উত্তর : পরিচয় দেয়াতে কোন সমস্যা নেই। তবে ইখলাছের সাথে দাওয়াতী কাজ করতে হবে। রিয়া বা অহংকার যেন সৃষ্টি না হয়। কেননা মহান আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার জন্য অনেকগুলো সৎ আমলের মধ্যে আল্লাহর পথে দাওয়াত অন্যতম। যারা এই কাজটি করে আল্লাহ তা‘আলা তাদের প্রশংসা করে আয়াত অবতীর্ণ করেছেন। তিনি বলেন,
وَ مَنۡ اَحۡسَنُ قَوۡلًا مِّمَّنۡ دَعَاۤ اِلَی اللّٰہِ وَ عَمِلَ صَالِحًا وَّ قَالَ اِنَّنِیۡ مِنَ الۡمُسۡلِمِیۡنَ
‘ঐ ব্যক্তি অপেক্ষা কথায় কে উত্তম, যে আল্লাহর দিকে মানুষকে আহ্বান করে, সৎ কর্ম করে এবং বলে, আমি তো আত্মসমর্পণকারীদের অন্তর্ভুক্ত’ (সূরা হামীম সাজদাহ : ৩৩)।
উপরিউক্ত অবস্থার প্রেক্ষিত মানুষকে আল্লাহর দিকে আহ্বানের ক্ষেত্রে দু’টি পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়। যেমন বিশেষ দাওয়াত। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যক্তিকে টার্গেট করে তাকে ইসলামের দাওয়াত দেয়া এবং সাধারণ দাওয়াত, এক্ষেত্রে সেমিনার-সেম্পোজিয়াম, জুমু‘আর খুৎবাহ ইত্যাদি। এতদ্ব্যতীত দাওয়াতের আরো উপকারী পদ্ধতি রয়েছে। যেমন, বই প্রকাশ, সুন্দর উপস্থাপনা ও বোধগম্য ভাষায় লিফলেট প্রকাশ ইত্যাদি। সুতরাং দাওয়াতী কাজের জন্য খুলূছিয়াতের সাথে প্রশ্নে বর্ণিত পদ্ধতিতে লিফলেট, হ্যান্ডবিল ইত্যাদি প্রচার করা যাবে (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়েমাহ, ১১ তম খণ্ড, পৃ. ৩১-৩২)।
প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ, নীলফামারী।