বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৩ অপরাহ্ন
উত্তর : তখন রোমের সম্রাটকে বলা হত ‘ক্বাইসার’। সেই সময় রোমের রাজা ছিলেন ‘হিরাক্লিয়াস’। তিনি খ্রিষ্টান হলেও নবী (ﷺ)-এর রিসালাতে বিশ্বাসী ছিলেন। নবী (ﷺ)-এর পক্ষ থেকে তার নিকট পত্র প্রেরণ করা হয়েছিল। তিনি উক্ত পত্রটিকে সত্যায়িত করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত ঈমান আনেননি (ছহীহ বুখারী, হা/৭, ৫১, ২৬৮১; ছহীহ মুসলিম, হা/১৭৭৩)। পক্ষান্তরে পারস্যের সম্রাটকে বলা হত ‘কিসরা’। সেই সময় পারস্যের রাজা ছিলেন ‘খসরু ইবনে হুরমুয’। নবী করীম (ﷺ)-এর নিকটেও পত্র প্রেরণ করেছিলেন। কিন্তু সে পত্রটি পড়ার পর সে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলল। (এ ঘটনার খবর পেয়ে) রাসূল (ﷺ) তাদের জন্য বদদু‘আ করেন যে, তাদেরকেও যেন সম্পূর্ণরূপে টুকরো টুকরো করে ফেলা হয় (ছহীহ বুখারী, হা/৬৪, ২৯৩৯)।

নবী (ﷺ)-এর যুগে রোম ও পারস্য দু’টি বৃহৎ শক্তিশালী সাম্রাজ্য ছিল। পারসিকরা ছিল অগ্নিপূজক মুশরিক আর রোমানরা ছিল খ্রিষ্টান (আহলে কিতাব)। সূরা রূমের মধ্যে রোমক ও পারসিকদের যুদ্ধের কাহিনী আলোচিত হয়েছে। তাদের উভয়পক্ষই ছিল কাফির। তাদের মধ্যে কারও বিজয় এবং কারও পরাজয় বস্তুত ইসলাম ও মুসলিমদের জন্য কোন কৌতুহলের বিষয় ছিল না। কিন্তু যেহেতু উভয় কাফির দলের মধ্যে পারসিকরা ছিল অগ্নিপূজারী মুশরিক এবং রোমকরা ছিল খ্রিষ্টান আহলে কিতাব। ফলে এরা ছিল মুসলিমদের অপেক্ষাকৃত নিকটবর্তী (তাফরীরে ইবনে কাছীর, সূরা রূমের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)।

মক্কার মুশরিকদের সহানুভূতি ছিল পারসিকদের প্রতি; কারণ তারা উভয়েই গায়রুল্লাহর উপাসক ছিল। পক্ষান্তরে মুসলিমদের সহানুভূতি রোমের খ্রিষ্টান রাজ্যের প্রতি ছিল; কারণ খ্রিষ্টানরাও মুসলিমদের মত (আহলে কিতাব) ছিল এবং অহী ও রিসালাতের প্রতি বিশ্বাসী ছিল। তাদের উভয়ের মধ্যে যুদ্ধ-বিবাদ লেগেই থাকত। নবী (ﷺ)-এর নবুয়াত প্রাপ্তির কয়েক বছর পর পারসিকরা খ্রিষ্টানদের উপর বিজয়লাভ করার ফলে মুশরিকরা আনন্দিত এবং মুসলিমরা হতাশ হয়ে পড়ে। সেই সময় সূরা রূমের আয়াতগুলো অবতীর্ণ হয়। যাতে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে যে, কয়েক বছরের মধ্যে রোমানরা বিজয়ী হবে এবং বিজয়ীরা পরাজিত ও পরাজিতরা বিজয়ী হয়ে যাবে। বাহ্যিক দৃষ্টিতে উক্ত ভবিষ্যদ্বাণী অসম্ভব মনে হলেও আল্লাহর উক্ত বাণীর ফলে মুসলিমদের মনে দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে, তা অবশ্যই সংঘটিত হবে। যার ফলে আবূ বাকর সিদ্দীক (রাযিয়াল্লাহু আনহু) উবাই ইবনে খালফ ও আবূ জাহলের সাথে বাজি করে ফেলেন যে, তিন অথবা পাঁচ বছরের মধ্যে রোমানরা বিজয়ী হবেই।

উক্ত বাজির কথা নবী (ﷺ) জানতে পারলে তিনি বললেন, بِضْعٌ শব্দটি তিন থেকে নয় পর্যন্ত সংখ্যা বুঝাতে ব্যবহার হয়। অতএব পাঁচ বছর বাজির সময় কম করে ফেলেছ, এতে আরো সময় বাড়িয়ে নাও। সুতরাং নবী (ﷺ)-এর কথামত আবূ বাকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) তাঁর প্রস্তাবিত সময় আরো কিছু বাড়িয়ে দিলেন। ফল এই দাঁড়ালো যে, রোমানরা নয় বছর সময়ের মধ্যেই (সূরা অবতীর্ণ হওয়ার) ঠিক সপ্তম বছরে পুনরায় পারসিকদের উপর জয়যুক্ত হল। যাতে মুসলিমগণ অনেক অনেক আনন্দিত হয়েছিলেন (তিরমিযী, হা/৩১৯৩, ৩১৯৪)। বিভিন্ন হাদীছ থেকে জানা যায় যে, হিজরতের পাঁচ বছর পূর্বে এই ঘটনা সংঘটিত হয় এবং সাত বছর পূর্ণ হওয়ার পর বদর যুদ্ধের সময রোমকরা পারসিকদের বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করে (তাফসীরে সা‘দী, সূরা রূমের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)।


প্রশ্নকারী : নূর আলম, রংপুর।





প্রশ্ন (৬) : কেউ কেউ বলেন, ছাগলকে খাসি করানো যাবে না এবং এমন ছাগল কুরবানী করা যাবে না। কথা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : প্রথম স্ত্রী ইন্তিকালের পর তার গহনা দিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর মোহর আদায় করা কিংবা হাদিয়া দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩): ছাদাক্বাহ করার ফযীলত বর্ণনায় বলা হয় যে, দান সম্পদকে হ্রাস করে না। আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমার মাধ্যমে বান্দার সম্মান বৃদ্ধি করেন এবং যে আল্লাহর জন্য বিনয় প্রকাশ করে আল্লাহ তাকে উন্নত করেন। এ বর্ণনাটি সঠিক! - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : জুমু‘আর দিনে প্রচলিত দুই আযানের মধ্যে কোন্ আযানের জবাব দিতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : ইলিয়াসী তাবলীগের এক ব্যক্তি বলেন, নাফসের বিরুদ্ধে জিহাদ করা হল, বড় জিহাদ। আর যুদ্ধের মাঠে কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা ছোট জিহাদ। উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : ‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত’-এটি কি ছহীহ হাদীছ? দলীল জানালে উপকৃত হব। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : হিন্দু ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণের পর তার পরিবারেই জীবন-যাপন করছে। সে কি তার পিতা-মাতাকে বাবা-মা বলে সম্বোধন করতে পারবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : কোন বিদ‘আতী মারা গেলে তার জন্য দু‘আ করা এবং তার প্রশংসা করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) :  একটি মসজিদের পশ্চিম দিকে পারিবারিক কবরস্থান আছে। কবরস্থানটি মসজিদের জমির আওতাবহির্ভূত। মসজিদের ক্বিবলার ওয়াল হতে আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ ফিট দূরে বেশ কয়েকটি কবর আছে। মসজিদের ক্বিবলার ওয়াল ছাড়া সামনে আর আলাদা ভাবে কোন ওয়াল বা চলাচলের রাস্তা নেই। উক্ত মসজিদে ছালাত আদায় শুদ্ধ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : কুশপুত্তলিকা  বানানো যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : ‘আল্লাহর ইচ্ছায় গাছের পাতা পড়ে না বা কোন কাজ সংঘটিত হয় না’, না-কি ‘আল্লাহর হুকুমে গাছের পাতা ঝরে পড়ে না বা কোন কাজ হয় না’। কোন্ কথাটি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : কুরআন মাজীদ খতম করে পুনরায় সূরা ফাহিতা ও সূরা বাক্বারার শুরু থেকে ‘মুফলিহূন’ পর্যন্ত পড়ার কোন বিধান আছে কী? জনৈক ব্যক্তি বলেন, তিরমিযীর ২৯৪৮ নং হাদীছে এ নির্দেশ রয়েছে। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ