উত্তর : تَوْحِيْد (তাওহীদ) শব্দটি আরবী। তাওহীদের শাব্দিক অর্থ একত্ব, কোন বস্তুকে এক করে দেয়া। পারিভাষিক অর্থ হল- আল্লাহ তা‘আলাকে সত্তাগত ও গুণগত দিক দিয়ে একক জেনে তাঁরই ইবাদত করা। অথবা পরিপূর্ণ গুণের সমন্বয়ে রবের একত্বতা সম্পর্কে বান্দার জ্ঞান, বিশ্বাস, স্বীকৃতি ও ঈমান এবং এতে রবকে একক হিসাবে মানা, এ বিশ্বাস স্থাপন করা যে, তাঁর কোন শরীক নেই, তাঁর পূর্ণতায় কোন উপমা নেই, তিনি সমস্ত বান্দার ইলাহ ও মা‘বূদ। তাঁকে সব ধরনের ইবাদতের জন্য একক গণ্য করা। তাঁর সাথে কাউকে শরীক না করা। এটি ইসলামী আক্বীদার মূল ভিত্তি। কারণ মানব জীবনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব সৃষ্টিকারী হচ্ছে এই তাওহীদ। এ আক্বীদা গ্রহণকারী একজন মানুষ যে পরিমাণ ত্যাগ ও কঠিন কর্ম সম্পাদন করতে পারে, তা এই আক্বীদাশূন্য কারো পক্ষে সম্ভব নয়। তবে তাওহীদের প্রভাব সে ব্যক্তির মধ্যেই বিকশিত হবে, যে একে আলিঙ্গন করবে এবং এর রঙে রঙিন হবে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, একটি ব্যাটারী বিদ্যুৎ থেকে যে পরিমাণ চার্জ সংগ্রহ ও ধারণ করতে পারবে, সে সে পরিমাণ-ই দায়িত্ব পালন করতে পারবে। এটাই খাঁটি তাওহীদে বিশ্বাসী একজন পূর্ণ ঈমানদার ব্যক্তির উদাহরণ। যে ব্যক্তি ইসলামী আক্বীদা থেকে শক্তি সঞ্চয় করে এবং প্রাণবন্তভাবে নিজ দায়িত্ব পালন করে, সেই হচ্ছে শাশ্বত দীক্ষায় দীক্ষিত প্রকৃত মুসলমান। তাওহীদে বিশ্বাস মানুষকে ইবাদত ও সৎকর্মে উৎসাহিত করে। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য মানুষ সৎকর্মে অগ্রসর হয়। অসৎ ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত থাকে। ফলে মানব সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রশ্নকারী : হাবীব, টাঙ্গাইল।