উত্তর : সৎ উদ্দেশ্য থাকলে জায়েয। একজন মুসলিমের সর্বপ্রথম কর্তব্য হল সে আক্বীদা ও শারঈ বিধি-বিধান সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করবে। এটা তার জন্য ফরয। অতঃপর পার্থিব জীবনের জন্য জ্ঞানার্জন করাতে দোষের কিছু নেই। তবে সেক্ষেত্রে নিয়ত বিশুদ্ধ থাকলে সে ছওয়াবের অধিকারী হবে। ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘দুনিয়াবী জ্ঞানার্জন করাও একটি উপকারী বিষয়। তবে শর্ত হল, তা যেন আখিরাতের জ্ঞান এবং আখিরাতে যা তার উপকার করবে তা থেকে যেন বিরত না করে। সে যদি উভয় প্রকার জ্ঞানের মাঝে সমন্বয় সাধন করে, তাহলে তো ভালর সাথে ভালর সমন্বয় করল। যদি এই দুনিয়ার জ্ঞান-বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে তার নিয়ত সঠিক হয় (ইসলাম এবং মুসলিমদের উপকার করার নিয়ত থাকে), তাহলে তা ইবাদতে পরিণত হবে আর যদি কেবল পার্থিব উদ্দেশ্যেই শেখে তাহলে তা তার পক্ষে বা বিপক্ষে কোনটাই নয়। সে একটা বৈধ জিনিস শিখল। এতে তার কোনও দোষ নেই’। কিন্তু পার্থিব জীবনের জন্য শারঈ জ্ঞানার্জনের ব্যাপারে হাদীছে কঠিন হুঁশিয়ারী বর্ণিত হয়েছে। আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
مَنْ تَعَلَّمَ عِلْمًا مِمَّا يُبْتَغى بِه وَجْهُ اللهِ لَا يَتَعَلَّمُه اِلَّا لِيُصِيْبَ بِه عَرَضًا مِنْ الدُّنْيَا لَمْ يَجِدْ عَرْفَ الْجَنَّةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَعْنِي رِيحَهَا
‘যে ইলম বা জ্ঞান দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়, সেই জ্ঞান কেউ পার্থিব স্বার্থোদ্ধারের অভিপ্রায়ে অর্জন করলে ক্বিয়ামতের দিন সে জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না’ (মুসনাদে আহমাদ, হা/৮২৫২; আবূ দাঊদ, হা/৩৬৬৪; ইবনু মাজাহ, হা/২৫২; ছহী আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১০৫)।
প্রশ্নকারী : আবূ সাঈদ সাকিব, রামনগর, দিনাজপুর।