রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৫ পূর্বাহ্ন
উত্তর : পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে আল্লাহ তা‘আলার অনেক সুন্দর সুন্দর ও সর্বোত্তম নাম ও গুণাবলী বর্ণিত হয়েছে। যেগুলোর উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখা ঈমানের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ لِلّٰہِ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰی فَادۡعُوۡہُ بِہَا ‘আর আল্লাহ তা‘আলার রয়েছে সর্বোত্তম নামসমূহ। সুতরাং তোমরা তাঁকে সেই সব নামেই ডাকবে’ (সূরা আল-আ‘রাফ : ১৮০)। রাসূল (ﷺ) বলেছেন, إِنَّ لِلهِ تِسْعَةً وَتِسْعِيْنَ إِسْمَا مِائَةً إِلَّا وَاحِدًا مَنْ أَحْصَاهَا دَخَلَ الْجَنَّةَ ‘আল্লাহর নামসমূহের মধ্যে এমন নিরানব্বইটি নাম রয়েছে, যে ব্যক্তি তা গণনা করবে বা মুখস্থ করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/২৭৩৬, ৬৪১০, ৭৩৯২; ছহীহ মুসলিম, হা/২৬৭৭)। আল্লাহকে যে যতবেশি চিনবে ও জানবে, সে ততবেশি আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সক্ষম হবে। সে সর্বদা একমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করবে। তাঁর সম্পর্কে জানার অন্যতম মাধ্যম হল, তাঁর নামসমূহ ও গুণাবলী সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা।

আল্লাহ তা‘আলার নামসমূহ ও গুণাবলী তথা আসমা ওয়াছ ছিফাত জানার গুরুত্ব অসংখ্য। যেমন- আল্লাহর নামসমূহের একটি হল الرَّزَّاق (আর-রাযযাক্ব) তথা রিযিক্বদাতা। যে ব্যক্তি আল্লাহর এই নামটি সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করবে, সে শুধু আল্লাহকেই রিযিক্বদাতা হিসাবে বিশ্বাস করবে। সে কখনোই রিযিক্ব লাভের জন্য কোন মূর্তি, পীর, দরবেশ বা অলী-আওলিয়ার কবরের কাছে রিযিক্ব বা সন্তান চাওয়ার জন্য যাবে না। বরং একমাত্র আল্লাহর কাছেই চাইবে। আল্লাহর অপর একটি নাম হলঃ الشَّافِي (আশ-শাফী) তথা আরোগ্য দানকারী। যে আল্লাহর এই নামটি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করবে, সে কেবল আল্লাহকেই আরোগ্যদানকারী হিসাবে বিশ্বাস করবে এবং একমাত্র আল্লাহর কাছেই সুস্থতা কামনা করবে। এর জন্য কখনই ল্যাংটা বাবা, বস্তা বাবা, চরমোনাই, আটরশী, শাহজালাল, শাহমখদুম ইত্যাদি বাবার কাছে যাবে না। যে তিনটি ক্ষেত্রে আল্লাহকে এক না মানলে মুসলিম হওয়া যায় না, সে তিনটির একটি হল তাওহীদুল আসমা ওয়াছ ছিফাত তথা আল্লাহকে তাঁর নামসমূহ ও গুণাবলীর ক্ষেত্রে এক মানা (আল-ক্বাওয়াইদুল মুছলা, পৃ. ১৪; তাক্বরীবুত তাদমরিয়্যাহ, পৃ. ১১৬)।


প্রশ্নকারী : রাসেল মাহমুদ, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।





প্রশ্ন (৩০) : পরীক্ষার্থীদের জন্য বিদায় অনুষ্ঠান করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : জুমু‘আর ছালাত ছাড়া কোন ছালাত আদায় করে না। এমন বন্ধু বা আত্মীর সাথে সম্পর্ক রাখা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : আরাফার ময়দানে অনেক হাজীকে নিম্নের দু‘আটি পড়তে দেখা যায়। এই দু‘আটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : আল্লাহ তা‘আলাকে রব হিসাবে মানা বলতে কী বুঝায়? মক্কার কাফেররা কি আল্লাহ তা‘আলাকে রব্ব হিসাবে মেনে নিয়েছিল? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : মসজিদে বিয়ে পড়ানোর কোন ফযীলত আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : ছাহাবায়ে কেরাম বলতেন, ‘আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক’। এই কথার অর্থ কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৬) : নানীর আপন ভাইয়ের মেয়ে মাহরাম, না-কি গায়রে মাহরাম? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২১) : জনৈক ব্যক্তি জুমু‘আর ছালাত আদায়ের পর কারো সাথে কথা না বলে বাসায় গিয়ে দরজা লাগিয়ে গোপন একটি আমল করে। এটা কি শরী‘আত সম্মত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) মনে মনে কুরআন তেলাওয়াত করলে ছওয়াব পাওয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : বিবাহিত পুরুষ কুমারী মেয়ের সাথে যেনা করলে ইসলামী শরী‘আতে তার শাস্তি কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : সালাফী মানহাজ মতে, আশ‘আরী আক্বীদা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের অন্তর্ভুক্ত নয় অর্থাৎ বাতিল আক্বীদা। কিন্তু বাংলা উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুসারে আশ‘আরীর মধ্যে অন্যতম- ইমাম বায়হাক্বী, ইবনু হাজার আসক্বালানী, ইমাম দারাকুৎনী, খত্বীব বাগদাদী, ইমাম নববী, জালালুদ্দীন সুয়ূত্বী প্রমুখ। তাদের বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে ইলম নেয়ার ক্ষেত্রে সালাফী মানহাজের উছূল কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৬) : বিবাহ করা ফরয, না-কি সুন্নাত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ