সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০২:৩৬ অপরাহ্ন
উত্তর : প্রথম বৈঠকে তাশাহ্হুদ অর্থাৎ আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করার পর নবী (ﷺ)-এর উপর দুরূদ পাঠ করার ব্যাপারে আলেমগণ দু’টি ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন। প্রথম মত: অধিকাংশ আলেম বলেন, ইজমা‘ অনুযায়ী ‘প্রথম বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করার পর কোন কিছু অতিরিক্ত বৃদ্ধি করা যাবে না’। আবূ হানীফা, আহমাদ, ইসহাক্ব এবং আত্বা, শা‘বী, নাখঈ ও ছাওর (রাহিমাহুমুল্লাহ) একই কথা বলেছেন’ (তুহফাতুল ফুক্বাহা, ১/১৩৭; ফাৎহুল বারী লি ইবনে রজব, ৭/৩৪১; আল-মাজমূঊ লিন-নাবাবী, ৩/৪৬০ পৃ.)। ইবনুল মুনযির, ‘আত্বা ও ত্বাউস (রাহিমাহুমুল্লাহ) বলেন, ‘অনেকেই প্রথম বৈঠকে তাশাহহুদ অর্থাৎ আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করার পর কোন কিছু বৃদ্ধি করাকে মাকরূহ অর্থাৎ অপসন্দনীয় বলেছেন। মূলত প্রথম বৈঠক বলতে তাশাহহুদকেই বুঝানো হয়েছে। ইমাম নাখঈ, ছাওর, আহমাদ, ইসহাক্ব এবং আমাদের অন্যান্য সাথীরা এ কথাই বলেছেন। ইমাম শা‘বী (রাহিমাহুল্লাহ) বলতেন, যে ব্যক্তি দুই রাক‘আতের বৈঠকে তাশাহ্হুদ অর্থাৎ আত্তাহিয়্যাতুর উপর কোন কিছু বৃদ্ধি করবে তাকে দু’টি সাহু সাজদাহ করতে হবে (আল-আওসাত্ব, ৩/৩৭৯ পৃ.)।

উক্ত অভিমতের দলীল হলো, এ সম্পর্কে নবী (ﷺ) থেকে এমন কোন তথ্য প্রমাণিত নয়, যা প্রমাণ করে যে তিনি এরূপ করতেন এবং তিনি উম্মতকে এ সম্পর্কে শিক্ষাও প্রদান করেননি এবং কোন ছাহাবী যে একে মুস্তাহাব বলেছেন, তাও জানা যায় না (জালাউল আফহাম লি ইবনিল ক্বাইয়িম, পৃ. ৩৬০)।

দ্বিতীয় মত হল, ‘প্রথম বৈঠকে তাশাহ্হুদ অর্থাৎ আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করার পর রাসূল (ﷺ)-এর উপর দরূদ পাঠ করা মুস্তাহাব’ (আল-মাজমূঊ লিননাবাবী, ৩/৪৬০; রাওযাতুত্ব ত্বালিবীন, ১/২২৩; আল-ইনছাফ, ২/৫৬; আল-মুবদি‘, ১/৪১৩ পৃ.)। ইমাম ইবনু হাযম (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, উভয় বৈঠকেই তাশাহ্হুদ অর্থাৎ আত্তাহিয়্যাতু সম্পূর্ণ করার পর রাসূল (ﷺ)-এর উপর দরূদ পাঠ করাকে আমরা মুস্তাহাব মনে করি (আল-মুহাল্লা, ৩/৫০ পৃ.)। শায়খ উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘প্রথম বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করার পর যে ব্যক্তি কোন কিছু অতিরিক্ত বৃদ্ধি করবে তাতেও কোন সমস্যা নেই। আর যে কোন কিছু বৃদ্ধি করবে না, তাতেও কোন সমস্যা নেই’ (লিক্বাউল বাব আল-মাফতূহ, লিক্বা নং-১২২)।

শায়খ ইবনে বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘প্রথম বৈঠকে তাশাহ্হুদ অর্থাৎ আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করার পর কেউ যদি দরূদ পাঠ না করে, তবে তা দোষনীয় নয়। কেননা প্রথম বৈঠকে এটি পাঠ করা মুস্তাহাব, ওয়াজিব নয়’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ১১/১৪ পৃ.)। তিনি আরো বলেন, ‘সঠিক মত এটিই যে, যোহর, আছর, মাগরিব ও এশার ছালাতের প্রথম বৈঠকে শুধু তাশাহ্হুদ ও রাসূল (ﷺ)-এর উপর দুরূদ পাঠ করা শরী‘আত দ্বারা অনুমোদিত। বাকি অন্যান্য দু‘আ দ্বিতীয় বৈঠকে পঠনীয়’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনে বায, ১১/১৬১-১৬৩ পৃ.)। সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটির আলেমগণ বলেন, ‘আম বা সাধারণ হাদীছের আলোকে উভয় বৈঠকেই শাহাদাতাইন অর্থাৎ আত্তাহিয়্যাতু পাঠ করার পর নবী (ﷺ)-এর দুরূদ পাঠ করা সুন্নাত’ (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ৭/৯-১৩ পৃ.)।


প্রশ্নকারী : সামিঊল, কুলপাড়া, রাজশাহী।





প্রশ্ন (৬): ‘সূরা আল-ফাতিহা সকল রোগের আরোগ্য’ মর্মে বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : কুরআনের আয়াত পড়ে অনেকেই বলে থাকে, اَتِمُّوا الصِّیَامَ اِلَی الَّیۡلِ ‘তোমরা রাত্রি পর্যন্ত ছিয়াম পূর্ণ কর’। তাই রাত্রি না হওয়া পর্যন্ত ইফতার করা যাবে না। অতএব দেরী করাই উত্তম। উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : যিলহজ্জ মাসে কয়দিন তাকবীর পাঠ করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : ঈদের দিনে কুরবানীর পশুর রক্ত ঝরানোর চেয়ে আল্লাহর নিকট অধিক পসন্দনীয় কোন আমল নেই। সে ক্বিয়ামত দিবসে উক্ত পশুর শিং, খুর, লোম প্রভৃতি নিয়ে উপস্থিত হবে এবং তার রক্ত যমীনে পড়ার পূর্বেই আল্লাহর নির্ধারিত মর্যাদার স্থানে পতিত হয়। অতএব তোমরা প্রফুল্লচিত্তে কুরবানী কর’। হাদীছটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : আমাদের গ্রামে ঈদের ছালাতের আগে মাইকে অনেক ডাকাডাকি করে। এমনকি ছালাত শুরুর আগে ৩০/৪০ মিনিট বয়ান করে। ইসলামে এর কোন প্রমাণ আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৭) : মাহরাম ছাড়া কোন মহিলা হজ্জ করতে যেতে পারবে কি? বুদ্ধিমান বালক কি মাহরাম হতে পারে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৩) : আহলে বাইত বলতে কাদেরকে বুঝানো হয়? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : মাইয়েতকে কবর দেয়ার সময় কবরের চার পাশে চারটি খেজুরের ডাল পোঁতা হয় এবং চার কুল পড়া হয়। এর কোন দলীল আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : জনৈক মুফতি বলেন, নবী (ﷺ)-এর কবরের মাটি আল্লাহর আরশ থেকেও শ্রেষ্ঠ। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : রান্নাবান্না ও বিভিন্ন কাজের মাঝে থেকে মহিলারা কিভাবে রামাযানকে কাজে লাগাতে পারবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫): আমি একজন প্রবাসী। প্রবাসেই  রামাযানের ছিয়াম রাখি। প্রশ্ন হল- আমাকে কি আমার ফিতরা প্রবাসেই আদায় করতে হবে, না-কি দেশে আমার পরিবারকে আমার ফিতরা আদায় করার দায়িত্ব দিতে পারব? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : আমার স্ত্রী ২০২২ এর মার্চ মাসে সন্তান প্রসব করেন, সে জন্য এপ্রিলে ছিয়াম রাখতে পারেননি। পরের বছর সন্তানের বয়স কম থাকায় এবং বাচ্চা যথেষ্ট বুকের দুধ পাবে না, এই জন্য ২০২৩ এর ছিয়াম ও রাখেননি বা রাখতে পারেননি। এমতাবস্থায় আবার সে কনসেপ করে এবং এই রামাযানের (২০২৪) পরেই ডেলিভারি সম্ভব্য সময়। সে জন্য এই বছরের (২০২৪) ছিয়াম রাখতেও পারবে না। তাহলে তার মোট ৩ বারের ছিয়াম ক্বাযা হচ্ছে। এই অবস্থায় শারঈ বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ