উত্তর : দাহিয়া কালবী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) এবং উমার ফারুক্ব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) সম্পর্কে লোকমুখে প্রচলিত আছে যে, জাহিলী যুগে তারা তাদের কন্যাকে জীবন্ত ক্ববর দিয়েছিলেন। প্রকৃতপক্ষে এর কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না (আল-ইছাবাহ লি ইবনি হাজার, ৭/৫৮২ পৃ.; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১৩২৪৩৭)। আসলে সূরা আত-তাকভীর-এর ৮ ও ৯ নং আয়াতকে কেন্দ্র যে ঘটনাটি বর্ণিত হয়েছে, সেটি হল- ক্বায়িস ইবনু আছিম আত-তামীমী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) সম্পর্কে। উমার ফারুক্ব (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আয়াত দু’টি অবতীর্ণ হওয়ার পর ক্বায়িস ইবনু আছিম রাসূল (ﷺ)-এর কাছে এসে বললেন, জাহিলী যুগে আমি আমার ৮টি কন্যাকে জীবন্ত সমাধিস্থ করেছি। আমার প্রায়শ্চিত্ত কী করে হবে? রাসূল (ﷺ) বললেন, প্রত্যেক কন্যার বদলে একটি করে উঠ কুরবানী কর (বাযযার, হা/২৩৮, ১/৬০ পৃ.; ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল কাবীর, হা/৮৬৩, ১৮/৩৩৭ পৃ.; বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা, হা/১৬৮৬১, ৮/১১৬ পৃ.; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/৩২৯৮)।
প্রশ্নকারী : হাবীবুর রহমান, নীলফামারী।