বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৩ অপরাহ্ন
উত্তর :আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি নবী করীম (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে,

‏الْفِطْرَةُ خَمْسٌ الْخِتَانُ وَالاِسْتِحْدَادُ وَقَصُّ الشَّارِبِ وَتَقْلِيمُ الأَظْفَارِ وَنَتْفُ الآبَاطِ

‘জন্মগত স্বভাব পাঁচটি। যথা : ১- খাতনা বা মুসলমানি করা, ২- গুপ্তাঙ্গের লোম পরিষ্কার করার লৌহের ক্ষুর ব্যবহার করা, ৩- গোঁফ ছোট করা, ৪- নখ ছেদন করা ও ৫- বগলের লোম উপড়ানো বা সমূলে উৎপাটন করা’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৮৮৯, ৫৮৯০, ৫৮৯১; ছহীহ মুসলিম, হা/২৫৭, ৪৮৫-৪৯৩)। সঙ্গে সঙ্গে এর সময়সীমাও নির্ধারণ করা হয়েছে। যেমন আনাস ইবনু মালিক (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন,

وُقِّتَ لَنَا فِيْ قَصِّ الشَّارِبِ وَتَقْلِيْمِ الْأَظْفَارِ وَنَتْفِ الإِبْطِ وَحَلْقِ الْعَانَةِ أَنْ لَا نَتْرُكَ أَكْثَرَ مِنْ أَرْبَعِيْنَ لَيْلَةً

‘গোঁফ ছাঁটা, নখ কর্তন করা, বোগলের লোম সমূলে নির্মূল করা এবং গুপ্তাঙ্গের পশম মুণ্ডন করার জন্য আমাদেরকে সময়সীমা নির্ধারিত করে দেয়া হয়েছিল, যেন আমরা তা চল্লিশ দিনের অধিক না রাখি’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৪৮৭, ২৫৭)। লক্ষণীয় বিষয় হল, উপরিউক্ত হাদীছ দু’টিতে গুপ্তাঙ্গের লোম পরিষ্কার করার ধরণ বুঝাতে যে দু’টি শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে তা হল- (১) اَلْإِسْتِحْدَادُ ‘লোহার ক্ষুর ব্যবহার করা’। (২) حَلْقٌ ‘মুণ্ডন, ক্ষৌরকর্ম, শেভিং’। পক্ষান্তরে বোগলের লোম পরিষ্কার করার ধরণ বুঝাতে যে শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে তা হল, نَتْفٌ ‘উৎপাটন করা, উপড়ানো, তুলে ফেলা’।

তাই সুন্নাত হল, বোগলের লোম উপড়ে ফেলা, আর গুপ্তাঙ্গের লোম ক্ষুর বা ব্লেড দ্বারা অপসারণ করা। শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) ও শায়খ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, ‘হাদীছের আলোকে সুন্নাতী পদ্ধতি হল গুপ্তাঙ্গের লোম ক্ষুর বা ব্লেড দ্বারা পরিষ্কার করা, আর বোগলের লোম উপড়ে ফেলা বা সমূলে উৎপাটন করা। কিন্তু যদি কারোর পক্ষে এরূপ করা সম্ভবপর না হয়, সেক্ষেত্রে অন্যান্য সুবিধাজনক পদ্ধতি প্রয়োগ করা জায়েয। যেমন বিভিন্ন প্রকারের ক্রিম ব্যবহার করা কিংবা বোগলের লোম উপড়াতে না পারলে ব্লেড ব্যবহার করা। কেননা আদেশের মূল উদ্দেশ্য হল লোম পরিষ্কার করা বা অপসারণ করা। তাই বিশেষ প্রয়োজনে অন্য পদ্ধতিও মূল উদ্দেশ্যের সহায়ক হিসাবে জায়েয হবে ইনশাআল্লাহ’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া ইবনু বায, ২৯/৪৯ পৃ; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১১৮৩)।


প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ রাকিবুল ইসলাম, রংপুর।





প্রশ্ন (১৫) : ছালাতে তাশাহ্হুদের সময় দৃষ্টি কোন্ দিকে রাখতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) মনে মনে কুরআন তেলাওয়াত করলে ছওয়াব পাওয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : কুনূতে নাযেলা নফল ছালাতে পড়া যাবে কি? এর নিয়মটা কেমন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : জনৈক আলেম বলেন, ফজরের পর ঘুমানো যাবে না। কারণ এই সময় বরকত নাযিল হয়। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : প্রত্যেক রোগের ঔষধ আছে। এ কথা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : কেউ ইসরা অস্বীকার করলে কাফির কিন্তু বাইতুল মাক্বদিস থেকে মি‘রাজ বা ঊর্ধ্বগমন অস্বীকার করলে কাফির হবে না বরং বিদ‘আতী হবে। এ ফৎওয়া কতটুকু সঠিক? কুরআন দ্বারা প্রমাণিত বিষয় অস্বীকার করলে কাফির হয়ে যায় কিন্তু হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত বিষয় অস্বীকার করলে কাফির হয় না। এমন আক্বীদা কি বিশুদ্ধ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : জনৈক বক্তা বলেন, জুমু‘আর খুত্ববা বাংলা ভাষায় দেয়া যাবে না, আরবী ভাষায় দিতে হবে। উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : মৃত সন্তান জন্ম নিলে জানাযা পড়তে হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : ফজরের ছালাতে ২য় রাক‘আতে ইমাম ৩টা সিজদা দেন। মুছল্লীদের কেউ লোকমা দেননি। এভাবে ছালাত শেষ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : সমাজে প্রচলিত আছে যে, সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার সময় মা মারা গেলে শহীদের মর্যাদা পাবে। এটা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : এক ব্যক্তি ইবাদত-বন্দেগীতে খুব ভাল এবং সুন্নাত অনুসরণে অধিক আগ্রহী। কিন্তু কিছু ওযর থাকার কারণে সে বিয়ে করতে চাচ্ছে না। বরং বিয়ে করলে কাবীরা গুনাহ করার সম্ভাবনা বেশি। এখন এই ভাইয়ের চেয়ে যিনি বিয়ে করেছেন তিনিই কি আল্লাহর কাছে উত্তম হবেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫১) : ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির বর্তমানে পরিশোধ করার ক্ষমতা নেই। কিন্তু পাওনাদারদের কাছে মিথ্যা কথা বলতে হয়। এমতাবস্থায় ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে পাওনাদারদের টাকা পরিশোধ করে ব্যাংকের নিকট ঋণগ্রস্ত থাকা যাবে কি? যদিও এই লোন সূদ যা হারাম। আবার বান্দার হক্বও আল্লাহ মাফ করবেন না। আল্লাহর কাছে তওবা করে কি ব্যাংক থেকে লোন নেয়া যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ