সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন
উত্তর : পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে আল্লাহ তা‘আলার অনেক সুন্দর সুন্দর ও সর্বোত্তম নাম ও গুণাবলী বর্ণিত হয়েছে। যেগুলোর উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখা ঈমানের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ لِلّٰہِ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰی فَادۡعُوۡہُ بِہَا ‘আর আল্লাহ তা‘আলার রয়েছে সর্বোত্তম নামসমূহ। সুতরাং তোমরা তাঁকে সেই সব নামেই ডাকবে’ (সূরা আল-আ‘রাফ : ১৮০)। রাসূল (ﷺ) বলেছেন, إِنَّ لِلهِ تِسْعَةً وَتِسْعِيْنَ إِسْمَا مِائَةً إِلَّا وَاحِدًا مَنْ أَحْصَاهَا دَخَلَ الْجَنَّةَ ‘আল্লাহর নামসমূহের মধ্যে এমন নিরানব্বইটি নাম রয়েছে, যে ব্যক্তি তা গণনা করবে বা মুখস্থ করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/২৭৩৬, ৬৪১০, ৭৩৯২; ছহীহ মুসলিম, হা/২৬৭৭)। আল্লাহকে যে যতবেশি চিনবে ও জানবে, সে ততবেশি আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সক্ষম হবে। সে সর্বদা একমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করবে। তাঁর সম্পর্কে জানার অন্যতম মাধ্যম হল, তাঁর নামসমূহ ও গুণাবলী সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা।

আল্লাহ তা‘আলার নামসমূহ ও গুণাবলী তথা আসমা ওয়াছ ছিফাত জানার গুরুত্ব অসংখ্য। যেমন- আল্লাহর নামসমূহের একটি হল الرَّزَّاق (আর-রাযযাক্ব) তথা রিযিক্বদাতা। যে ব্যক্তি আল্লাহর এই নামটি সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করবে, সে শুধু আল্লাহকেই রিযিক্বদাতা হিসাবে বিশ্বাস করবে। সে কখনোই রিযিক্ব লাভের জন্য কোন মূর্তি, পীর, দরবেশ বা অলী-আওলিয়ার কবরের কাছে রিযিক্ব বা সন্তান চাওয়ার জন্য যাবে না। বরং একমাত্র আল্লাহর কাছেই চাইবে। আল্লাহর অপর একটি নাম হলঃ الشَّافِي (আশ-শাফী) তথা আরোগ্য দানকারী। যে আল্লাহর এই নামটি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করবে, সে কেবল আল্লাহকেই আরোগ্যদানকারী হিসাবে বিশ্বাস করবে এবং একমাত্র আল্লাহর কাছেই সুস্থতা কামনা করবে। এর জন্য কখনই ল্যাংটা বাবা, বস্তা বাবা, চরমোনাই, আটরশী, শাহজালাল, শাহমখদুম ইত্যাদি বাবার কাছে যাবে না। যে তিনটি ক্ষেত্রে আল্লাহকে এক না মানলে মুসলিম হওয়া যায় না, সে তিনটির একটি হল তাওহীদুল আসমা ওয়াছ ছিফাত তথা আল্লাহকে তাঁর নামসমূহ ও গুণাবলীর ক্ষেত্রে এক মানা (আল-ক্বাওয়াইদুল মুছলা, পৃ. ১৪; তাক্বরীবুত তাদমরিয়্যাহ, পৃ. ১১৬)।


প্রশ্নকারী : রাসেল মাহমুদ, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।





প্রশ্ন (৩৪) : ঈদের খুত্ববাহ কয়টি? কোথাও একটি আবার কোথাও দু’টি দিতে দেখা যায়। কোনটি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : কেউ মূর্তি পূজা করলে ইসলামে তার হুকুম কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : প্রত্যেক ফরয ছালাতের পর সূরা আল-ইখলাছ তিনবার করে পড়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : তাবলীগ জামাতের জনৈক ব্যক্তি বলেন, হাদীছে এসেছে, ‘সর্বপ্রথম রহমত অবতীর্ণ হয় বাইতুল্লাহ তথা কা‘বা ঘরের উপর। তারপর সেখান থেকে অন্যান্য মসজিদে তা ভাগ করা হয়’। হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : প্রথম স্ত্রী ও দ্বিতীয় স্ত্রীর মোহরনা কি একই হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪৮) : মানুষ মারা গেলে চল্লিশা করা কি ঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : শাফা‘আত করা ও তা মঞ্জুরের জন্য কোন শর্ত আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : পানিতে বরই পাতা মিশিয়ে মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেয়া হয় কেন? সাবান দিয়ে গোসল দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৭) : বিপদে পরে শাশুড়ী জামাইয়ের নিকট থেকে কিছু ঋণ গ্রহণ করেছিলেন। এখন শাশুড়ী ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম। জামাই নিতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : এ্যানিমেশন কার্টুন দেখা কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : শ্বশুর যদি কোন জিনিস ইচ্ছা করে দেয়, তাহলে সেটা নেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : নূহ (আলাইহিস সালাম) ও হূদ (আলাইহিস সালাম) উভয়ের স্ত্রী কাফের, না-কি শুধু কাবীরা গুনাহের জন্য উভয়ে জাহান্নামে যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ