সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৩:৪৪ অপরাহ্ন
উত্তর : তারাবীহর ছালাত ৮ রাক‘আত। ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও ছাহাবায়ে কেরাম সকলেই ৮ রাক‘আত তারাবীহ পড়তেন। আবু সালামা ইবনু আব্দুর রহমান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) একদা আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা)-কে জিজ্ঞেস করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর রামাযানের রাতের (ছহীহ মুসলিম, হা/৭৩৮, ১/২৫৫ পৃ.) ছালাত কেমন ছিল? উত্তরে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রামাযান মাসে এবং রামাযানের বাইরে ১১ রাক‘আতের বেশী ছালাত আদায় করতেন না। তিনি প্রথমে (২+২) চার রাক‘আত পড়তেন। তুমি তার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করো না। অতঃপর তিনি (২+২) চার রাক‘আত পড়তেন। তুমি তার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করো না। অতঃপর তিনি তিন রাক‘আত পড়তেন (ছহীহ বুখারী, হা/২০১৩, ইফাবা হা/১৮৮৬, ৩/২৯৭ পৃ. ও ১২৬৯, ‘তারাবীহর ছালাত’ অধ্যায়-৩১; ছহীহ মুসলিম, হা/৭১৮, ১/২৫৪ পৃ.)। জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রামাযান মাসে আমাদের সাথে ৮ রাক‘আত ছালাত আদায় করেছেন এবং বিতর পড়েছেন.. (ছহীহ ইবনে খুযায়মাহ, হা/১০৭০, ২/১৩৮ পৃ.; ছহীহ ইবনে হিব্বান, হা/২৪০৯ ও ২৪১৫, ৬/১৬৯ ও ১৭৩ পৃ., সনদ ছহীহ)।

সায়েব ইবনু ইয়াযীদ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) ওবাই বিন কা‘ব ও তামীম দারী (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)-কে রামাযান মাসে ১১ রাক‘আত তারাবীহর ছালাত জামা‘আতের সাথে পড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন (মুওয়াত্ত্বা মালিক, ১ম খণ্ড, পৃ. ১১৫; মিশকাত, ১১৫ পৃ., হা/১৩০২ ‘ছালাত’ অধ্যায়, ‘রামাযানে রাত্রি জাগরণ’ অনুচ্ছেদ)।

২০ রাক‘আত তারাবীহর পক্ষে রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নামে যে বর্ণনাটি এসেছে, তা মুহাদ্দিছগণের নিকট যঈফ ও জাল। উক্ত বর্ণনায় ইবরাহীম ইবনু ওছমান নামে একজন ত্রুটিপূর্ণ রাবী রয়েছে (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ, ২/২৮৬; বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, হা/৪৬১৫, ২/৬৯৮)। ইমাম বায়হাক্বী (৩৮৪-৪৫৮ হি.) উক্ত বর্ণনা উল্লেখ করে বলেন, ‘আবু শায়বাহ (ইবরাহীম ইবনু ওছমান) হাদীছটি এককভাবে বর্ণনা করেছে। সে যঈফ রাবী’ (সুনানুল কুবরা, হা/৪৬১৫, ২/৬৯৮ পৃ.)। ছহীহ বুখারীর ভাষ্যগ্রন্থ ‘ঊমদাতুল ক্বারী’ প্রণেতা আল্লামা বদরুদ্দীন আয়নী হানাফী (রাহিমাহুল্লাহ) উক্ত রাবী সম্পর্কে বলেন,

جَدُّ أَبِىْ بَكْرِ ابْنِ أَبِىْ شَيْبَةَ كَذَّبَهُ شُعْبَةُ وَضَعَّفَهُ أَحْمَدُ وَابْنُ مَعِيْنٍ وَالْبُخَارِىُّ وَالنَّسَائِىُّ وَغَيْرُهُمْ

‘ইবনু আবী শায়বাহকে ইমাম শু‘বাহ মিথ্যুক বলেছেন এবং ইমাম আহমাদ, ইবনু মাঈন, ইমাম বুখারী, নাসাঈ (রাহিমাহুল্লাহ) সহ অন্যান্য মুহাদ্দিছগণ তাকে যঈফ বলেছেন’ (ঊমদাতুল ক্বারী ১১/১২৮ পৃ.)। শায়খ আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) উক্ত হাদীছকে জাল বলেছেন (সিলসিলা যঈফাহ, হা/৫৬০, ২/৩৫-৩৭ পৃ.)। অতএব ২০ রাক‘আতের বর্ণনার উপর আমল করা যাবে না। ছহীহ হাদীছের আলোকে তারাবীহ ৮ রাক‘আতই পড়তে হবে।


প্রশ্নকারী : আযীযুর রহমান, খুলনা।




প্রশ্ন (৫) : বর্তমানে অধিকাংশ মসজিদে ফজরের ছালাতের জামা‘আত চলা অবস্থায় সুন্নাত পড়া হয়। এটি কি শরী‘আতসম্মত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : তাহাজ্জুদ বা তারাবীহর মত নফল ছালাতে কুরআন দেখে দেখে পড়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : বাম হাতে খাওয়া বা পান করতে হাদীছে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু দুই হাতে খাওয়া বা পান করার কোন নজীর রাসূল (ﷺ), ছাহাবায়ে কেরাম বা পরবর্তী কোন সালাফ থেকে পাওয়া যায় কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : বর্তমানে ওয়াকালতি বা আইন পেশায় কাজ করা কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : আমার নিকটাত্মীয় একজনকে অভিশাপ দিয়ে ফেলেছে। আমি জানি যাকে অভিশাপ দেয়া হয়েছে তিনি তার উপযুক্ত না। আমি তাকে অনেক বুঝিয়ে কনভিন্স করেছি। সে অনুতপ্ত। এখন আমি তাকে কী আমল করতে বলব যাতে এই অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়ে যায়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১) : ক্বদরের রাত্রে সারা রাত নফল ছালাত আদায় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : অনেকে দাবী করে, তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ পৃথক ছালাত। তাহাজ্জুদ ৮ রাক‘আত, আর তারাবীহ ২০ রাক‘আত। উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৫) : পূর্ববর্তী কিতাবগুলো ছহীফা আকারে নাযিল হয়েছিল। এগুলো কি আল্লাহর কালাম? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যখন আল্লাহ তা‘আলা যমীন সৃষ্টি করলেন তখন তা দুলতে লাগল। অতঃপর পাহাড়গুলো সৃষ্টি করে সেগুলো পৃথিবীর উপর স্থীর করেন। অতঃপর পৃথিবী স্থীর হয়ে গেল। ফেরেশতাগণ পাহাড়ের এ শক্তি দেখে আশ্চর্যান্বিত হলেন এবং বললেন, হে আল্লাহ! আপনার সৃষ্টির মধ্যে পাহাড় অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? আল্লাহ বললেন, হ্যাঁ; আর সেটা লোহা। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করল, হে প্রভু! আপনার সৃষ্টির মধ্যে লোহা অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আগুন। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ! আপনার সৃষ্টির মধ্যে আগুন অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ; পানি। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ! আপনার সৃষ্টির মধ্যে পানি অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ; বাতাস। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ! আপনার সৃষ্টির মধ্যে বাতাস অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী আর কোন সৃষ্টি আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ; আদম সন্তান। যে তার ডান হাতে দান করে আর দানকে বাম হাত হতে গোপন রাখে। এ ঘটনাটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : নারীদের টিপ পরার বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : কোন ব্যক্তি তার আপন খালাতো বোনের মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : শরী‘আত কাকে বলে? হাদীছ কি শরী‘আতের দলীল? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ