উত্তর : কোন ব্যক্তি দ্বীনের পথ অবলম্বন করলে নিম্নোক্ত উপদেশগুলো বিবেচনায় রাখতে হবে।
১- সঠিক পথে অটল ও অবিচল থাকার জন্য সার্বক্ষণিক আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা।
২- বুঝে বুঝে অনুধাবন করে বেশি পরিমাণে কুরআনে কারীম তেলাওয়াত করা। যাতে করে এ কুরআন তার অন্তরকে প্রভাবিত করে।
৩- আল্লাহর আনুগত্যের পথকে আঁকড়ে থাকার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকা। বিরক্তি ও অলসতা যেন তাকে স্পর্শ না করে। কেননা নবী (ﷺ) অক্ষমতা ও অলসতা থেকে আশ্রয় চেয়েছেন (ছহীহ বুখারী, হা/২৮২৩)।
৪- সৎসঙ্গ গ্রহণ করা এবং অসৎসঙ্গ থেকে দূরে থাকা।
৫- যখন নফস তার উপর কুপ্রভাব ফেলতে চাইবে তখনি নফসকে (কুপ্রবৃত্তিকে) নসীহত করা। নফস বলতে পারে: দূরত্বও তো অনেক, রাস্তা অনেক দীর্ঘ। তখন সে নফসকে নসীহত করবে এবং অবিচল থাকবে। কারণ জান্নাত কষ্টক্লেশ দিয়ে পরিবেষ্টিত। আর জাহান্নাম ভোগবিলাস দিয়ে পরিবেষ্টিত।
৬- খারাপ সঙ্গি থেকে দূরে থাকা। যদিও তারা ইতিপূর্বে তার বন্ধু ছিল। কেননা খারাপ সঙ্গিরা তাকে প্রভাবিত করতে পারে। এ কারণে নবী (ﷺ) বলেছেন, ‘খারাপ সঙ্গির উদাহরণ হচ্ছে কামারের হাপরের ন্যায়; হয়তো তোমার কাপড় পুড়ে দিবে, নয়তো তুমি এর থেকে দুর্গন্ধ পাবে’ (ছহীহ বুখারী, হা/২১০১; শায়খ মুহাম্মাদ ইবনু উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ), লিকা‘আতুল বাব আল-মাফতূহ, ১/১৫৩; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১২৭০৬৭)।
প্রশ্নকারী : আল-আমীন, ঢাকা।