বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৬ অপরাহ্ন
উত্তর :  স্ত্রীর কুকথা ও গালাগালির কারণে তীব্র রাগান্বিত হয়ে অনুভূতিহীন ও উম্মাদ অবস্থায় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে যদি কেউ স্ত্রীকে ত্বালাক্ব দেয় এবং এ বিষয়ে যদি সৎ ও বিশ্বস্ত কোন ব্যক্তি সাক্ষী দেয়, তাহলে ত্বালাক্ব পতিত হবে না। নবী করীম (ﷺ) বলেন, لَا طَلَاقَ وَلَا عَتَاقَ فِيْ غِلَاقٍ قَالَ أَبُوْ دَاوُدَ الْغِلَاقُ: أَظُنُّهُ فِي الْغَضَبِ ‘রাগের অবস্থায় কোন ত্বালাক্ব সংঘটিত হয় না এবং দাসত্বমুক্ত করা যায় না। ইমাম আবূ দাঊদ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, আমার মতে ‘আল-গিলাক্ব’ অর্থ রাগ’ (আবূ দাঊদ, হা/২১৯৩; ইবনে মাজাহ, হা/২০৪৬; সনদ হাসান, ছহীহুল জামি‘, হা/৭৫২৫)। বিদ্বানগণের একটি জামা‘আত বলেন, 'গিলাক্ব’ শব্দের অর্থ হল রাগ, অর্থাৎ প্রচ- রাগ, এমন রাগ যা মানুষকে জ্ঞানশূন্য করে দেয়, পাগল ও উম্মাদের মত আচরণ করে, বুদ্ধি লোপ পেয়ে যায়, অনুভূতিহীন হয়ে পড়ে, এমতাবস্থায় ত্বালাক্ব সংঘটিত হয় না। মূলত রাগের তিনটি অবস্থা। যথা: প্রথমতঃ এত তীব্র রাগ যে, ব্যক্তি তার অনুভুতি হারিয়ে ফেলে। পাগল বা উন্মাদের মত হয়ে যায়। সকল আলিমের মতে, এ লোকের ত্বালাক্ব কার্যকর হবে না। কারণ সে বিবেকহীন পাগল বা উন্মাদের পর্যায়ভুক্ত। দ্বিতীয়তঃ এখানেও রাগ তীব্র আকার ধারণ করে। কিন্তু সে অনুভূতিহীন হয়ে পড়ে না। বরং তার কাছে কিছু অনুভূতি অবশিষ্ট থাকে। এবং কিছু বুদ্ধিমত্তা, সে যা বলছে সেটা সে বুঝতে পারছে এবং বিবেক জাগ্রত আছে। তবে তার রাগ তীব্র আকার ধারণ করার ফলে ত্বালাক্বের দিকে ধাবিত হয়েছে। এ লোকের ত্বালাক্বের ব্যাপারে আলিমদের মাঝে মতভেদ রয়েছে। তবে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য মতানুযায়ী, এ লোকের ত্বালাক্বও কার্যকর হবে না। তৃতীয়তঃ অভ্যাসগত রাগ হয়েছে কিন্তু তা মাত্রাতিরিক্ত নয়। সাধারণভাবে ঝগড়া-ঝামেলার সময় যেমন রাগ উঠে থাকে। কিন্তু সে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েনি। স্ত্রীর কোন কাজ অপসন্দ করা কিংবা মনোমালিন্য থেকে স্বামীর এই রাগের উদ্রেক হয়। কিন্তু এত তীব্র আকার ধারণ করে না যে, এতে বিবেক-বুদ্ধি হারিয়ে ফেলে কিংবা নিজের ভাল-মন্দের বিবেচনা করতে পারে না। আলিমগণের সর্বসম্মতিক্রমে এ অবস্থায় ত্বালাক্ব সংঘটিত হয়ে যাবে (শায়খ ইবনু বায, ফাতাওয়াতুত ত্বালাক্ব, পৃ. ১৯-২১)। রাগাম্বিত ব্যক্তির ত্বালাক্বের ব্যাপারে শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) এবং তাঁর ছাত্র ইমাম ইবনুল ক্বাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ) এভাবেই বিশ্লেষণ করেছেন এবং ইবনুল ক্বাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ) এ সম্পর্কে একটি স্বতন্ত্র গ্রন্থ রচনা করেছেন। নাম দিয়েছেন ‘ইগাছাতুল লাহ্ফান ফী হুকমি ত্বালাক্বিল গাযবান’ (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-২২০২৪; যাদুল মা‘আদ, ৫/২১৫; কুয়েতী ফিক্বাহ্ বিশ্বকোষ, ১৮/২৯ পৃ.)।

প্রশ্নকারী আব্দুল জাব্বার, রংপুর।





প্রশ্ন (২২) : ইসলামী জালসা ও মাহফিলের শেষে আখেরী মুনাজাত করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : ‘দাতা ব্যক্তি আল্লাহর নিকটবর্তী, জান্নাতের নিকটবর্তী, মানুষেরও নিকটবর্তী, জাহান্নাম হতে দূরবর্তী। আর কৃপণ ব্যক্তি আল্লাহ হতে দূরবর্তী, জান্নাত হতে দূরবর্তী, মানুষ হতেও দূরবর্তী, নিকটবর্তী। নিশ্চয় মূর্খ দানশীল কৃপণ জ্ঞানী অপেক্ষা আল্লাহ্র নিকট অধিক প্রিয়’- মর্মে বর্ণনাটি কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : তারাবীহর ছালাত কয় রাক‘আত? কেউ ৮ রাক‘আত পড়ে, কেউ পড়ে ২০ রাক‘আত। কোনটি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : আমরা আলেমদের নিকট থেকে শুনেছি যে, আল্লাহর গুণবাচক নাম রাখলে নামের পূর্বে ‘আব্দ’ যোগ করতে। যেমন আব্দুর রহমান। কিন্তু ‘মালেক’-এর পূর্বে কি ‘আব্দ যোগ করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : কেউ কসম করে বলল, ‘আমি তাকে বিয়ে করব না। অতঃপর সে তাকে বিয়ে করে নিল’। তার জন্য করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : জুমু‘আর ছালাতের পর টাকা উঠানোর জন্য কৌটা চালানো কি বিদ‘আত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : স্বর্ণের নিছাব টাকা দিয়ে পূরণ করা যাবে কি? কারো স্বর্ণ আছে ৫ ভরি এবং টাকা আছে ২,০০,০০০। এ ক্ষেত্রে স্বর্ণের যাকাতের বিধান কী হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১১) : জনৈক ছাহাবী রাসূল (ﷺ)-এর নিকট এসে বিনীতভাবে বললেন, দুনিয়া আমার দিকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে অর্থাৎ তিনি দারিদ্র্যের কথা বলেন। তখন রাসূল (ﷺ) বললেন, ‘তুমি কি সেই তাসবীহ মুখস্থ করনি, যা ফেরেশতাদের তাসবীহ এবং এর বরকতে রিযিক প্রদান করা হয়? এই দুনিয়ার চাহিদা তোমার কাছে প্রচুর পরিমাণে আসবে। প্রতিদিন ভোরবেলা তথা সুবহে ছাদিকের পর এই তাসবীহটি প্রতিদিন ১০০ বার পড়ুন। তাসবীহটি হল- ‘সুবহা-নাল্ল-হি ওয়া বিহামদিহি, সুবহা-নালল্ল-হিল আযীম ওয়াবিহামদিহি এবং আস্তাগফিরুল্লাহ’। অতঃপর সাতদিন পর, সেই একই ছাহাবী আবার এলেন এবং বিনীতভাবে বললেন, হে আল্লাহ রাসূল (ﷺ)! দুনিয়া (সম্পদ) আমার কাছে এত বেশি পরিমাণে আসছে যে আমি জানি না কিভাবে বহন করতে হবে বা কোথায় রাখব। আমি একেবারে বিস্মিত যে, এটা দিয়ে কী করা যায়’ (লিসানুল মীযান, ৪/৩০৪ পৃ., হা/৫১০০)। উক্ত বর্ণনা কি ছহীহ? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : দাড়ি একমুষ্টি রেখে বাকি অংশ কাটা যাবে কি? যেখানে ছহীহ বুখারীর ৫৮৯২ নম্বর হাদীছে এসেছে, ইবনু ওমর (রাযিয়াল্লাহ আনহুমা) সূত্রে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, তোমরা মুশরিকদের উল্টো করবে- দাড়ি লম্বা রাখবে, গোঁফ ছোট করবে। ইবনু ওমর (রাযিয়াল্লাহ আনহুমা) যখন হজ্জ বা ওমরাহ করতেন, তখন তিনি তাঁর দাড়ি মুষ্টি করে ধরতেন এবং মুষ্টির বাইরে যতটুকু বেশি থাকত, তা কেটে ফেলতেন। এছাড়া আরো হাদীছ এসেছে। এই বিষয়ে সঠিক সমাধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৮) : মসজিদের টাইলসে ‘লা ইলা-হা ইল্লা-ল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ লেখা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : জনৈক মুছল্লী ১ম জামা‘আত শেষ হওয়ার পর মসজিদে যায় এবং সুন্নাত শুরু করে। পরক্ষণেই বুঝতে পারে যে, মসজিদের অপর কোণে ২য় জামা‘আত হচ্ছে। এখন কি সে সুন্নাত ছেড়ে দিয়ে জামা‘আতে অংশগ্রহণ করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : ঋণ দেয়ার সঠিক পদ্ধতি কী? ঋণ দেয়ার সময় যদি কেউ কাউকে সাক্ষী না রাখে, তাহলে কি সে গুনাহগার হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ