মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৩ অপরাহ্ন
উত্তর : শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) ও শায়খ উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ছিয়াম থাকা অবস্থায় প্রয়োজনে রক্ত পরীক্ষা করলে ছিয়াম ভঙ্গ হয় না। কেননা এতে খুবই যৎসামান্য রক্ত নেয়া হয়ে থাকে, যার ফলে শরীরে কোন প্রভাব পড়ে না। আর এটি হিজামার অন্তর্ভুক্ত নয়। পক্ষান্তরে অধিক মাত্রায় রক্ত নেয়া হলে ছিয়াম ভঙ্গ হয়ে যাবে। যেমন কাউকে রক্তদান করার উদ্দেশ্যে, কেননা এটি হিজামাহ বা কাপিংয়ের অন্তর্ভুক্ত। সেজন্য ছিয়াম থাকা অবস্থায় স্বেচ্ছায় রক্তদান করা জায়েয নয়। কেননা এর ফলে ছিয়াম ভঙ্গ হয়ে যায়। তবে হ্যাঁ, যদি রোগীর অবস্থা খুবই বিপদজনক হয়, আর সে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ধৈর্যধারণ করতে না পারে এবং ডাক্তারেরা সিদ্ধান্ত নেয় যে, ছিয়াম পালনকারী ব্যক্তির রক্ত পেলে রোগী উপকৃত হবে এবং তার প্রয়োজন পূরণ হবে, সেক্ষেত্রে রক্তদান করা জায়েয। পরে অবশ্যই এই দিনের ক্বাযা আদায় করে নেবে (মাজমূঊ ফাতাওয়া লিইবনি বায, ১৫/২৭৪ পৃ.; ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম, পৃ. ৪৭৮; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৫০৪০৬)।

শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ), সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটি, শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ), শায়খ উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) ও হাম্বালী মাযহাবের আলিমগণ বলেন, ছিয়াম থাকা অবস্থায় হিজামাহ বা কাপিং করলে ছিয়াম ভঙ্গ হয়ে যায় (মাজমূঊল ফাতাওয়া লিইবনি তাইমিয়্যাহ, ২০/৫২৮ ও ২৫/২৫২ পৃ.; ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ৯/১৭৯ পৃ.; মাজমূঊ ফাতাওয়া লিইবনি বায, ১৫/২৭১-২৭২; মাজমূঊ ফাতাওয়া লিইবনি উছায়মীন, ২০/১৪৫ পৃ.; আশ-শারহুল মুমতি, ৬/৩৫১; আল-ইনছাফ, ৩/২১৪ পৃ.; আশ-শারহুল কাবীর, ৩/৪০ পৃ.)। ছাওবান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) ও শাদ্দাদ ইবনু আওস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেন, أَفْطَرَ الْحَاجِمُ وَالْمَحْجُوْمُ ‘রক্তমোক্ষণকারী এবং যার রক্তমোক্ষণ করানো হয়েছে, তাদের উভয়ের ছিয়াম নষ্ট হয়েছে গেছে’ (আবূ দাঊদ, হা/২৩৬৭-২৩৭০; ইবনু মাজাহ, হা/১৬৮০-১৬৮১, সনদ ছহীহ)।

প্রশ্নকারী : আব্দুল মুমিন, সিরাজগঞ্জ।





প্রশ্ন (২৮) : একজন নিকটাত্মীয় অসৎ পথে টাকা অর্জন করে। এখন তিনি যদি কোন উপহার দেন তাহলে তা কি গ্রহণ করা যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : ছিয়াম রাখতে অক্ষম ব্যক্তি কি একজন মিসকীনকে ত্রিশদিন খাওয়াবেন, না-কি ত্রিশজন মিসকীনকে একদিন খাওয়াবেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : অনেক বক্তা বলেন, জুমু‘আর দিনটি গরীবের হজ্জ। এই দাবী কি সত্য? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : মুহাম্মাদ (ﷺ) দিনের কোন্ কোন্ সময় ঘুমাতেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : সমস্ত মুসলিমদের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়ার মত কোন দু‘আ আছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০) : অফিসে কাজ করার সময় বিনা-অনুমতিতে নিজের কাজে ব্যস্ত থাকা বা সময় অপচয় করার হুকুম কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : গর্ভবতী মহিলার ২ বা ৩ মাসের বাচ্চা নষ্ট হলে তাকে কি ছালাত-ছিয়াম পালন করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : মৃত ব্যক্তিদের জন্য জীবিতদের করণীয় কী কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২২) : জনৈক ব্যক্তি বলেন, বিদ‘আতীদের বক্তব্য শুনা যাবে না এবং তাদের থেকে ইলম গ্রহণ করা যাবে না। কারণ এটা ক্বিয়ামতের আলামত। উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : ছিয়াম অবস্থায় দাঁত উঠানো, রক্ত পরীক্ষা করা বা অন্য কোন কারণে শরীর থেকে রক্ত বের হলে ছিয়াম নষ্ট হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : অনেক সময় আমরা মসজিদে দুখূলুল মসজিদ বা অন্য কোন সুন্নাত ছালাত আরম্ভ করি এমতাবস্থায় ইক্বামত দিয়ে দেয়। তখন আমরা সুন্নাত ছেড়ে দিয়ে জামা‘আতে শামিল হয়ে যাই। ফরয ছালাতের পরে সেই ছুটে যাওয়া সুন্নাত কি আবার পড়তে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৩) : ছালাত আদায়কারী ব্যক্তির সামনে কেউ বসে থাকলে তাকে সুতরা ধরে চলে যাওয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ