উত্তর : যাবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘মন্দ কথার প্রচারণা আল্লাহ পসন্দ করেন না; তবে যার উপর যুলুম করা হয়েছে। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ’ (সূরা আন-নিসা : ১৪৮)। এ আয়াতে দুনিয়া হতে জোর-যুলুমের অবসান ঘটানোর এক অপূর্ব বিধান পেশ করা হয়েছে। যার মধ্যে একদিকে ইনছাফ ও ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠা ও অপরাধ দমনের জন্য মযলূমকে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করে তাকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর আধিকার দিয়েছে।
অন্যদিকে প্রতিশোধ নিতে গিয়ে আবার যুলুম ও বাড়াবাড়ি করা থেকে নিষেধ করা হয়েছে। অন্য আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘যদি তোমরা প্রতিশোধ নিতে চাও, তবে তোমাদের উপর যে পরিমাণ যুলুম করা হয়েছে, তোমরা ঠিক ততটুকুই প্রতিশোধ নিতে পার’ (সূরা আন-নাহল : ১২৬)। সাথে সাথে এ কথাও বলে দেয়া হয়েছে যে, প্রতিশোধ গ্রহণ করার ক্ষমতা ও অধিকার থাকা সত্ত্বেও যদি তোমরা ধৈর্য ধারণ কর এবং ক্ষমা করে দাও, তবে নিঃসন্দেহে তা তোমাদের জন্য অতি উত্তম।
মোটকথা, আয়াত থেকে বোঝা যায় যে, মযলুম ব্যক্তি যদি অত্যাচারীর অন্যায়-অত্যাচারের কাহিনী লোকদের কাছে প্রকাশ করে বা আদালতে অভিযোগ করে, তবে তা হারাম গীবতের আওতায় পড়বে না। কারণ যালিম নিজেই মযলুমকে অভিযোগ উত্থাপন করতে সুযোগ করে দিয়েছে, বরং বাধ্য করেছে। পক্ষান্তরে হাদীছে এসেছে, ইবনু ‘আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত। নবী (ﷺ) যখন মু‘আয (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-কে ইয়ামানে পাঠান এবং তাকে বলেন, মাযলুমের ফরিয়াদকে ভয় করবে। কেননা, তার ফরিয়াদ এবং আল্লাহর মাঝে কোন পর্দা থাকে না (ছহীহ বুখারী, হা/ ২৪৪৮)। অতএব আয়াত ও হাদীছ দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, যালেমের উপর বদ দু‘আ করা যায়। আর না করাটা তার ঐচ্ছিক বিষয়।
প্রশ্নকারী : আব্দুর রাযযাক, বরিশাল।