উত্তর : প্রথমতঃ স্বামীর সম্পত্তিতে স্ত্রীর ততটুকুই অধিকার রয়েছে, যতটুকু তার নিজের প্রয়োজন হয়। এছাড়া স্বামীর সম্পত্তি থেকে খরচ করা স্ত্রীর জন্য বৈধ নয়। এমনকি স্বামীর অনুমতি ব্যতীত নিজের পরিবার ও অন্য কাউকে কোন কিছু প্রদান করাও অবৈধ। আবূ উমামা আল-বাহিলী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি বিদায় হজ্জের বছর রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে তার বক্তৃতায় বলতে শুনেছি যে, স্ত্রী তার স্বামীর বিনা অনুমতিতে তার ঘর হতে কোন কিছু ব্যয় করবে না। প্রশ্ন করা হল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! খাদ্যদ্রব্যও নয় কি? তিনি বললেন, এটাতো আমাদের সর্বোত্তম সম্পদ’ (তিরমিযী, হা/৬৭০; ইবনু মাজাহ, হা/২২৯৫; মিশকাত, হা/১৯৫১, সনদ হাসান)। তবে স্বামীর অনুমতি ব্যতীত এমন ছোটোখাটো জিনিস দেয়া যায়েয আছে, যার ফলে স্বামী অসন্তুষ্ট হয় না এবং সংসারে অশান্তিও সৃষ্টি হয় না। কিন্তু স্বামী অসন্তুষ্ট হলে কিংবা সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হলে দেয়া যাবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘স্ত্রী তার স্বামীর অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী হতে বিশৃঙ্খলা ও অশান্তির উদ্দেশ্য ব্যতীত ছাদাক্বাহ করলে সে ছাদাক্বাহ করার ছাওয়াব পাবে, উপার্জন করার কারণে স্বামীও এর ছাওয়াব পাবে এবং খাজাঞ্চীও অনুরূপ ছওয়াব পাবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৪৩৭; ইসলাম ওয়েব, ফৎওয়া নং-৭১৫৬)।
দ্বিতীয়তঃ ইসলামে সন্তান-সন্ততির উপর উভয়ের জন্যই পিতা-মাতার খিদমত করা অপরিহার্য। তাই বিবাহের পরেও স্বামীর ঘর থেকে পিতা-মাতার খবরাখবর নেয়া মেয়েদের দায়িত্ব। তবে এ ব্যাপারে বাধা প্রদান করা স্বামীর জন্য বৈধ নয়। মহিলা স্বাবলম্বী হলে স্বেচ্ছায় পিতা-মাতাকে আর্থিক সহযোগিতা করতে পারে। কিন্তু স্বামীর অর্থ বা সম্পত্তি থেকে সহযোগিতা করতে হলে স্বামীর অনুমতি অপরিহার্য। কেননা শ্বশুর-শাশুরীর খরচ বহন করা জামাইয়ের উপর যরূরী নয়। তবে জামাই যদি স্বাবলম্বী হয়, সেক্ষেত্রে মানবিকতার খাতিরে উদারতা প্রদর্শন করা দরকার (ফাতাওয়াউল ইসলাম সুওয়াল ও জওয়াব, ফৎওয়া নং- ১২২১৪)।
প্রশ্নকারী : মুসলিমা বেগম, পাবনা।