মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ১০:৫২ পূর্বাহ্ন
উত্তর : জিম্মি বলতে বুঝায় ঐ অমুসলিমকে, যার সঙ্গে মুসলিমদের এই মর্মে চুক্তি হয় যে, জিজিয়া কর প্রদানের মাধ্যমে সে সম্মানের সাথে ইসলামী রাষ্ট্রে বসবাস করবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে যারা আল্লাহতে বিশ্বাস করে না ও পরকালেও নয় এবং আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল যা নিষিদ্ধ করেছেন, তা নিষিদ্ধ মনে করে না এবং সত্য ধর্ম অনুসরণ করে না, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর; যে পর্যন্ত না তারা নত হয়ে নিজ হাতে জিযিয়া আদায় করে’ (সূরা আত-তাওবাহ : ২৯)। সুতরাং তারা যদি জিযিয়া প্রদান করে, তাহলে আমাদের উপর অপরিহার্য হল- তাদেরকে সাহায্য করা এবং সম্পত্তি, আত্মা ও অন্যান্য বিষয়ে তাদের সাথে শত্রুতা করা আমাদের জন্য হারাম’ (মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল ইবনে উছাইমীন, ৭/২৯৭ পৃ.)। আর যদি মুসলিম ব্যক্তি কোন জিম্মিকে হত্যা করে, তবে তার জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি এবং ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি। নবী (ﷺ) বলেন,

مَنْ قَتَلَ مُعَاهَدًا لَمْ يُرَحْ رَائِحَةُ الْـجَنَّةِ، وَإِنَّ رِيْحَهَا تُوْجَدُ مِنْ مَسِيْرَةِ أَرْبَعِيْنَ عَامًا

‘যে ব্যক্তি চুক্তিবদ্ধ কোন অমুসলিমকে হত্যা করল সে জান্নাতের সুগন্ধিও পাবে না, অথচ জান্নাতের সুঘ্রাণ চল্লিশ বছরের রাস্তার দূরত্ব থেকেও পাওয়া যায়’ (ছহীহ বুখারী, হা/৩১৬৬, ৬৯১৪; নাসাঈ, হা/৪৭৫০; ইবনু মাজাহ, হা/২৬৮৬)। ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বাল, ইসহাক্ব ইবনু রাহওয়াইহ ও ইবনু হাযম (রাহিমাহুমুল্লাহ) বলেন, ‘তবে পার্থিব জগতে জিম্মির হত্যার বদলে ক্বিছাছ স্বরূপ কোন মুসলিমকে হত্যা করা যাবে না। নবী (ﷺ) বলেন, কোন মুসলিমকে কাফির হত্যার বিনিময়ে হত্যা করা যাবে না’ (ছহীহ বুখারী, হা/১১১, ১৮৭০; ছহীহ মুসলিম, হা/১৩৭০)। তবে হ্যাঁ, তাকে দিয়াত বা রক্তমূল্য দিতে হবে। যদি ভুলবশতঃ হত্যা হয়ে যায়, তাহলে মুসলিম ব্যক্তির রক্তমূল্যের অর্ধেক রক্তমূল্য দিতে হবে। আর যদি ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করে, তাহলে মুসলিম ব্যক্তির রক্তমূল্যের সমপরিমাণ রক্তমূল্য দিতে হবে (ইরওয়াউল গালীল, ৭/৩১২; আত-তালখীছ, ৪/১৬; মাসায়িলুল ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল ওয়া ইবনু রাহওয়াইহ, ৭/৩৪৯৮ পৃ.)। এটি এ জন্যই যে, মুসলিম মুসলিমের সমতুল্য, কিন্তু কাফির মুসলিমের সমতুল্য নয় (আল-আক্বদুছ ছামীন, পৃ. ২৫৪; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-২৪৩৩৪৫)।


প্রশ্নকারী : রবিউল ইসলাম, সাভার, ঢাকা।





প্রশ্ন (২৯) : জাহান্নামীদের পানীয় হিসাবে প্রদত্ত مَاءٌ صَدِيْدٌ وَغِسْلِيْنٌ বলতে কী বুঝানো হয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪০) : কখন যাকাত বের করা সর্বাধিক উত্তম? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : ছিয়াম পালনকারী নাকে, কানে ও চোখে ড্রপ দিলে ছিয়াম নষ্ট হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : মাওলানা আবু তাহের বর্ধমানী রচিত ‘কাট হুজ্জতির জওবাব’ বইয়ের ২৫ পৃষ্ঠায় একটি হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। যেমন আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ক্বিয়ামতের দিন আহলেহাদীছগণ আমলনামাসহ উপস্থিত হবেন। তখন আল্লাহ বলবেন, তোমরা আহলেহাদীছ বেহেশতে প্রবেশ কর’ (ত্বাবারাণী, আল-ক্বাওলুল বাদী, পৃ. ১৮৯)। উক্ত হাদীছটি কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১১) : জনৈক ব্যক্তি আগে ওযনে কম দিত। তখন ইসলাম সম্পর্কে তেমন জানত না। এই পাপ থেকে মুক্তির উপায় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১) : বহু বছর ধরে লাশ কফিনে পড়ে আছে। এদের আযাব কিংবা নাজাত কি কফিনে হবে, না-কি কবরে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৯) : পিতার চাচী কি ছেলের জন্য মাহরাম হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : নিকটাত্মীয়দের উপস্থিত হওয়ার জন্য মৃত ব্যক্তিকে দাফন করতে দেরী করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : ছিয়াম পালনে অক্ষম ব্যক্তিকে ফিদইয়া দিতে বলা হয়েছে। এর পরিমাণ সম্পর্কে কেউ বলছে এক ছা‘ আবার কেউ আধা ছা‘। কোনটি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : ইংরেজি ভাষা শিক্ষা দেয়াকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করা যাবে কি? কারণ এর মাধ্যমে বেহায়াপনা, নির্লজ্জতা, নোংরামি ইত্যাদি প্রচার হচ্ছে। দ্বীনের প্রচারের উদ্দেশ্যে ইংরেজী ভাষা শিক্ষা করা ও শিখানো বৈধ হবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : কাউকে বিদায় দেয়ার সময় কোন দু‘আ পড়তে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৫) : স্বামী-স্ত্রীর মাঝে মীমাংসামূলক ছালাতের  বিশুদ্ধ আাছে কি? সেটা হচ্ছে: দুই রাক‘আত ছালাত পড়া। প্রত্যেক রাক‘আতে সূরা ফাতিহা পড়া এবং সাতবার ‘সম্ভবত আল্লাহ তোমাদের মধ্যে এবং তাদের মধ্য থেকে যাদের সাথে তোমাদের শত্রুতা আছে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব সৃষ্টি করে দেবেন। আল্লাহ সবকিছই করতে সক্ষম। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’ আয়াতটি পড়া। ছালাত শেষ করার পর এই দু‘আ করা, ‘হে আল্লাহ! অমুকের ছেলে অমুকের (স্বামীর নাম) অন্তর অমুকের মেয়ে অমুকের (স্ত্রীর নাম) উপর কোমল করে দিন; যেভাবে আপনি দাউদ (আলাইহিস সালাম)-এর জন্য লোহাকে কোমল করে দিয়েছেন। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ