উত্তর : উক্ত নারীকে বিবাহ করা বৈধ নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, اَلزَّانِیۡ لَا یَنۡکِحُ اِلَّا زَانِیَۃً اَوۡ مُشۡرِکَۃً۫ وَّ الزَّانِیَۃُ لَا یَنۡکِحُہَاۤ اِلَّا زَانٍ اَوۡ مُشۡرِکٌ وَ حُرِّمَ ذٰلِکَ عَلَی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ‘ব্যভিচারী ব্যভিচারিণী বা মুশরিক নারীকে ছাড়া বিয়ে করে না এবং ব্যভিচারিণীকে ব্যভিচারী অথবা মুশরিক ব্যতীত কেউ বিয়ে করে না, মুমিনদের জন্য এটা হারাম করা হয়েছে (সূরা আন-নূর : ৩)। উপরিউক্ত আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা সংবাদ দিচ্ছেন যে, ব্যভিচারিণীর প্রতি ঐ লোকই রাযী বা আগ্রহী হতে পারে, যে নিজে ব্যভিচারী। সে ঐ সব অসৎ কাজকে খারাপই মনে করে না। ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, চরিত্রহীন ও ব্যভিচারিণী নারীদেরকে বিয়ে করা মুমিনদের জন্য হারাম। ইমাম আহমাদ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘পবিত্র পুরুষের সাথে ব্যভিচারিণী নারীর বিবাহ শুদ্ধ নয়, যতক্ষণ পর্যন্ত সে খালেছ তওবাহ না করবে। যদি তওবাহ করে, তাহলে বিবাহ শুদ্ধ হবে (তাফসীর ইবনু কাছীর, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৯)। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমরা নেককার নারীদেরকে স্ত্রী রূপে গ্রহণ কর, যারা ব্যভিচারীণি নয় এবং যাদের গোপনসঙ্গীও নেই’ (সূরা আল-মায়িদাহ : ৫)।
আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি উম্মে মাহযূল নাম্নী এমন মহিলাকে বিয়ে করার জন্য রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট অনুমতি প্রার্থনা করে, যে মহিলা অবৈধ যৌন কাজে লিপ্ত থাকত। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (...اَلزَّانِیۡ لَا یَنۡکِحُ اِلَّا زَانِیَۃً ) এই আয়াতটি তেলাওয়াত করেন (আহমাদ, হা/৬৪৮০, সনদ হাসান)। আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যভিচারীর উপর চাবুক লাগানো হয়েছে সে তার অনুরূপের সাথেই বিবাহিত হতে পারে (আবূ দাঊদ, হা/২০৫২, সনদ ছহীহ)।
প্রশ্নকারী : তামান্না আফরোজা, চট্টগ্রাম।