উত্তর : এ বিষয়ে একাধিক হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। যেমন আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ‘বান্দার সিজদারত অবস্থায়ই তার প্রতিপালকের অনুগ্রহ লাভের সর্বোত্তম অবস্থা (বা মুহূর্ত)। অতএব তোমরা অধিক পরিমাণে দু‘আ পড়’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৪৮২)। আব্দুল্লাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, রাসূল (ﷺ)-এর পিছনে ছালাত পড়ার সময় (বৈঠকে) বলতাম, السَّلَامُ عَلَى اللهِ السَّلَامُ عَلَى فُلَانٍ (আল্লাহর উপর সালাম, অমুকের উপর সালাম) একদিন রাসূল (ﷺ) আমাদের বললেন, আল্লাহর নামই সালাম। তোমাদের কেউ যখন ছালাতে বসে সে যেন বলে,
التَّحِيَّاتُ لِلهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِيْنَ
‘যাবতীয় মান-মর্যাদা, প্রশংসা এবং পবিত্রতা আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার উপর শান্তি, আল্লাহর রহমত ও বরকত অবতীর্ণ হোক। আমাদের এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর শান্তি নেমে আসুক’। যখন সে একথাগুলো বলে তখন তা আল্লাহর প্রতিটি নেক বান্দার কাছে পৌঁছে যায়, সে আসমানেই থাক অথবা যমীনে। পরে বলবে أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন ইলাহ নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ (ﷺ) তাঁর বান্দা ও রাসূল’। এরপর তা যা মন চায় দু‘আ করবে (ছহীহ মুসলিম, হা/৭৮২)। উক্ত হাদীছদ্বয় থেকে প্রতীয়মান হয় যে, হাদীছে বর্ণিত দু‘আ সিজদায় ও বৈঠকে বেশি বেশি পাঠ করতে হবে।
প্রশ্নকারী : নাযীমুদ্দীন, বগুড়া।