উত্তর : পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে আল্লাহ তা‘আলার অনেক সুন্দর সুন্দর ও সর্বোত্তম নাম ও গুণাবলী বর্ণিত হয়েছে। যেগুলোর উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখা ঈমানের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَ لِلّٰہِ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰی فَادۡعُوۡہُ بِہَا ‘আর আল্লাহ তা‘আলার রয়েছে সর্বোত্তম নামসমূহ। সুতরাং তোমরা তাঁকে সেই সব নামেই ডাকবে’ (সূরা আল-আ‘রাফ : ১৮০)। রাসূল (ﷺ) বলেছেন, إِنَّ لِلهِ تِسْعَةً وَتِسْعِيْنَ إِسْمَا مِائَةً إِلَّا وَاحِدًا مَنْ أَحْصَاهَا دَخَلَ الْجَنَّةَ ‘আল্লাহর নামসমূহের মধ্যে এমন নিরানব্বইটি নাম রয়েছে, যে ব্যক্তি তা গণনা করবে বা মুখস্থ করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/২৭৩৬, ৬৪১০, ৭৩৯২; ছহীহ মুসলিম, হা/২৬৭৭)। আল্লাহকে যে যতবেশি চিনবে ও জানবে, সে ততবেশি আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সক্ষম হবে। সে সর্বদা একমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করবে। তাঁর সম্পর্কে জানার অন্যতম মাধ্যম হল, তাঁর নামসমূহ ও গুণাবলী সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা।
আল্লাহ তা‘আলার নামসমূহ ও গুণাবলী তথা আসমা ওয়াছ ছিফাত জানার গুরুত্ব অসংখ্য। যেমন- আল্লাহর নামসমূহের একটি হল الرَّزَّاق (আর-রাযযাক্ব) তথা রিযিক্বদাতা। যে ব্যক্তি আল্লাহর এই নামটি সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করবে, সে শুধু আল্লাহকেই রিযিক্বদাতা হিসাবে বিশ্বাস করবে। সে কখনোই রিযিক্ব লাভের জন্য কোন মূর্তি, পীর, দরবেশ বা অলী-আওলিয়ার কবরের কাছে রিযিক্ব বা সন্তান চাওয়ার জন্য যাবে না। বরং একমাত্র আল্লাহর কাছেই চাইবে। আল্লাহর অপর একটি নাম হলঃ الشَّافِي (আশ-শাফী) তথা আরোগ্য দানকারী। যে আল্লাহর এই নামটি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করবে, সে কেবল আল্লাহকেই আরোগ্যদানকারী হিসাবে বিশ্বাস করবে এবং একমাত্র আল্লাহর কাছেই সুস্থতা কামনা করবে। এর জন্য কখনই ল্যাংটা বাবা, বস্তা বাবা, চরমোনাই, আটরশী, শাহজালাল, শাহমখদুম ইত্যাদি বাবার কাছে যাবে না। যে তিনটি ক্ষেত্রে আল্লাহকে এক না মানলে মুসলিম হওয়া যায় না, সে তিনটির একটি হল তাওহীদুল আসমা ওয়াছ ছিফাত তথা আল্লাহকে তাঁর নামসমূহ ও গুণাবলীর ক্ষেত্রে এক মানা (আল-ক্বাওয়াইদুল মুছলা, পৃ. ১৪; তাক্বরীবুত তাদমরিয়্যাহ, পৃ. ১১৬)।
প্রশ্নকারী : রাসেল মাহমুদ, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।