উত্তর : মহিলাদের জন্য বাড়ীতে অবস্থান করাই কল্যাণকর (সূরা আল-আহযাব : ৩৩)। ইমাম ইবনু কাছীর (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘তোমরা বাড়ীতেই অবস্থান কর, বিনা প্রয়োজনে বাহিরে বের হয়ো না’ (তাফসীরে ইবনু কাছীর, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৪০৯)। আল্লাহ তা‘আলা রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জানিয়ে দিয়েছেন যে, ‘মহিলারা প্রয়োজনে বের হতে পারে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫২৩৭; ছহীহ মুসলিম, হা/১৪৮৩)। উক্ত হাদীছের ব্যাখ্যায় ইবনু বাত্তাল (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘মহিলারা তাদের প্রয়োজনে বের হতে পারে। পিতা-মাতা, ভাই-বোন, মাহরাম কারো সাথে সাক্ষাতে যেতে পারে অথবা যেকোন বৈধ ও উপকারী প্রয়োজন মেটাতে যেতে পারে’ (শারহু ছহীহিল বুখারী, ৭ম খণ্ড, পৃ. ৩৬৪)। তাই একজন শিক্ষিকা হিসাবে নয়; একজন মুসলিম মহিলা হিসাবে তার কর্তব্য হল পর্দার ফরয বিধান মেনে চলা। পূর্ণাঙ্গ পর্দা সহ কোন মেয়ে তার দৈনন্দিন রুটিন মাফিক বৈধ কাজ করতে পারবে (ছহীহ মুসলিম, হা/১৪৮৩)। কিন্তু নারী-পুরুষ মিশ্রিত এমন প্রতিষ্ঠানে সরাসরি ছেলেদের সামনে যাওয়া একবারেই উচিত না। কারণ শিক্ষক-শিক্ষিকা একত্রে বসে সময় কাটানোও হারাম। কেননা পুরুষের জন্য নারীই সবচেয়ে বড় ফিতনা (ছহীহ বুখারী, হা/৫০৯৬)। তবে শুধু মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয় হলে কোন সমস্যা নেই। আবার শিশুরা হলেও সমস্যা নেই।
প্রশ্নকারী : সুলতানা, চট্টগ্রাম।