উত্তর : প্রথমতঃ জানতে হবে যে, শিরকের পর সর্বাধিক ধ্বংসাত্মক ও মারাত্মক গুনাহের নাম বিদ‘আত। রাসূল (ﷺ) এ সম্পর্কে তাঁর উম্মতকে কঠোরভাবে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন, ‘কেউ আমাদের এই দ্বীনের অংশ নয় এমন কিছু উদ্ভাবন করলে তা পরিত্যাজ্য-প্রত্যাখ্যাত’। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘যে ব্যক্তি আমাদের দ্বীনি কাজের মধ্যে এমন বিষয় উদ্ভাবন করে যা তাতে নেই, তা অগ্রহণযোগ্য’ (ছহীহ বুখারী, হা/২৬৯৭; ছহীহ মুসলিম, হা/১৭১৮)। এর পরিণাম ভ্রষ্টতা ও জাহান্নাম’ (আবূ দাঊদ, হা/৪৬০৭; নাসাঈ হা/১৫৭৮, সনদ ছহীহ)। রাসূল (ﷺ) বলেন, ‘যে কেউ দ্বীনের ব্যাপারে বিদ‘আত করে কিংবা কোন বিদ‘আতীকে আশ্রয় দেয় কিংবা সাহায্য করে তার উপর আল্লাহ তা‘আলার, ফেরেশতাগণের ও সকল মানব জাতির অভিশাপ। তার কোন ফরয কিংবা নফল ‘ইবাদত গৃহীত হবে না’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৮৭০; ছহীহ মুসলিম, হা/১৩৭০)। তাই বিদ‘আতী কাজে সহযোগিতা করা মহা অন্যায়। আল্লাহ মুমিন ব্যক্তিদেরকে ভাল কাজে সহযোগিতা করতে আদেশ করেছেন এবং অন্যায়, অসৎ, হারাম ও বিদ‘আতী কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করতে নিষেধ করেছেন (সূরা আল-মায়িদাহ : ২; তাফসীর ইবনু কাছীর, ২/১২ পৃ.; তাফসীরে কুরতুবী, ৬/৪৬-৪৭ পৃ.)।
শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) ও ইমাম শাত্বিবী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘এক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহ তা‘আলার নিকট কঠোরভাবে তওবাহ করতে হবে। কেননা আল্লাহ তা‘আলা খালিছ তওবার মাধ্যমে শিরকের মত ধ্বংসাত্মক, হত্যার মত মারাত্মক ও ব্যভিচারের মত জঘন্য গুনাহকেও ক্ষমা করার ঘোষণা করেছেন। যে ব্যক্তি স্বচ্ছ ও পবিত্র অন্তরে একনিষ্ঠ ও একাগ্রতার সাথে খালিছ তওবাহ করে আল্লাহ তার তওবাহ কবুল করেন’ (গিযাউল আলবাব, ২/৫৮১ পৃ.; আল-ই‘তিছাম, ২/২৮১ পৃ.; মাজাল্লাতুল বুহূছিল ইসলামিয়্যাহ, ১৪/১৮৩-১৮৫ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : মর্তুজা আল-শাফিঈ, লালমনিরহাট।