সুবহানাল্লাহ্, লা ইলাহ ইল্লাল্লাহ্, আল্লাহু আকবার। বেশি বেশি ইস্তিগফার করা, দু‘আ করা, মুয়াযযিনের আযানের জবাব দেয়া। জিহ্বা যেন আল্লাহর যিকির দ্বারা সতেজ থাকে। মনোযোগ দিয়ে কুরআন তেলাওয়াত শুনতে পারে। সামান্য কিছু কথা উচ্চারণ করে মহা ছওয়াব প্রাপ্তির সুযোগ গ্রহণ করার সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। প্রতিবার ‘সুবহানাল্লাহ’ বলা একটি ছাদাক্বাহ, প্রতিবার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা একটি ছাদাক্বাহ, প্রতিবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলা একটি ছাদাক্বাহ, প্রতিবার ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু বলা’ একটি ছাদাক্বাহ। ‘সৎ কাজের আদেশ দেয়া’ একটি ছাদাক্বাহ ও ‘অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা’ একটি ছাদাক্বাহ। আর দুই রাক‘আত চাশতের ছালাত আদায় করা করলে এ সবকিছুর পরিবর্তে যথেষ্ট হয়ে যাবে (ছহীহ মুসলিম, হা/৭২০)।
অন্যত্র নবী (ﷺ) বলেন, ‘দুটো বাণী উচ্চারণে হালকা, কিন্তু মীযানে ভারী এবং আর-রহমানের কাছে খুবই প্রিয়। আর তা হল- সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আযীম’ (ছহীহ বুখারী, হা/৬৬৮২; ছহীহ মুসলিম, হা/২৬৮৪)। তিনি আরো বলেন, ‘যে ব্যক্তি বলবে, ‘সুবহানাল্লাহি আযীম ওয়াবি হামদিহি, তাহলে তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুর বৃক্ষ রোপণ করা হবে’ (তিরমিযী, হা/৩৪৬৫)। অন্যত্র তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি বলবে, ‘আস্তাগফিরুল্লাহাল আযীম আল্লাযি লা ইলাহা ইল্লাহু ওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়ূম ওয়া আ-তুবু ইলাইহি, তাহলে তার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে, এমনকি সে যদি জিহাদ থেকে পলায়ন করে থাকে তবুও’ (আবূ দাঊদ, হা/১৫১৭; তিরমিযী, হা/৩৫৭৭, সনদ ছহীহ)। এছাড়াও অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ দু‘আ ও যিকির-আযকার তো রয়েছেই (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৬৫৮৭৫, ৪১৫৬)।