উত্তর : যে ব্যক্তি কুরআন-সুন্নাহ সম্পর্কে জ্ঞান রাখে না তার কর্তব্য হল, দ্বীনি মাসআলা সম্পর্কে বিজ্ঞ আলেমদেরকে ছহীহ দলীলসহ জিজ্ঞেস করবে এবং তদনুযায়ী আমল করবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, فَسۡـَٔلُوۡۤا اَہۡلَ الذِّکۡرِ اِنۡ کُنۡتُمۡ لَا تَعۡلَمُوۡنَ ‘অতএব জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞেস কর, যদি তোমাদের জানা না থাকে’ (সূরা আন-নাহল : ৪৩)।
আল্লামা শানকীত্বী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘অত্র আয়াতটি দ্বারা তাক্বলীদ করা প্রমাণিত হয় না। যেমনটি অনেকে মনে করেন যে, শুধু একজন ব্যক্তির সমস্ত মতামতকেই গ্রহণ করা আবশ্যক এবং অন্যের সব কথা বর্জনীয়। আর أَهْلُ الذِّكْرِ দ্বারা أَهْلُ الوحى বা ওয়াহীর অনুসারী উদ্দেশ্য। যারা আল্লাহর পক্ষ থেকে আগত বিধান সম্বন্ধে জানেন। অর্থাৎ কুরআন ও সুন্নাহর পণ্ডিতগণ (ছহীহ ফিকহুস সুন্নাহ, ১ম খণ্ড, পৃ. ৫৩; আযওয়াউল বায়ান ফী ইযাহিল কুরআন বিল কুরআন, ৭ম খণ্ড, পৃ. ৩২৪)।
রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও ছাহাবায়ে কেরাম সর্বদা দলীলের ভিত্তিতেই মানুষকে আহ্বান জানাতেন (সূরা ইউসুফ ১০৮)। শায়খ উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘যদি আমাদেরকে কেও প্রশ্ন করে যে, আমি কার তাক্বলীদ করব? তাহলে তার উত্তর হল- আপনি যাকে হক্বপন্থী বলে মনে করেন তার অনুকরণ করেন। কারণ আলেমরা চিকিৎসকের মত হৃদয়ের চিকিৎসক। যখন আমাদের কেউ অসুস্থ হয়, তখন সে আমাদের দেশের অসংখ্য ডাক্তারদের মধ্যে চিকিৎসা শাস্ত্রে সবার চেয়ে অভিজ্ঞ ও পারদর্শী ডাক্তারকে নির্বাচন করে। জরূরী প্রয়োজন ছাড়া অভিজ্ঞ ও পারদর্শী ডাক্তার থাকতে কেউ অপারদর্শী ও ছোট ডাক্তারের কাছে যায় না। অনুরূপভাবে আপনি যাকে সত্যের নিকটবর্তী দেখেন তাকে বেছে নিন। কারণ সে বড় জ্ঞানী ও তাক্বওয়াশীল (ফাতাওয়া নূরুন আলাদ দার্ব, নং ২১; মাজমূঊ ফাতাওয়া ও রাসাইল, ২৬/৪০৪)।
প্রশ্নকারী : মাহীদ, দিনাজপুর।