণনা করতে নিষেধ করেছেন (ছহীহ মুসলিম, হা/২১৪২; আবূ দাঊদ, হা/৪৯৫৩; মিশকাত, হা/৪৭৫৬)। এজন্য এটা তাক্বওয়ারও পরিপন্থী বিষয় (সূরা আন-নাজম : ৩২)।

তবে কাউকে নিম্নোক্ত উপায়ে প্রশংসা করা যায়। আবূ বাকরাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে এক ব্যক্তি অপর এক ব্যক্তির প্রশংসা করলে তিনি তাকে বলেন, তোমার জন্য আফসোস! তুমি তো তোমার সাথীর গর্দান কেটে ফেললে। তিনি একথা কয়েকবার বললেন। এরপর তিনি বললেন, তোমাদের কেউ যদি তার (মুসলিম) ভাইয়ের প্রশংসা করতেই চায়, তাহলে তার বলা উচিত, অমুককে আমি এরূপ মনে করি, তবে আল্লাহই তার সম্পর্কে অধিক জানেন। আর আল্লাহর প্রতি সোপর্দ না করে আমি কারো সাফাই পেশ করি না। তার সম্পর্কে ভাল কিছু জানা থাকলে বলবে, আমি তাকে এরূপ এরূপ মনে করি’ (ছহীহ বুখারী, হা/২৬৬২; ছহীহ মুসলিম, হা/৩০০০)।


প্রশ্নকারী : মুতাসিম বিল্লাহ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।





প্রশ্ন (১৯) : কাঁকড়া খাওয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১১) : সর্বশেষ জান্নাতী ব্যক্তি কে? হাদীছে উল্লেখ আছে যে, আল্লাহ তা‘আলা তাকে এই দুনিয়ার দশগুণ দিবেন। প্রশ্ন হল- সেটা কি আমাদের পৃথিবীর দশগুণ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : ঈদুল আযহার চাঁদ দেখা দিলে, আক্বীক্বার জন্য পশু যব্হ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : প্রথম বৈঠকে তাশাহহুদ অর্থাৎ আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করার পর নবী (ﷺ)-এর উপর দুরূদ পাঠ করা যাবে কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : গীবত করা যেনার চেয়ে বড় পাপ। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : বর্তমান যুগের ইহুদী ও খ্রিষ্টান রমণীদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া বৈধ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : অনেকে রামাযান মাস আসলে তওবা করে, ছালাত আদায় করে এবং ছিয়াম পালন করে। কিন্তু রামাযানের পর সব ছেড়ে দেয়। এদের বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : ইমাম মসজিদের মেহরাবের কোথায় দাঁড়াবে? মেহরাবের ভিতরে, না-কি বাইরে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফজরের পূর্বে দু’রাক‘আত সুন্নাত ছালাত ও বিতর ছালাত কখনো ছাড়তেন না। প্রশ্ন হল- যদি কেউ ছেড়ে দেন, তাহলে কি তিনি গুনাহাগার হবেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : ‘যে ব্যক্তি ‘লা হাওলা ওয়ালা কুউওতা ইল্লাবিল্লাহ’ পাঠ করবে, তার যাবতীয় বিপদাপদ দূর করবে। যার সর্বনিম্ন হল দারিদ্র্যতা মোচন করা’ (তিরমিযী, ৩/১৮৬) মর্মে বর্ণিত হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১) : তাবলীগ জামায়াতের ‘ফাযায়েলে হজ্জ’ বইয়ের ৯২ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে যে, জামে মসজিদে বার হাজার পাঁচশ’ (১২,৫০০) ছালাতের ছওয়াব। মসজিদে আকছার ছওয়াব বাষট্টি কোটি পঞ্চাশ লক্ষ (৬২,৫০০০০০০), মদীনার মসজিদের ছওয়াব তিন নিল বার খর্ব পঞ্চাশ আরব (৩১২৫০০০০০০০০০০) এবং হারাম শরীফের ছওয়াব একত্রিশ শঙ্ঘ পঁচিশ পদ্ম, (৩১২৫০০০০০০০০০০০০০০০)। উক্ত বর্ণনা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীর লাইভ আযানের উত্তর দিলে তার ছওয়াব পাওয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ