উত্তর : ঘুষ দাতা এবং ঘুষ গ্রহীতা উভয়ের উপর অভিশাপ দিয়েছেন (আবূ দাঊদ, হা/৩৫৮০, সনদ ছহীহ)। না জেনে কোন পাপ করার পর বুঝার সঙ্গে সঙ্গে তাওবা করলে মহান আল্লাহ তার তাওবা কবুল করেন। আর বুঝার পর বিরতিহীন পাপে জড়িত থাকলে এবং এ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে তার তাওবা কবুল হয় না (সূরা আন-নিসা : ১৭-১৮)। ঘুষ একটি জঘণ্য কাবীরা গুনাহ, যা তাওবা ছাড়া ক্ষমা হয় না। শুধু তওবা না; বরং মানুষের হক্ব নষ্টের পাপ হলে তা অবশ্যই ব্যক্তির কাছেই ক্ষমা নিতে হবে। সূদ-ঘুষ তার অন্যতম। পাপের জন্য আল্লাহ্র কাছে অনুতপ্ত হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ক্ষমা চাইতেই থাকতে হবে এবং সম্ভবপর সেসকল ব্যক্তিকে খুঁজে তাদের পাওনা দিয়ে দিতে হবে, তাদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং তাদের কল্যাণকর বিষয়গুলো মানুষের সামনে উল্লেখ করতে হবে এবং ঐ অর্থ তাদের নামে ছাদাক্বা করতে হবে। বান্দা যখন তার পাপের বিষয় বুঝতে পারে এবং ক্ষমা চাই তখন আল্লাহ তার তাওবা কবুল করেন (ছহীহ বুখারী, হা/২৬৬১)।
প্রশ্নকারী : কাওছার আহমাদ, সিরাজগঞ্জ।