উত্তর : মোটেও সাংঘর্ষিক নয়, বরং দুটিই স্ব-স্ব স্থানে প্রাসঙ্গিক। দাইয়ূছ কাকে বলে সেটা বুঝতে পারলে এমনটি মনে হত না। আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেকেই স্বীয় কৃতকর্মের জন্য দায়ী হবে এবং কেউ অন্য কারো দ্বায়ভার বহন করবে না’ (সূরা আল-আন‘আম : ১৬৪)।
দ্বিতীয়তঃ ‘দাইয়ূছ’ (دَيُّوث) শব্দের অর্থ হল, কলুষিত ও কদর্য বিবেকসম্পন্ন, ব্যভিচারের দূত, নারী-পুরুষের অবৈধ মিলনের দূত। অর্থাৎ যে ব্যক্তি তার স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের যিনা-ব্যাভিচার ও অশ্লীল কাজ-কর্মকে ভাল মনে করে গ্রহণ করে অথবা প্রতিবাদ না করে চুপ থাকে (আল-মাউসূ‘আতুল ফিক্বহিয়্যাহ আল-কুয়েতিয়্যাহ, ২১/৯৬ পৃ.)। ‘দাইয়ূছ’-এর পরিচয় দিয়ে নবী (ﷺ) বলেন, اَلدَّيُّوْثُ الَّذِي يُقِرُّ فِي أَهْلِهِ الْخَبَثَ ‘দাইয়ূছ’ বলতে বুঝায় ঐ ব্যক্তিকে, যে তার পরিবারের অশ্লীলতা ও বেহায়াপনাকে মেনে নেয়’ (নাসাঈ, হা/২৫৬২; মুসনাদে আহমাদ, হা/৫৩৭২, ৬১১৩)। তিনি অন্য বর্ণনায় বলেন, الَّذِيْ لَا يُبَالِيْ مَنْ دَخَلَ عَلٰى أَهْلِهِ ‘দাইয়ূছ বলতে বুঝায় ঐ ব্যক্তিকে, যে তার পরিবারের নিকট কে প্রবেশ করল (অর্থাৎ কে এলো আর গেল) এ ব্যাপারে কোন ভ্রƒক্ষেপ করে না (বাইহাক্বী, হা/১০৮০০; ছহীহ আত-তারগীব ওয়া তারহীব, হা/২০১৭, ২৩৬৭)।
হাদীছগুলো প্রমাণ করে যে, দাইয়ূছ ব্যক্তি বড় অপরাধী। দায়িত্বে অবহেলার কারণে তাকে তো শাস্তি ভোগ করতেই হবে।
প্রশ্নকারী : আল-মামুন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।