উত্তর : উক্ত আক্বীদাগুলো কুফ্র মিশ্রিত বিদ‘আতী আক্বীদা অর্থাৎ কুফুরী আক্বীদা। আর ইমামের আক্বীদা যদি কুফরী হয়, তাহলে তার পিছনে কোনভাবেই ছালাত হবে না। তবে যদি কুফর না করে শুধু বিদ‘আতে লিপ্ত থাকে, সেক্ষেত্রে সেই ইমামের পিছনে ছালাত বৈধ হবে, কিন্তু সেই ইমামকে পরিবর্তনের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়েমাহ, ৭/৩৬৭ পৃ.)। উল্লেখ্য যে, ‘আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান’ এধরনের আক্বীদা বাতিল। আল্লাহর সত্তা সর্বত্র বিরাজমান নয়। বরং তাঁর ইলম ও কুদরত অর্থাৎ জ্ঞান ও ক্ষমতা সর্বত্র বিরাজমান (ত্বো-হা: ৪৬)। তিনি সপ্তম আসমানের উপরে আরশে সমুন্নত (সূরা আল-আ‘রাফ: ৫৪; ইউনুস: ৩; রা‘দ: ২; ত্বো-হা: ৫; আল-ফুরক্বান: ৫৯; সাজদাহ:৪; হাদীদ:৪; ছহীহ মুসলিম, হা/৮৩৬; মিশকাত, হা/৩৩০৩)। মুআত্ত্বিলাগণ ‘আরশে অবস্থান’ সম্পর্কিত সর্বমোট সাতটি আয়াতের অর্থ করেছেন ‘মালিক হওয়া’, কেউ করেছেন ‘আরশ সৃষ্টির ইচ্ছা করা’ ইত্যাদি। এইভাবে এরা ২৫ প্রকারের সম্ভাব্য অর্থ ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি। ইমাম যাহাবী উক্ত আয়াত সমূহের ব্যাখ্যায় ৯৬টি হাদীছ, ২০টি আছার ও আহলে সুন্নাত বিদ্বানগণের ১৬৮টি বক্তব্য সংকলন করেছেন (‘মুখ্তাছারুল ‘উলু’)। ইবনুল ক্বাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ) এসবের প্রতিবাদে ৪২টি যুক্তি পেশ করেছেন (ইবনুল ক্বাইয়িম, মুখতাছার ছাওয়ায়েকুল মুরসালাহ, ২/১২৬-১৫২)।
প্রশ্নকারী : শরীফ ইবনু আব্দুল ওয়াহেদ, লালমনিরহাট।