মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৪ অপরাহ্ন
উত্তর : প্রশ্নে উল্লেখিত কথাটি সঠিক নয়। কেননা এ সম্পর্কে আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে যে উক্তিটি বর্ণনা করা হয়ে থাকে, তা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আর এ কথা সর্বজনবিদিত যে, যঈফ হাদীছের আলোকে শরী‘আতের কোন বিধান প্রতিষ্ঠিত হয় না। ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়ে থাকে যে, তিনি বলেছেন, ‘হিজড়ারা জিনের সন্তান। ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)-কে জিজ্ঞেস করা হল যে, এটা কী করে সম্ভব? উত্তরে তিনি বলেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ) ঋতুবতী স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করতে নিষেধ করেছেন। সুতরাং যখন কোন ব্যক্তি ঋতুবতী স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করতে আসে তখন শয়তান তার উপর বিজয়ী হয়। ফলস্বরূপ স্ত্রী গর্ভবতী হয় এবং হিজড়া সন্তান প্রসব করে’ (আকামুল মারযান ফী আহকামিল জান্ন, ১/৯৩ পৃ.)। ইবনু আদী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘বর্ণনাটি জাল ও বানোয়াট’ (আল-কামিল ফিয যু‘আফা, ৬/২৯৫ পৃ.)। ইমাম যাহাবী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘বর্ণনাটি মুনকার বা প্রত্যাখ্যাত’ (মীযানুল ই‘তিদাল, ৪/৩৬৩ পৃ.)। ইমাম নাছিরুদ্দীন আলবানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘বর্ণনাটি মুনকার বা অস্বীকৃত’ (আরশীফ মুলতাক্বা আহলিল হাদীছ, ৬০/৭৯ পৃ.)।

ইসলাম এদের মানবসন্তান হিসাবেই আখ্যায়িত করেছে। আল্লাহ তা‘আলা মানবজাতির কাউকে পুরুষ, কাউকে নারী, আবার তাঁর কুদরতের বহিঃপ্রকাশ স্বরূপ কাউকে বানিয়েছেন একটু ভিন্ন করে, যেন বান্দা তাঁর একচ্ছত্র ক্ষমতা সম্পর্কে জানতে পারে যে, তিনি সব বিষয়ে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। তিনি যেমন স্বাভাবিক সুন্দর সৃষ্টি করতে সক্ষম, তেমনি এর ব্যতিক্রম সৃষ্টি করতেও সক্ষম। আর এমনই এক বৈচিত্রময় সৃষ্টি লিঙ্গ প্রতিবন্ধী বা হিজড়া। এরাও পূর্ণাঙ্গদের ন্যায় সমান মর্যাদার অধিকারী মানব। ইসলামের দৃষ্টিতে হিজড়া, বিকলাঙ্গ বা পূর্ণাঙ্গ হওয়াটা মর্যাদা-অমর্যাদার মাপকাঠি নয়। বরং তাক্বওয়াই হল মান-মর্যাদা আর শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি (সূরা আল-হুজুরাত : ১৩; ইসলাম ওয়েব, ফৎওয়া নং-৩২০০৮৯)।


প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ শাহিন, ভোলা।





প্রশ্ন (১৯) : ফুযাইল ইবনু ই‘যায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, لَوْ أَنَّ لُوْطِيًّا اغْتَسَلَ بِكُلِّ قَطْرَةٍ مِّنَ السَّمَاءِ لَقِيَ اللهَ غَيْرَ طَاهِرٍ ‘সমকামী ব্যক্তি যদি আকাশের সমস্ত পানি দিয়ে গোসল করে তারপরও সে অপবিত্র অবস্থায় আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে’ (যাম্মুল লিওয়াত্ব, দুরী, পৃ. ১৪২; ইসলাম ওয়েব, ফৎওয়া নং-২৪৩৬৭৩)। প্রশ্ন হল- কোন সমকামী ব্যক্তি ভুল বোঝার পরে অনুতপ্ত হয়ে যদি ইখলাছের সাথে তওবাহ করে, তাহলে কি তার সমকামের পাপ ক্ষমা হবে এবং সে কি অপবিত্র অবস্থায় আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করতে পারবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : পোশাকে রংধনুর ছাপ থাকলে তা পরিধান করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : কেউ যদি এমন পাপ করে যার কারণে ঐ ব্যক্তির শাস্তি সরাসরি হত্যা। এমন ব্যক্তির তওবার সুযোগ আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : সউদী আরবের স্থায়ী গবেষণা ও ফাতাওয়া বোর্ড মুনাজাতের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত দিয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : জুমু‘আ মসজিদে মহিলাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা না থাকার কারণে মূল মসজিদ থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে ওয়াক্তিয়া মসজিদে শুধু মহিলাদের জন্য জুমু‘আর ব্যবস্থা করা যাবে কি? যেখানে একজন পুরুষ খুৎবা দিবে। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে বলেছেন, গর্ভবতী মায়ের পেটে কী আছে তিনি ছাড়া কেউ জানে না। কিন্তু বর্তমানে আল্ট্রাসনোগ্রাফীর মাধ্যমে জানা যাচ্ছে। কুরআনের উক্ত আয়াতের সঠিক ব্যাখ্যা কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪০) : শুক্রবারে জান্নাতের দরজা খুলে দেয়া হয় এবং সেদিন কেউ মারা গেলে বিনা হিসাবে জান্নাতে চলে যায়। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : অনেকে জীব-জন্তু বা মানুষের ছবি দিয়ে শুভেচ্ছা ব্যানার তৈরি করেন। উক্ত ব্যানার বা কার্ডের ডিজাইনের কাজ করা কি হালাল হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : যাকাতের টাকা দিয়ে গোরস্থানের জমি ক্রয় করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৭) : সৎ সন্তান লাভের জন্য কোন দু‘আ পড়া উচিত? বিশেষ কোন আমল আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১) : কেউ না জেনে বিদ‘আতী প্রতিষ্ঠানে বা বিদ‘আতী কাজে দান করলে করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১) : যে ব্যক্তি কুরআন পড়েছে এবং সেটাকে মুখস্থ রেখেছে অতঃপর তার হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম জেনেছে, তাকে আল্লাহ জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং তার পরিবারের এমন দশ ব্যক্তির ব্যাপারে সুপারিশ কবুল করবেন, যাদের প্রত্যেকের জন্য জাহান্নাম অবধারিত হয়েছিল। এর সনদ ঠিক আছে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ