উত্তর : আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ)-কে প্রাণাধিক ভালোবাসা ঈমানের শর্ত। আল্লাহ ও রাসূল (ﷺ)-কে যারা কটাক্ষ করে তাদের যদি বুঝিয়ে ফেরানো সম্ভব না হয়, তবে তাদের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আমার ও তোমাদের শত্রুদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে তাদের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করো না, অথচ তোমাদের কাছে যে সত্য এসেছে তা তারা অস্বীকার করেছে এবং রাসূলকে ও তোমাদেরকে বের করে দিয়েছে এজন্য যে, তোমরা তোমাদের রব আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছ। তোমরা যদি আমার পথে সংগ্রামে ও আমার সন্তুষ্টির সন্ধানে বের হও (তবে কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না।) তোমরা গোপনে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব প্রকাশ কর অথচ তোমরা যা গোপন কর এবং যা প্রকাশ কর তা আমি জানি। তোমাদের মধ্যে যে এমন করবে সে সরল পথ হতে বিচ্যুত হবে’ (সূরা আল-মুমতাহিনাহ : ১)।
আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,
لَا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ، حَتَّى أَكُوْنَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ وَالِدِهِ وَوَلَدِهِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِيْنَ
‘তোমাদের মধ্যে কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তার নিকট তার পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি এবং সকল মানুষের চাইতে অধিক প্রিয় না হই’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৫; ছহীহ মুসলিম, হা/ ৬৯)। অন্য হাদীছে রাসূল (ﷺ) বলেন,
إِنَّ أَحْسَنَ الحَدِيْثِ كِتَابُ اللهِ، وَأَحْسَنَ الهَدْيِ هَدْيُ مُحَمَّدٍ ﷺ
‘সর্বোত্তম বাণী হচ্ছে আল্লাহর বাণী এবং সর্বোত্তম চরিত্র হচ্ছে মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর চরিত্র’ (ছহীহ বুখারী, হা/৬০৯৮; ছহীহ মুসলিম, হা/৮৬৭) ।
উপরিউক্ত আয়াত ও হাদীছগুলো থেকে বুঝা যায় যে, আমাদের মুসলিম ও মুমিন হিসাবে পরিচয় দিতে চাইলে সর্বপ্রথম আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ)-কে ভালোবাসতে হবে। শুধু তাই নয় ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশও ঘটবে। একটা উদাহরণ দিলে বুঝে আসবে, তা হলো, আমার পিতা-মাতাকে কেউ গালি দেয় সে সময় আমি যতটুকু রাগ করি তার চেয়েও শতগুণ বেশি রাগ আসবে যখন কেউ আমার আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ) নিয়ে কেউ কোন কটুক্তি করবে।
প্রশ্নকারী : জাহিদ, জয়পুরহাট।