উত্তর : বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর উভয়েরই ত্বালাক্ব দেয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। কাবিননামায় লেখা থাক বা না থাক। শারঈ কারণে সংসার করা সম্ভব না হলে যে কেউ বিবাহ বিচ্ছিন্ন করতে পারে। দুঃখজনক বিষয় হল, তুচ্ছ কারণে তারা ইসলামের দেয়া ত্বালাক্বের অধিকারকে বড়ই অন্যায়ভাবে অপব্যবহার করছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আর স্ত্রীদের মধ্যে যাদের অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদেরকে সদুপদেশ দাও, তারপর তাদের শয্যা বর্জন কর এবং তাদেরকে প্রহার কর। যদি তারা তোমাদের অনুগত হয় তবে তাদের বিরুদ্ধে কোন পথ অন্বেষণ কর না। আর তাদের উভয়ের মধ্যে মতবিরোধের আশঙ্কা করলে তোমরা স্বামীর পরিবার থেকে একজন এবং স্ত্রীর পরিবার থেকে একজন সালিশ নিযুক্ত কর, তারা উভয়ে নিষ্পত্তি চাইলে আল্লাহ তাদের মধ্যে মীমাংসার অনুকূল অবস্থা সৃষ্টি করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবিশেষ অবহিত’ (সূরা আন-নিসা : ৩৪-৩৫)।
বুঝা যাচ্ছে স্বামী স্ত্রীকে বিনা কারণে ত্বালাক্ব দিতে পারবে না। অনুরূপভাবে স্ত্রীও বিনা কারণে খুলা‘ ত্বালাক্ব চাইতে পারবে না। কোন মহিলার জন্য শরী‘আত অনুমোদিত কারণ ছাড়া ত্বালাক্ব বা খুলা‘ ত্বালাক্ব চাওয়া জায়েয নয়। যেমন রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘যে সমস্ত নারী কোন বিবেচনাযোগ্য কারণ ছাড়াই স্বামীর নিকট হতে খুলা‘ ত্বালাক্ব চায় তার জন্য জান্নাতের সুগন্ধিও হারাম’ (তিরমিযী, হা/১১৮৬-১১৮৭; আবূ দাঊদ, হা/২২২৬; ইবনু মাজাহ, হা/২০৫৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২৩৭৯, ২২৪৪০)। উচিত ছিল পরস্পরের সাথে ভালো ব্যবহার করা এবং অনুগত হওয়া। পৃথিবীর মধ্যে সর্বাধিক ভালোবাসা ও মধুর সম্পর্ক সমূহের মধ্যে একটি হল স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, لَمْ نَرَ لِلْمُتَحَابَّيْنِ مِثْلَ النِّكَاحِ ‘দু’জনের পারস্পরিক ভালোবাসা স্থাপনের জন্য বিবাহের বিকল্প নেই’ (ইবনু মাজাহ, হা/১৮৪৭; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/৬২৪)।
প্রশ্নকারী : আয়েশা, ঢাকা।