উত্তর : এমতাবস্থায় আবারও দৃঢ়ভাবে তাওবাহ করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আর যারা কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে বা নিজেদের প্রতি যুল্ম করলে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজেদের পাপের জন্য ক্ষমা চায়। আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবে? এবং তারা যা করে ফেলে, জেনে-বুঝে তারা তা পুনরায় করতে থাকে না’ (সূরা আলে ইমরান : ১৩৫)। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘কোন এক ব্যক্তি গোনাহ করার পর বলল হে আল্লাহ! আমি গুনাহ করেছি সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। তখন আল্লাহ তা‘আলা বললেন, ‘আমার বান্দা গুনাহ করেছে এবং এটা জেনেছে যে, তার একজন রব আছেন যিনি তার গোনাহ মাফ করবেন ও তাকে পাকড়াও করবেন; আমি আমার বান্দাকে ক্ষমা করে দিলাম। তারপর সে আবার আরেকটি গুনাহ করে আবারও বলল, হে রব! আমি গুনাহ করেছি সুতরাং আমাকে ক্ষমা করে দাও। তখন আল্লাহ তা‘আলা বললেন, আমার বান্দা গোনাহ করেছে এবং এটা জেনেছে যে, তার একজন রব আছেন যিনি তার গোনাহ মাফ করবেন ও তাকে পাকড়াও করবেন; আমি আমার বান্দাকে ক্ষমা করে দিলাম। তারপর সে আবার আরেকটি গুনাহ করে আবারও বলল, হে রব! আমি গুনাহ করেছি সুতরাং আমাকে ক্ষমা করে দাও। তখন আল্লাহ তা‘আলা বললেন, আমার বান্দা গুনাহ করেছে এবং এটা জেনেছে যে, তার একজন রব আছে যিনি তার গুনাহ মাফ করবে ও তাকে পাকড়াও করবে; আমি আমার বান্দাকে ক্ষমা করে দিলাম, সে যাই করুক না কেন’ (ছহীহ বুখারী, হা/৭৫০৭; ছহীহ মুসলিম, হা/২৭৫৮)। আয়াত ও হাদীছ দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, তওবা করলে আল্লাহ ক্ষমা করবেন ইনশাআল্লাহ।
প্রশ্নকারী : শামসুল আলম, টাঙ্গাইল।