সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৪:২২ অপরাহ্ন
উত্তর : শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) ও শায়খ উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ছিয়াম থাকা অবস্থায় প্রয়োজনে রক্ত পরীক্ষা করলে ছিয়াম ভঙ্গ হয় না। কেননা এতে খুবই যৎসামান্য রক্ত নেয়া হয়ে থাকে, যার ফলে শরীরে কোন প্রভাব পড়ে না। আর এটি হিজামার অন্তর্ভুক্ত নয়। পক্ষান্তরে অধিক মাত্রায় রক্ত নেয়া হলে ছিয়াম ভঙ্গ হয়ে যাবে। যেমন কাউকে রক্তদান করার উদ্দেশ্যে, কেননা এটি হিজামাহ বা কাপিংয়ের অন্তর্ভুক্ত। সেজন্য ছিয়াম থাকা অবস্থায় স্বেচ্ছায় রক্তদান করা জায়েয নয়। কেননা এর ফলে ছিয়াম ভঙ্গ হয়ে যায়। তবে হ্যাঁ, যদি রোগীর অবস্থা খুবই বিপদজনক হয়, আর সে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ধৈর্যধারণ করতে না পারে এবং ডাক্তারেরা সিদ্ধান্ত নেয় যে, ছিয়াম পালনকারী ব্যক্তির রক্ত পেলে রোগী উপকৃত হবে এবং তার প্রয়োজন পূরণ হবে, সেক্ষেত্রে রক্তদান করা জায়েয। পরে অবশ্যই এই দিনের ক্বাযা আদায় করে নেবে (মাজমূঊ ফাতাওয়া লিইবনি বায, ১৫/২৭৪ পৃ.; ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম, পৃ. ৪৭৮; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-৫০৪০৬)।

শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ), সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটি, শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ), শায়খ উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) ও হাম্বালী মাযহাবের আলিমগণ বলেন, ছিয়াম থাকা অবস্থায় হিজামাহ বা কাপিং করলে ছিয়াম ভঙ্গ হয়ে যায় (মাজমূঊল ফাতাওয়া লিইবনি তাইমিয়্যাহ, ২০/৫২৮ ও ২৫/২৫২ পৃ.; ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ৯/১৭৯ পৃ.; মাজমূঊ ফাতাওয়া লিইবনি বায, ১৫/২৭১-২৭২; মাজমূঊ ফাতাওয়া লিইবনি উছায়মীন, ২০/১৪৫ পৃ.; আশ-শারহুল মুমতি, ৬/৩৫১; আল-ইনছাফ, ৩/২১৪ পৃ.; আশ-শারহুল কাবীর, ৩/৪০ পৃ.)। ছাওবান (রাযিয়াল্লাহু আনহু) ও শাদ্দাদ ইবনু আওস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেন, أَفْطَرَ الْحَاجِمُ وَالْمَحْجُوْمُ ‘রক্তমোক্ষণকারী এবং যার রক্তমোক্ষণ করানো হয়েছে, তাদের উভয়ের ছিয়াম নষ্ট হয়েছে গেছে’ (আবূ দাঊদ, হা/২৩৬৭-২৩৭০; ইবনু মাজাহ, হা/১৬৮০-১৬৮১, সনদ ছহীহ)।

প্রশ্নকারী : আব্দুল মুমিন, সিরাজগঞ্জ।





প্রশ্ন (৩০) : সমাজে জয়ত্রি এবং জায়ফল দিয়ে বিভিন্ন খাবার রান্না করে খাওয়ার প্রচলন আছে। এটা খাওয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : ফিতরা কি ঈদের ছালাতের পূর্বেই বণ্টন করে দিতে হবে? না-কি ঈদের পরেও করা যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : জনৈক মাযহাবী ভাই বলেছে যে, দুই রাক‘আত ছালাত মাযহাবের অনুসরণ ব্যতীত আদায় করা সম্ভব নয়। যেমন, ‘রুকূতে যাওয়ার সময় ইমামের জোরে তাকবীর আর মুছল্লীর আস্তে তাকবীর দেয়া’ মাসয়ালটি মাযহাবের সাহায্য ছাড়া সমাধান করা সম্ভব নয়। কেননা উক্ত মাসয়ালা কুরআন ও হাদীছে কোথায় নেই। প্রশ্ন হল- তার উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪০) : ‘কুযা’ কাকে বলে? কিছু কিছু যুবক তাদের মাথার সাইডের চুলগুলো কেটে মাঝখানের চুলগুলো রেখে দেয়। প্রশ্ন হল- শরী‘আতের দৃষ্টিতে পুরুষের মাথার চুল কাটার পদ্ধতি কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৫) : মসজিদে বিয়ে পড়ানোর কি কোন ফযীলত আছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪৬) : ঈদ মাঠে মিম্বার নিয়ে যাওয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : ফজরের ছালাতে ২য় রাক‘আতে ইমাম ৩টা সিজদা দেন। মুছল্লীদের কেউ লোকমা দেননি। এভাবে ছালাত শেষ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৫) : আমার মা অসহায়। তাকে দেখার কেউ নেই। অন্যদিকে আমার স্বামী স্বাবলম্বী হওয়া সত্ত্বেও মাকে সহযোগিতা করতে চায় না। আমি কি স্বামীর সংসার থেকে গোপনে আমার মাকে সহযোগিতা করতে পারব? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : জনৈক আলেম বলেন, যে ব্যক্তি ছালাত না পড়ে ইচ্ছা করে ঘুমিয়ে থাকে ক্বিয়ামত পর্যন্ত তারা মাথায় ফেরেশতা পাথর মারতে থাকবে। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : ইলিয়াসী তাবলীগের ফাযায়েলে আমল বইয়ে বলা হয়েছে, আদম (আলাইহিস সালাম) হিন্দুস্তান থেকে পায়ে হেঁটে এক হাযার বার হজ্জ করেছেন (ফাজায়েলে হজ্জ, পৃ.দ ৪০)। উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২০): ‘যে ব্যক্তি এমন কোন ইয়াতীমের অভিভাবক হয়েছে যার মাল রয়েছে, সে যেন তা ব্যবসায় লাগায় এবং ফেলে না রাখে, যাতে যাকাত তাকে শেষ না করে দেয়’ মর্মে বর্ণিত বর্ণনাটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : দুগ্ধদানকারিণী মা ছিয়াম ভঙ্গ করতে পারবে কি? ভঙ্গ করলে কখন তা পূরণ করবে, না-কি ফিদইয়া দিবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ