উত্তর : সৃষ্টিকুলের সর্বোত্তম মানব নবী মুহাম্মাদ (ﷺ)-কেও এরূপ কুৎসিত ও কদর্য মন্তব্য শুনতে হয়েছে। তাই দুর্বল না হয়ে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে, মনোবল সবল করতে হবে, হতাশা ও শঙ্কা দূর করে ধৈর্যধারণ করতে হবে। আল্লাহ এর প্রতিদান দিবেন ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ বলেছেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের মধ্যে কেউ দ্বীন থেকে ফিরে গেলে নিশ্চয় আল্লাহ এমন এক সম্প্রদায় আনয়ন করবেন যাদেরকে তিনি ভালোবাসবেন এবং যারা তাঁকে ভালোবাসবে, তারা হবে মুমিনদের প্রতি কোমল আর কাফিরদের প্রতি কঠোর, তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে এবং কোন নিন্দুকের নিন্দার ভয় করবে না, এটা আল্লাহর অনুগ্রহ যাকে ইচ্ছা তিনি দান করেন। বস্তুত আল্লাহ প্রাচুর্যময়, প্রজ্ঞাময়’ (সূরা আল-মায়িদাহ : ৫৪)।
অন্যত্র আবূ যার গিফারী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি পাঁচবার রাসূল (ﷺ)-এর হাতে বাই‘আত গ্রহণ করেছি এবং তিনি আমাকে সাতটি কাজ পরিপূর্ণভাবে আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর আমি সাতবার নিজের উপর আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলেছি যে, ‘আল্লাহর দ্বীনের ব্যাপারে কোন ভর্ৎসনাকারীর ভর্ৎসনাকে মোটেই গ্রাহ্য করব না...’ (মুসনাদে আহমাদ, হা/২১৫০৯; সনদ ছহীহ)। আবূ সাঈদ খুদরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, শরী‘আত বিরোধী কোন কাজ দেখার পর নিজেকে দুর্বল মনে করে নীরব থেক না, নতুবা ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে। সেই সময় মানুষ উত্তর দিতে গিয়ে বলবে, আমি মানুষের ভয়ে নীরব ছিলাম। তখন আল্লাহ বলবেন, ‘আমিই এর বেশি হকদার ছিলাম যে, তুমি আমাকেই ভয় করতে’ (মুসনাদে আহমাদ, হা/১১২৫৫, ১৭/৩১৩ পৃ.; ইবনু মাজাহ, হা/৪০০৮, সনদ হাসান)।
প্রশ্নকারী : মেহেদী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।