সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৪:৩১ অপরাহ্ন
উত্তর : আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ)-কে প্রাণাধিক ভালোবাসা ঈমানের শর্ত। আল্লাহ ও রাসূল (ﷺ)-কে যারা কটাক্ষ করে তাদের যদি বুঝিয়ে ফেরানো সম্ভব না হয়, তবে তাদের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আমার ও তোমাদের শত্রুদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে তাদের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করো না, অথচ তোমাদের কাছে যে সত্য এসেছে তা তারা অস্বীকার করেছে এবং রাসূলকে ও তোমাদেরকে বের করে দিয়েছে এজন্য যে, তোমরা তোমাদের রব আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছ। তোমরা যদি আমার পথে সংগ্রামে ও আমার সন্তুষ্টির সন্ধানে বের হও (তবে কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না।) তোমরা গোপনে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব প্রকাশ কর অথচ তোমরা যা গোপন কর এবং যা প্রকাশ কর তা আমি জানি। তোমাদের মধ্যে যে এমন করবে সে সরল পথ হতে বিচ্যুত হবে’ (সূরা আল-মুমতাহিনাহ : ১)।

আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,

لَا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ، حَتَّى أَكُوْنَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ وَالِدِهِ وَوَلَدِهِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِيْنَ

‘তোমাদের মধ্যে কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তার নিকট তার পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি এবং সকল মানুষের চাইতে অধিক প্রিয় না হই’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৫; ছহীহ মুসলিম, হা/ ৬৯)। অন্য হাদীছে রাসূল (ﷺ) বলেন,

إِنَّ أَحْسَنَ الحَدِيْثِ كِتَابُ اللهِ، وَأَحْسَنَ الهَدْيِ هَدْيُ مُحَمَّدٍ ﷺ

‘সর্বোত্তম বাণী হচ্ছে আল্লাহর বাণী এবং সর্বোত্তম চরিত্র হচ্ছে মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর চরিত্র’ (ছহীহ বুখারী, হা/৬০৯৮; ছহীহ মুসলিম, হা/৮৬৭) ।

উপরিউক্ত আয়াত ও হাদীছগুলো থেকে বুঝা যায় যে, আমাদের মুসলিম ও মুমিন হিসাবে পরিচয় দিতে চাইলে সর্বপ্রথম আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ)-কে ভালোবাসতে হবে। শুধু তাই নয় ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশও ঘটবে। একটা উদাহরণ দিলে বুঝে আসবে, তা হলো, আমার পিতা-মাতাকে কেউ গালি দেয় সে সময় আমি যতটুকু রাগ করি তার চেয়েও শতগুণ বেশি রাগ আসবে যখন কেউ আমার আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ) নিয়ে কেউ কোন কটুক্তি করবে।


প্রশ্নকারী : জাহিদ, জয়পুরহাট।





প্রশ্ন (৫) : হাদীছে বলা হয়েছে যে, খারিজীরা জাহান্নামের কুকুর (ইবনু মাজাহ, হা/১৭৬; তিরমিযী, হা/৩০০০; সনদ ছহীহ)। কুকুর বলে কী বুঝানো হয়েছে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : ছালাত শেষে ইমাম যখন সালাম ফিরাবে, তখন মুছল্লীদেরকে কি উক্ত সালামের জবাব প্রদান করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৬) : শরী‘আতে একাকী সফর করা সম্পর্কে যে নিষেধাজ্ঞা এসেছে- তা কি ছহীহ? যদি ছহীহ হয় তবে সফরসঙ্গী না পেলে দূরবর্তী সফরে করণীয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : দীর্ঘ মেয়াদী ঋণী ব্যক্তি কি হজ্জ করতে পারবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : কবরস্থানের গাছের ফলমূল ও পাতা খাওয়া বা ব্যবহার করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : মৃত ব্যক্তিকে কবরে দাফন করার পর কবরের পাশে আযান দেয়া হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৩) : জনৈক ব্যক্তি কুরআন ও ছহীহ হাদীছের কথা বলেন। কিন্তু সে তার পিতা-মাতার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। এমনকি পিতার গায়ে হাত তুলে। এমন ব্যক্তির নিকট থেকে জ্ঞান নেয়া যাবে কি?  - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : জামা‘আতে ছালাত আদায় করলে একাকী ছালাত আদায়ের চাইতে ২৫-২৭ গুন ছাওয়াব হয়। এখন কেউ যদি শেষ বৈঠকে এসে ছালাত পায় এবং সেখান থেকে ছালাত শুরু করে, তাহলে সে কি জামা‘আতে ছালাত আদায়ের সবটুকু ছাওয়াব পাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : সাংগঠনিক বায়‘আত সম্পর্কে শায়খ বিন বায এবং শায়খ ইবনু উছায়মীনের ফৎওয়া কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৫) : যে ব্যক্তি রামাযান মাসের শেষ জুমু‘আয় দিনে রাতে পাঁচ ওয়াক্ত ফরয ছালাত আদায় করবে তার ঐ বছরের ছুটে যাওয়া ছালাতের জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে। উক্ত বর্ণনা কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১): মক্তবের বেতন কি উশরের টাকা দিয়ে দেয়া যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৩) : জনৈক যুবক ভাই ফাসেকী জীবন ছেড়ে দ্বীনের পথ অবলম্বন করেছেন। প্রশ্ন হল- দ্বীনের পথে অবিচল থাকার জন্য ঐ যুবকের প্রতি কী উপদেশ দেয়া যেতে পারে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ