বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৮ অপরাহ্ন
উত্তর : ঋণের দেয়ার সঠিক পন্থা হল :
১- ঋণের সময়সীমা নির্ধারণ অর্থাৎ যে সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পর ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
২- ঋণ ও এর সময়সীমা লিখে রাখা।
৩- ঋণ যিনি লিখবেন তিনি যদি ঋণগ্রহীতা ছাড়া অন্য কেউ হন তাহলে ঋণগ্রহীতা তাকে কী লিখবেন তা বলে দিবেন।
৪- ঋণগ্রহীতা যদি অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে যা লিখতে হবে তা বলতে না পারেন তাহলে তার অভিভাবক সেটা বলে দিবেন।
৫- ঋণের পক্ষে সাক্ষী রাখা। দু’জন পুরুষ অথবা একজন পুরুষ ও দুইজন নারীকে সাক্ষী রাখা।
৬- ঋণদাতার এ অধিকার আছে যে, তিনি ঋণের গ্যারান্টি হিসাবে ঋণগ্রহীতার কাছে কোন কিছু বন্ধক রাখবেন (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২৮২-২৮৩)।
বন্ধকের উপকারিতা হল ঋণ পরিশোধের সময় আসলে যদি ঋণগ্রহীতা ঋণ পরিশোধ না করে, তাহলে বন্ধকের সামগ্রীটি বিক্রি করে ঋণ আদায় করা হবে। যদি ঋণ আদায় করার পর কিছু অর্থ বাকি থাকে তাহলে সেটা মালিককে তথা ঋণগ্রহীতাকে ফেরত দেয়া হবে। ঋণের গ্যারান্টি তিন পদ্ধতি তথা লেখা, সাক্ষ্য গ্রহণ করা, বন্ধক নেয়ার কোন এক পদ্ধতিতে হতে পারে। গ্যারান্টি প্রদান মুস্তাহাব ও উত্তম। এটি ওয়াজিব নয়। কোন কোন আলেম ঋণ লিখে রাখাকে ওয়াজিব বলেছেন। তবে অধিকাংশ আলেমের মতে হলো লিখে রাখা মুস্তাহাব। আর এটাই শক্তিশালী অভিমত (তাফসীরুল কুরতুবী, ৩/৩৮৩ পৃ.)।

নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, ঋণ যদি লিখে রাখা না হয় এবং ঋণগ্রহীতা ঋণ ফিরিয়ে দিতে বিলম্ব করে বা অস্বীকৃতি জানায়; তখন তার বিরুদ্ধে ঋণদাতার দু‘আ কবুল হয় না। নবী (ﷺ) বলেন, ‘তিনজন ব্যক্তি আল্লাহর কাছে দু‘আ করলে তাদের দু‘আ কবুল হয় না’ ... তাদের মধ্যে উল্লেখ করেছেন, ‘এমন এক ব্যক্তি অন্য লোকের কাছে যার পাওনা আছে; কিন্তু ঐ ঋণের পক্ষে সে সাক্ষী রাখেনি’ (ছহীহুল জামে‘, হা/৩০৭৫)।

শরয়ী এই বিধানগুলো এবং অন্য বিধানগুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করলে যে কেউ ইসলামী শরী‘আতের পূর্ণতা জানতে পারবে এবং ইসলামী আইন মানুষের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ ও সেগুলো নষ্ট হতে না দেয়ার ব্যাপারে কত সতর্ক; সেটা যত অল্পই হোক না কেন। ‘ছোট হোক কিংবা বড় হোক, ঋণ লেনদেনের বিষয়টি মেয়াদ উল্লেখসহ লিখে রাখতে তোমরা বিরক্ত হয়ো না’। ইসলামী আইনের মত আর এমন কোন আইন আছে কি, যেটা দ্বীনী ও দুনিয়াবী কল্যাণের মাঝে এতটা পূর্ণাঙ্গরপে সমন্বয় করেছে? কেউ কি এই বিধানগুলোর চেয়ে পূর্ণতর কিছু প্রণয়ন করতে পারবে?! আল্লাহ সত্যই বলেছেন, ‘দৃঢ় বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য বিধান প্রদানে আল্লাহর চাইতে কে বেশি শ্রেষ্ঠ?’ (সূরা আল-মায়িদাহ : ৫০; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১৩১৮০)।


প্রশ্নকারী : মুবারক, দিনাজপুর।





প্রশ্ন (১) : আল্লাহ তা‘আলার আরশ বহনকারী ফেরেশতার সংখ্যা কত? তাদের আকৃতি কেমন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : মসজিদ কে কি masque বলা যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : সফরে গমনকালে বাড়ীতেই যোহর ও আছর ছালাত একসাথে জমা করে আদায় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : অনলাইনে অর্থাৎ ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে বিভিন্ন বই বিক্রি করা যেমন, বাংলা গল্পের, উপন্যাসের, ইংরেজি বিভিন্ন লেখকের Novel, History, Science, Fiction, Fantasy, Romantic, Motivational ইত্যাদি বই বিক্রি করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : জামা‘আতে ছালাত আদায় করার বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : বউ-শাশুড়ীর মাঝে পরস্পর ঝগড়া-বিবাদ লাগলে মীমাংসার জন্য স্বামী যদি কৌশলে মায়ের সাথে স্ত্রীর নামে মিথ্যা কথা বলে এবং স্ত্রীর সাথে মায়ের নামে মিথ্যা কথা বলে, তাহলে বৈধ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির টাকা ফেরত দেয়ার সক্ষমতা নেই। এক্ষেত্রে ঋণদাতা যদি তাকে পাফ করে দেয় তাহলে তার ফযীলত কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : জুমু‘আর খুৎবাহ বসে বসে দেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : তাবলীগ জামা‘আতের ‘ফাযায়েলে আমল’ বইয়ে বর্ণিত আছে যে, সাঈদ ইবনু মুসাইয়িব (রাহিমাহুল্লাহ) পঞ্চাশ বছর পর্যন্ত এশা ও ফজরের ছালাত একই ওযূ দ্বারা পড়েছেন (ঐ, (বাংলা), পৃ. ১৬০; (উর্দূ), পৃ. ৬৮)। উক্ত বিষয়টি কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : প্রতিদিন রাতে সূরা মুলক পড়া সুন্নাহ। প্রশ্ন হল- যদি কেউ মাগরিবের ছালাত অথবা এশার ছালাতের পর সময়ের ব্যস্ততার কারণে মসজিদ থেকে বের হয়ে কর্মস্থানে যেতে যেতে সূরা মুলক পাঠ করে, তাহলে কি ছওয়াব পাওয়া যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : জনৈক ব্যক্তি বলেন, ছেলে-মেয়ে ও নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য বগলের লোম তুলে ফেলতে হবে, ব্লেড ব্যবহার করা যাবে না। এই দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : রামাযান মাসের ছিয়ামের ক্বাযা বাকি রেখে, শাওয়াল মাসের ছয়টি ছিয়াম পালন করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ