সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৯:১৯ পূর্বাহ্ন
উত্তর : ইবনু ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রত্যেক গোলাম, আযাদ, পুরুষ, নারী, প্রাপ্ত বয়স্ক, অপ্রাপ্ত বয়স্ক সকল মুসলিমের উপর ছাদাকাতুল ফিতর হিসাবে খেজুর হোক অথবা যব হোক এক ছা‘ পরিমাণ আদায় করা ফরয করেছেন (ছহীহ বুখারী, হা/১৫০৩, ১৫০৪, ১৫০৬, ১৫০৭, ১৫০৮, ১৫১০, ১৫১১, ১৫১২; ছহীহ মুসলিম, হা/৯৮৪-৯৮৬)। ইমাম নববী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, উক্ত হাদীছ প্রমাণ করে যে, এক ছা পরিমাণ খাদ্য দ্রব্য প্রদান করা ফরয। অর্ধ ছা‘ পরিমাণ ফিতরা আদায় করার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে ছহীহ সূত্রে কোন তথ্য প্রমাণিত হয়নি’ (আল-মাজমূঊ, ৬/১৪৩ পৃ.)।

আর সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য বক্তব্য হল, এক ছা‘ সমান প্রায় তিন কেজি। যেমন, সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটি বলেন, ‘একজন ব্যক্তির পক্ষ থেকে যাকাতুল ফিতর  হিসাবে প্রায় তিন কেজি চাল অথবা দেশের অন্যান্য প্রধান খাদ্য দ্রব্য হতে আদায় করতে হবে’ (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ৮/২৬৬ পৃ.)। শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ছা‘ অনুযায়ী প্রত্যেক শ্রেণীর মানুষের পক্ষ থেকে এক ছা‘ পরিমাণ ফিতরা আদায় করা অপরিহার্য। আর তা হল, মধ্যম মানের হস্তদ্বয়ের পূর্ণাঙ্গ চার মুষ্টি, যা অভিধানে বর্ণিত হয়েছে। ওজনের হিসাবে যার পরিমাণ প্রায় তিন কেজি’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া লিইবনি বায, ১৪/২০১ পৃ.)।

শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ), ইবনুল মুনযির (রাহিমাহুল্লাহ) ও ইবনু রুশদ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, আলিমদের ঐকমত্যানুসারে নির্ধারিত এক ছা‘ থেকে কম ফিতরা দেয়া জায়েয নয়। কেননা এক ছা‘ থেকে কম দিলে ফিতরা আদায় হবে না (মাজমূঊল ফাতাওয়া ইবনু তাইমিয়্যাহ, ২৫/৭০; আল-ইজমা‘আ, পৃ. ৪৮; বিদায়াতুল মুজতাহিদ, ১/২৮১ পৃ.)। মালিকী, শাফিঈ ও হাম্বালী মাযহাবের আলিমগণের মতানুযায়ী ফিতরায় এক ছা‘ পরিমাণ খাদ্য দ্রব্য প্রদান করা ফরয (আল-কাফী ফী ফিক্বহি আহলিল মাদীনাহ, ১/৩২৩ পৃ.; শারহু মুখতাছার খালীল, ২/২২৮; রাওযাতুত্ব ত্বালিবীন, ২/৩০১ পৃ.; আল-হাবী, ৩/৩৭৯ পৃ.; কাশ্শাফুল ক্বিনা‘, ২/২৫৩; আল-মুগনী, ৩/৮১; আল-মাজমূঊ, ৬/১৪২ পৃ.)।

তবে শাইখ উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ)  বলেন, মসুরের ডালের মত দানা বিশিষ্ট গম ওজন করে দেখা যায় যে, তা এক ছা‘ সমান ২ কেজি ৪০ গ্রামের মত হচ্ছে’ (আশ-শারহুল মুমতি‘, ৬/১৭৬ পৃ.; মাজমূঊ ফাতাওয়া লিইবনি উছাইমীন, ২০/১১২ পৃ.)। শায়খ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, এ ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত অধিকটাকে ধরাটাই উত্তম হবে। কেননা বেশির মধ্যে কমটাও শামিল থাকে (আল-মুগনী, ৪/১৬৮; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৪৯৭৯৩)।

প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ আল-মামুন, নবাবগঞ্জ।





প্রশ্ন (২৪): বর্ণিত আছে, ‘যে ব্যক্তি রাতে ‘সূরা হা-মীম দুখান’ পড়ে সকালে উঠে, তার জন্য সত্তর হাজার ফেরেশতা আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রর্থনা করতে থাকেন (তিরমিযী, হা/২৮৮৮; মিশকাত, হা/২১৪৯)। এ বর্ণনাটি কি বিশুদ্ধ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : মানহাজ কাকে বলে? মানহাজ কোন কোন ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? জনৈক আলিম বলেন, প্রত্যেক মুসলিমের উপর ‘সালাফী মানহাজ’ অনুসরণ করা আবশ্যক। প্রশ্ন হল- ‘সালাফী মানহাজ’ বলতে কী বুঝায়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : আমাদের মসজিদের ইমাম ছাহেব বলেছেন, ‘কুরআনের হাফেযদের পিতা-মাতাকে ক্বিয়ামতের দিন নূরের তাজ পরিধান করানো হবে’। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : মাতৃভাষায় জুমু‘আর খুতবা দেয়ার বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৭) : ইমু, ওয়াট্সআপ ও ভয়েস মেসেজে কেউ সালাম জানালে এর উত্তর দেয়া কি ওয়াজিব? উত্তর দিতে হলে কিভাবে দিবে এবং কখন দিবে? সালাম দাতাকে ভয়েস মেসেজে বা লিখে দিতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : পিতা কতদিন পর্যন্ত সন্তানের খরচ বহন করতে বাধ্য? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : চোখের যিনা করলে ক্বিয়ামতের দিন চোখে গরম শিশা ঢালা হবে এই রকম কোন হাদীছ আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৫) : ঘুমানোর পূর্বে করণীয় ও তার ফযীলত কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : নৌকা বাইচ খেলা তথা পানিতে নৌকা চালনার প্রতিযোগিতা পরিদর্শন বা তাতে অংশগ্রহণ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : সাধারণ মানুষ কিভাবে আওয়াল ওয়াক্ত নির্ধারণ করবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : যুলহিজ্জার চাঁদ উঠলে নখ, চুল কাটা যায় না- এ হুকুম সবার জন্য, না-কি যারা কুরবানী করবে তাদের জন্য? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : রাত জাগার কারণে ফজরের ছালাত প্রায়ই ক্বাযা হয়ে যায়। স্কুলে গিয়েও সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় যোহরের ছালাত ক্বাযা হয়। এমতাবস্থায় করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ