সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০১:২৬ অপরাহ্ন
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর জুমু‘আর খুতবায় আল্লাহর প্রশংসা করতেন, দুরূদ পড়তেন, কুরআন থেকে তেলাওয়াত করতেন এবং কিছু ওয়ায-নছিহত করতেন। নবীদের সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ مَاۤ  اَرۡسَلۡنَا مِنۡ رَّسُوۡلٍ  اِلَّا بِلِسَانِ قَوۡمِہٖ  لِیُبَیِّنَ لَہُمۡ ‘আমরা সব নবীকেই তাদের স্বজাতির ভাষাভাষী করেই প্রেরণ করেছি, যাতে তাদেরকে পরিষ্কার বোঝাতে পারে’ (সূরা ইবরাহীম: ৪)।

রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর মাতৃভাষা যেহেতু আরবী ছিল এবং ছাহাবীদেরও ভাষা আরবী ছিল, তাই তিনি আরবীতেই তাদেরকে নছীহত করতেন। এখন যারা নবী (ﷺ)-এর নায়েব হয়ে জুমু‘আর খুতবা দিবেন তাদেরকেও উল্লেখিত আয়াত ও হাদীছ অনুসারে তাদের শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে মাতৃভাষায় খুতবা দেয়াটা শরী‘আতসম্মত এবং যুক্তি সংগত। এ কারণে ইমাম শাফেঈ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘প্রত্যেক খত্বীবকে জুমু‘আর সময় তাঁর মাতৃভাষায় ওয়ায করা ওয়াজিব’ (তানক্বীহুর রুওয়াত, ১/২৬৪ পৃ.)। আল্লামা তাহাভী হানাফী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘জুমু‘আর খুতবা আরবী জানলেও ফারসি ভাষায়ও চলবে’ (হাশিয়া তাহতাবী আলা মারাক্বিল ফালাহ, পৃ. ২৭)। আল্লামা আব্দুল হাই লাক্ষেèৗভী হানাফী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘শ্রোতাদেরকে তাদের মাতৃভাষায় খুতবা বুঝিয়ে দেয়া জায়েয’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া, ১/২৪৫ পৃ.)। হানাফী ফিক্বহ গ্রন্থ ‘নিহায়া’, ‘মুজতাবা’, ‘ফাতাওয়া সিরাজিয়্যাহ’, ‘মুহীত’ প্রভৃতি গ্রন্থে আছে যে, ইমাম আবূ হানীফার মতে, ফারসি ভাষাতে জুমু‘আর খুতবা দেয়া জায়েয। হানাফী ফাতাওয়ার কিতাব ‘শামী’তে আছে, ‘আরবী ভাষায় খুতবা দেয়া শর্ত নয়’। হানাফী ফিকহ গ্রন্থ ‘হিদায়া’য় আছে, ‘প্রত্যেক ভাষায় খুতবার নছীহত চলতে পারে’ (কিতাবুল জুমু‘আহ, পৃ. ৫৫-৫৬; বিস্তারিত দ্র.: আইনী তোহফা ছলাতে মুস্তফা, ১/৯৮-৯৯ পৃ.)।

নিজ ভাষায় খুতবা না দেয়ার কারণে যেহেতু তা মানুষের বোধগম্য হয় না সেজন্যই এই খুতবার আগে খত্বীবগণ ‘বয়ান’-এর ব্যবস্থা রেখেছেন, যা শরী‘আতের দৃষ্টিতে একটি জঘন্যতম বিদ‘আত। কারণ ‘খুতবা’ প্রদানের পূর্বে ‘বয়ান’ দেয়া এবং এটাকে এভাবে স্থায়ী রূপ দেয়া নবী (ﷺ) থেকে আদৌ প্রমাণিত নয়। নবী (ﷺ) কখনো খুতবার পূর্বে এ ধরণের বয়ান দেননি। দিতে বলেছেন বলেও কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। এজন্যই এ সঊদী আরবের বরেণ্য মুফতি শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু ছালিহ আল-উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ)-কে মাতৃভাষায় খুতবা প্রদান সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি তা সরাসরি জায়েয বলে মন্তব্য করেন এবং একথা স্পষ্ট ভাবে বলেন যে, খত্বীবকে নিজ ভাষায় খুতবা দিতে হবে (ফাতাওয়া আরকানিল ইসলাম, প্রশ্ন নং-৩২৪)।


প্রশ্নকারী : আখতারুযযামন, নেত্রকোনা।





প্রশ্ন (১৪) : পাশ্চাত্য সভ্যতার অনুকরণে আঙ্গুলের নখ বড় করার বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : তাহাজ্জুদ বা তারাবীহর মত নফল ছালাতে কুরআন দেখে দেখে পড়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : অনেকে রামাযান মাস আসলে তওবা করে, ছালাত আদায় করে এবং ছিয়াম পালন করে। কিন্তু রামাযানের পর সব ছেড়ে দেয়। এদের বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৫) : বিয়ের পরে একজন মহিলা কিভাবে নিজ রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়দের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : সমাজে প্রচলিত আছে যে, সফর মাসের শেষ বুধবারে সালাম অর্থাৎ শান্তির আয়াতগুলো লিপিবদ্ধ করে পানির পাত্রে সেটি রাখলে, অতঃপর সেই পানি পান করলে বরকত হাসিল হয়। এতে বিপদাপদ দূরীভূত হয়। উক্ত ধারণা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : বর্তমানে অধিকাংশ মুদির দোকানে বিড়ি, সিগারেট, গুল, জর্দা ইত্যাদি বিক্রয় করা হয়। প্রশ্ন হল- এ সকল হারাম জিনিস বিক্রয়ের কারণে কি দোকানের অন্য জিনিসগুলো বিক্রয় হারাম হয়ে যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : কোন ইমাম যদি নবী গায়েব জানেন, আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান, নবী নূরের তৈরি, নবী জীবিত প্রভৃতি আক্বীদা পোষণ করে, তাহলে ঐ ব্যক্তির পিছনে ছালাত হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : ছালাত অবস্থায় ওযূ নষ্ট হলে করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : কুরআন হিফয করার পর ভুলে যাওয়ার শাস্তি কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : কোর্ট ম্যারেজ এবং কোর্টের মাধ্যমে ত্বালাক্ব দেয়া সম্পর্কে ইসলামের বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : কুরআন হাতে থেকে মাটিতে পড়ে গেলে এর কাফফারা স্বরূপ অনেকেই কুরআনের ওজন অনুযায়ী চাউল দেয়। এ বিষয়ে শরী‘আতের বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : আমি যদি আওয়াল ওয়াক্তে একাকী ছালাত আদায় করি, তাহলে কি জামা‘আতের নেকী থেকে বঞ্চিত হব? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ