বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৫ অপরাহ্ন
উত্তর : পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে আল্লাহ তা‘আলার অনেক সুন্দর সুন্দর ও সর্বোত্তম নাম ও গুণাবলী বর্ণিত হয়েছে। যেগুলোর উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখা ঈমানের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ لِلّٰہِ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰی فَادۡعُوۡہُ بِہَا ‘আর আল্লাহ তা‘আলার রয়েছে সর্বোত্তম নামসমূহ। সুতরাং তোমরা তাঁকে সেই সব নামেই ডাকবে’ (সূরা আল-আ‘রাফ : ১৮০)। রাসূল (ﷺ) বলেছেন, إِنَّ لِلهِ تِسْعَةً وَتِسْعِيْنَ إِسْمَا مِائَةً إِلَّا وَاحِدًا مَنْ أَحْصَاهَا دَخَلَ الْجَنَّةَ ‘আল্লাহর নামসমূহের মধ্যে এমন নিরানব্বইটি নাম রয়েছে, যে ব্যক্তি তা গণনা করবে বা মুখস্থ করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/২৭৩৬, ৬৪১০, ৭৩৯২; ছহীহ মুসলিম, হা/২৬৭৭)। আল্লাহকে যে যতবেশি চিনবে ও জানবে, সে ততবেশি আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সক্ষম হবে। সে সর্বদা একমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করবে। তাঁর সম্পর্কে জানার অন্যতম মাধ্যম হল, তাঁর নামসমূহ ও গুণাবলী সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা।

আল্লাহ তা‘আলার নামসমূহ ও গুণাবলী তথা আসমা ওয়াছ ছিফাত জানার গুরুত্ব অসংখ্য। যেমন- আল্লাহর নামসমূহের একটি হল الرَّزَّاق (আর-রাযযাক্ব) তথা রিযিক্বদাতা। যে ব্যক্তি আল্লাহর এই নামটি সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করবে, সে শুধু আল্লাহকেই রিযিক্বদাতা হিসাবে বিশ্বাস করবে। সে কখনোই রিযিক্ব লাভের জন্য কোন মূর্তি, পীর, দরবেশ বা অলী-আওলিয়ার কবরের কাছে রিযিক্ব বা সন্তান চাওয়ার জন্য যাবে না। বরং একমাত্র আল্লাহর কাছেই চাইবে। আল্লাহর অপর একটি নাম হলঃ الشَّافِي (আশ-শাফী) তথা আরোগ্য দানকারী। যে আল্লাহর এই নামটি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করবে, সে কেবল আল্লাহকেই আরোগ্যদানকারী হিসাবে বিশ্বাস করবে এবং একমাত্র আল্লাহর কাছেই সুস্থতা কামনা করবে। এর জন্য কখনই ল্যাংটা বাবা, বস্তা বাবা, চরমোনাই, আটরশী, শাহজালাল, শাহমখদুম ইত্যাদি বাবার কাছে যাবে না। যে তিনটি ক্ষেত্রে আল্লাহকে এক না মানলে মুসলিম হওয়া যায় না, সে তিনটির একটি হল তাওহীদুল আসমা ওয়াছ ছিফাত তথা আল্লাহকে তাঁর নামসমূহ ও গুণাবলীর ক্ষেত্রে এক মানা (আল-ক্বাওয়াইদুল মুছলা, পৃ. ১৪; তাক্বরীবুত তাদমরিয়্যাহ, পৃ. ১১৬)।


প্রশ্নকারী : রাসেল মাহমুদ, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।





প্রশ্ন (৬) : চোখ বন্ধ করে ছালাত আদায় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : ‘যে ব্যক্তি কাতার মিলাবে, আল্লাহও তাকে তাঁর রহমত দ্বারা মিলাবেন। আর যে ব্যক্তি কাতার ভঙ্গ করবে, আল্লাহও তাকে তাঁর রহমত হতে কর্তন করবেন’। উক্ত হাদীছ কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : জনৈক বক্তা বলেছেন, যার নিছাব পরিমাণ সম্পদ আছে, তার উপর ফিতরা ওয়াজিব। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? কতটুকু খাবার থাকলে ফিতরা দিতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : সহবাসের ক্ষেত্রে কোন্ কোন্ বিষয় নিষিদ্ধ? বিশেষ করে স্বামী-স্ত্রীর লজ্জাস্থানে মুখ দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : ইসলামী অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য কেমন হওয়া উচিত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৩) : জুমু‘আর দিনে ইমাম মিম্বারে বসেছেন এবং মুওয়াযযিন আযান দিচ্ছেন; এমতাবস্থায় কোন মুছল্লী মসজিদে প্রবেশ করলে তার করণীয় কি? সে দু’ রাকা‘আত ছালাত শুরু করবে নাকি আযানের জবাব দিবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : আল-কুরআনের মুহকাম ও মুতাশাবিহ আয়াত বলতে কী বুঝায়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : পূর্বের সন্তান অথবা মায়ের স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণে গর্ভপাত করার বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৩) : জনৈক আলেম বলেন, রাসূল (ﷺ) তাঁর স্ত্রীদেরকে রান্নার কাজে সহযোগিতা করতেন’। উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৬) : পিতা-মাতার অনুমতি ছাড়া ছেলে বিবাহ করতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৬) : যিলহজ্জের দশ তারিখের বিশেষ কোন বৈশিষ্ট্য আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : জামা‘আতে ছালাত আদায় করার বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ