প্রশ্ন (১) : ক্যারাম বোর্ড খেলা কি হারাম?
উত্তর : চূড়ান্ত হারাম। এগুলো দাবা বা পাশা জাতীয় খেলা, যাকে ইসলামে হারাম করা হয়েছে। নবী করীম (ﷺ) বলেছেন, مَنْ لَعِبَ بِالنَّرْدَشِيْرِ فَكَأَنَّمَا صَبَغَ يَدَهُ فِيْ لَحْمِ خِنْزِيْرٍ وَدَمِهِ ‘যে ব্যক্তি পাশা খেলল, সে যেন তার হাত শূকরের গোশতে ও রক্তে রঙিন করে তুলল’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২২৬০)। এমনকি যে ব্যক্তি পাশা খেলে সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ)-এর নাফরমানী করে’ (আবূ দাঊদ, হা/৪৯৩৮, সনদ হাসান)। উপমহাদেশে প্রচলিত দাবা, লুডু ও ক্যারাম খেলা তিনটি পাশারই সমগোত্রীয় খেলা। তাই ইসলামে এ জাতীয় খেলা সম্পূর্ণরূপে হারাম- চাই জুয়া থাকুক বা না থাকুক। কেননা পাশা বা দাবার ন্যায় এমন প্রত্যেক খেলা যা গুটি দিয়ে খেলা হয় তা হারাম’ (আল-মুগনী, ১৩/১৫৪-১৫৫; আল-ইনছাফ, ১২/৫২-৫৩ পৃ.)। ইমাম ইবনু তাইমিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘ইমাম আবূ হানীফা (রাহিমাহুল্লাহ) ও ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘দাবা বা পাশা খেলোয়ারকে সালাম দিবে না। কেননা সে প্রকাশ্যে জঘন্য পাপে লিপ্ত’ (মাজমূঊল ফাতাওয়া, ৩২/২৪৫ পৃ.)। উল্লেখ্য, নিম্নোক্ত কারণ থাকলে যেকোন খেলা হারাম। (১) যে খেলা মানুষের মধ্যে ছালাত, আল্লাহর যিকির ও দ্বীন সম্পর্কে উদাসীনতা তৈরি করে (সূরা আন-নূর: ৩৭; আবূ দাঊদ, হা/৫৫০; ইবনু মাজাহ/ হা/৭৭৭)। (২) এমন খেলা, যাতে শারীরিক কোন উপকার নেই, শুধু সময়ের অপচয় হয় (তিরমিযী, হা/২৪১৬-৭) ইত্যাদি।
প্রশ্নকারী : নাদিম ইসলাম, সিলেট।