উত্তর : উক্ত বক্তব্য বানোয়াট। ছহীহ দলীল দ্বারা এ ধরনের কথা প্রমাণিত নয়। শরী‘আতের নামে এগুলো প্রচার করা হারাম।রাসূল (ﷺ) বলেছেন,
إِنَّ كَذِبًا عَلَيَّ لَيْسَ كَكَذِبٍ عَلَى أَحَدٍ مَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنْ النَّارِ
‘আমার নামে মিথ্যা বলা অন্য কারোর নামে মিথ্যা বলার মত নয়। যে ব্যক্তি আমার নামে মিথ্যা বলে তার ঠিকানা অবশ্যই জাহান্নামে হবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/১২৯১; ছহীহ মুসলিম, হা/৯৩৩)।
তবে একথা সত্য যে, সূরা আল-ফাতিহা কুরআনের জননী। এর অসংখ্য গুণাগুণ রয়েছে। ইমাম ইবনুল ক্বাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘সূরাতুল ফাতিহা শরীরের জন্য প্রতিষেধক আবার অন্তরের জন্যও মহাষৌধ। তিলাওয়াত করলে অন্তর পরিশুদ্ধ ও পরিতৃপ্ত হয়, আর এর দ্বারা ঝাড়ফুঁক করলে শরীর সুস্থ হয়’ (মাদারিজুস সালিকীন, ১/৫২-৫৫ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : আফরিন, সিলেট।