উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। যদিও নবী (ﷺ) সৃষ্টির সর্বোৎকৃষ্ট ও সর্বোত্তম, তিনিই আল্লাহ তা‘আলার নিকট সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী এবং তিনিই সর্বাধিক সম্মানিত (সূরা আন-নিসা : ১১৩)। আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন,
أَنَا سَيِّدُ وَلَدِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَأَوَّلُ مَنْ يَنْشَقُّ عَنْهُ الْقَبْرُ وَأَوَّلُ شَافِعٍ وَأَوَّلُ مُشَفَّعٍ
‘আমি ক্বিয়ামতের দিন আদম সন্তানের নেতা বা সর্দার হব এবং আমিই সর্বপ্রথম ব্যক্তি যার কবর খুলে যাবে এবং আমিই হব সর্বপ্রথম সুপারিশকারী এবং সর্বাগ্রে আমার সুপারিশ কবুল করা হবে’ (ছহীহ মুসলিম হা/২২৭৮; ছহীহ বুখারী, হা/৩৩৪০)। শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, নিশ্চয় মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর ব্যক্তিসত্তা সমস্ত সৃষ্টিকুলের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সম্মানিত। কিন্তু তাঁর কবরের মাটি কা‘বা বা বাইতুল হারামের থেকে উত্তম নয়। বরং কা‘বাই ক্ববরের মাটি অপেক্ষা উত্তম’ (ফাতাওয়া আল-কুবরা, ৪/৪১১; মাজমূঊল ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়্যাহ, ২৭/৩৮ পৃ.)। শায়খ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, এ ব্যাপারে আলেমগণ ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে, নবী (ﷺ)-ই হলেন সৃষ্টিকুলের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ, তিনিই সৃষ্টির সর্বোৎকৃষ্ট। যেহেতু তিনি সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে সর্বোত্তম, তাই তিনি পবিত্র কা‘বার থেকেও উত্তম। কেননা কা‘বা সৃষ্টির অন্তর্ভুক্ত। পরন্ত এই শ্রেষ্ঠত্ব, মর্যাদা ও অধিকার কিন্তু শুধু রাসূল (ﷺ)-এর ব্যক্তিসত্তার জন্যই নির্ধারিত, ঐ কবরের জন্য নয় যেখানে তাঁকে দাফন করা হয়েছ (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১০৩২৮৯)।
প্রশ্নকারী : সাইফুল ইসলাম, সাভার, ঢাকা।