উত্তর : ঈদের হাদিয়া হিসাবে মুছল্লীরা যদি ইমাম ছাহেবকে কিছু দিয়ে থাকে, তাহলে সর্বসম্মতিক্রমে জায়েয। মুসলিমদের জন্য বছরে নির্ধারিত দু’টি দিন আনন্দ ও খুশীর জন্য। এদিন পরস্পর হাদিয়া বিনিময় করা জায়েয, উত্তম। শায়খ ছালেহ আল-উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ)-কে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি হাদিয়া বিনিময়ের বিষয়ে দলীল সহ হ্যাঁ সূচক জবাবই দিয়েছেন (উছায়মীন, মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল, ১৬তম খণ্ড, পৃ. ২৭৬)। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সময়ে যে অর্থ উঠানো হত তা ছিল বায়তুল মালের জন্য। বর্তমানেও বায়তুল মালের কোন অংশ থাকলে তাতে দান করা যাবে (ছহীহ বুখারী, হা/৯৮)। আর বায়তুল মালের জন্য উঠানো টাকা ইমাম ছাহেবকে বেতন বা পারিশ্রমিক হিসাবে দেয়া যাবে না। সবাই রাযি-খুশী থেকে ইমামকে হাদিয়া হিসাবে টাকা জমা করলে তা দিতে শারঈ কোন বাধা নেই। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাদিয়া গ্রহণ করতেন আবার তার প্রতিদানও দিতেন (ছহীহ বুখারী, হা/২৫৮৫, ১৪৭৩)।
প্রশ্নকারী : জহরুল ইসলাম, বিরামপুর, দিনাজপুর।