সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৪:২৮ অপরাহ্ন
উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনে অমুসলিমদের দুই ভাগে বিভক্ত করেছেন। যেমন তিনি বলেন, ‘যারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে স্বদেশ হতে বহিষ্কার করেনি, তাদের প্রতি মহানুভবতা প্রদর্শন ও ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায়পরায়ণদেরকে ভালোবাসেন। পক্ষান্তরে আল্লাহ শুধু তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন, যারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের সাথে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে স্বদেশ থেকে বহিষ্কার করেছে এবং তোমাদের বহিষ্করণে সহযোগিতা করেছে। তাদের সাথে যারা বন্ধুত্ব করে তারাই তো অত্যাচারী’ (সূরা আল-মুমতাহিনা : ৮-৯)। এখানে আল্লাহ তা‘আলা কাফিরদের দু’টি অবস্থা বর্ণনা করেছেন। যথা-


(১) এমন কাফির যারা প্রথমতঃ দ্বীন ইসলামের কারণে মুসলিমদের সাথে শত্রুতা ও বিদ্বেষ রাখে না এবং এর ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে না। দ্বিতীয়তঃ তারা তোমাদের সাথে এমন আচরণও করে না যে, তোমরা হিজরত করতে বাধ্য হয়ে যাও। তৃতীয়তঃ তারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে অন্যান্য কাফিরদেরকে কোন প্রকার সাহায্য-সহযোগিতাও করে না, না পরামর্শ দিয়ে, আর না অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে। এই ধরনের কাফিরদের সাথে অনুগ্রহ প্রদর্শন এবং সুবিচারপূর্ণ আচরণ করা নিষেধ নয়। তাদের সাথে পার্থিব লেনদেন ও আচার-ব্যবহার বিষয়ক নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। যেমন আসমা বিনতে আবী বাকর (রাযিয়াল্লাহু আনহা) তাঁর মুশরিক মায়ের সাথে সদ্ব্যবহার করা সম্পর্কে নবী (ﷺ)-কে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বললেন, صِلِىْ أُمَّكِ ‘তোমার মায়ের সাথে সদ্ব্যবহার কর’ (ছহীহ বুখারী, হা/২৬২০, ৩১৮৩, ৫৯৭৮, ৫৯৮৯; ছহীহ মুসলিম, হা/১০০৩; আবূ দাঊদ, হা/১৬৬৮)।

(২) পক্ষান্তরে যে সমস্ত কাফিরদের মধ্যে পূর্বোক্ত গুণাবলীগুলো থাকবে না, বরং যারা এর বিপরীত করে, তাদের সঙ্গে সৌহার্দপূর্ণ আচরণ করা যাবে না এবং তাদের সঙ্গে আদান-প্রদান ও বন্ধুত্ব স্থাপনও করা যাবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টানদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে কেউ তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে তাদেরই একজন গণ্য হবে। নিশ্চয় আল্লাহ্ অত্যাচারী সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না’ (সূরা আল-মায়িদাহ : ৫১)।

প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ নাছের যাহরান।





প্রশ্ন (২৬) : আমাদের এলাকায় অনেকেই ফজর ছালাতের পর ১৯ বার ‘বিসমিল্লা-হ’ পাঠ করে থাকে। এটা কতটুকু শরী‘আতসম্মত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৮) : ঋতু হতে পবিত্র হওয়ার পদ্ধতি কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : কাবিননামায় ত্বালাকের অধিকার দেয়া না থাকলে স্বামী তার স্ত্রীকে ত্বালাক্ব দিতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : কুরআন মাজীদে চুমা দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : পালক সন্তান কি সম্পদের ওয়ারিছ হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (০৭) : ইমামের সাথে শত্রুতার কারণে কেউ যদি তার পিছনে ছালাত না পড়ে জামা‘আতের আগে কিংবা পরে পড়ে, তাহলে তার ছালাত হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির যাকাত ফরয হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : কোন ভবনের দ্বিতীয় তলায় মসজিদ। নিচতলায় রংয়ের গুদাম, মসজিদের টয়লেট এবং ওযূখানা। দ্বিতীয় তলায় মসজিদের মিম্বার বরাবর নিচ তলায় হাতের বায়ে দেয়াল ঘেষে একটি কবর। প্রশ্ন হল, উক্ত মসজিদে ছালাত আদায় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৫) : বিয়ের পরে একজন মহিলা কিভাবে নিজ রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়দের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৩) স্বামী যদি স্ত্রীকে পীরের মুরীদ হতে বলে এবং পীরকে সিজদা করতে বাধ্য করে, সেক্ষেত্রে স্ত্রীর করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : হাদীছে জুমু‘আর খুত্ববাহ সংক্ষিপ্ত ও ছালাত দীর্ঘায়িত করার কথা বর্ণিত হয়েছে। এই হাদীছের ব্যাখ্যা কী? উলামায়ে কিরাম কী বলেছেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : অনেকে এমন আছে যে, তাকে সালাম দিলে সে সালামের জবাব দিয়ে পাল্টা আবার সালাম দেয়। এভাবে সালাম দেওয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ