বুধবার, ০৪ Jun ২০২৫, ১২:২৮ অপরাহ্ন
উত্তর : সফর মাসকে কেন্দ্র করে অনেক মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কথা সমাজে প্রচলিত আছে। এমনকি দৈনিক পত্রিকাতেও এই মিথ্যা কথাগুলো প্রচার করে থাকে। শায়খ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদ বলেন, ‘সফর মাসের কুসংস্কার ও বিদ‘আতগুলোকে সংক্ষিপ্তাকারে জানার জন্য কয়েকটি পয়েন্ট সামনে রাখা অতীব যরূরী। যথা- (১) আরবীয় জাহিলিয়্যাতের যুগে সফর মাস ও তার বিরোধিতায় ইসলামী বিধান: জাহিলিয়্যাতের যুগে আরবরা সফর মাসকে কেন্দ্র করে দু’টি ঘৃণিত কাজ করত। যেমন (ক) তারা নিজেদের সুবিধার্থে সফর মাসকে ত্বরান্বিত বা বিলম্বিত করত। ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, ‘লোকেরা যিলহজ্জ মাসে ‘উমরাহ করাকে দুনিয়ার সবচেয়ে ঘৃণ্য পাপের কাজ বলে মনে করত। হারামের মাস হওয়ায় মুহাররাম মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ নিষিদ্ধ ছিল, কিন্তু তারা মুহাররাম মাসের স্থলে সফর মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ নিষিদ্ধ মনে করত। তারা বলত, উটের পিঠের ক্ষত ভাল হলে, রাস্তার মুসাফিরের পদচিহ্ন  মুছে গেলে এবং সফর মাস অতিক্রান্ত হলে ‘উমরাহ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তি ‘উমরাহ করতে পারবে। নবী (ﷺ) ও তাঁর ছাহাবীগণ যিলহজ্জ মাসে উমরাহ করে এই জঘন্য কুসংস্কারকে দূর করেন (ছহীহ বুখারী, হা/১৫৬৪; ছহীহ মুসলিম, হা/১২৪০)।

(খ) তারা এই মাসকে অশুভ ও কুলক্ষণে মনে করত। শায়খ উছাইমীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘সফর মাসকে অশুভ, অকল্যাণকর অথবা বালা-মুছীবতের মাস মনে করা ইসলামী আক্বীদার ঘোর পরিপন্থী। এটা কুসংস্কার। রাসূল (ﷺ) তাদের এই কুসংস্কারের প্রতিবাদ করে বলেন, রোগে সংক্রমণ নেই, শুভ-অশুভ আলামত বলে কিছু নেই, কোন ভূত প্রেত বা অতৃপ্ত আত্মা নেই এবং সফর মাসের অশুভত্বের কোন অস্তিত্ব নেই’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৭০৭, ৫৭৫৭; ছহীহ মুসলিম হা/২২২০)। অথচ এর পরেও মুসলিম সমাজে অনেকের মধ্যে পূর্ববর্তী যুগের এ সকল কুসংস্কার থেকেই গেছে। এ মাসকে কেন্দ্র করে ধোঁকাবাজরা জাল বর্ণনা তৈরি করেছে। তারা জালিয়াতি করে রাসূল (ﷺ)-এর নামে বলেছে, এই মাস বালা মুছীবতের মাস। এই মাসে এত লক্ষ এত হাজার বালা নাযিল হয়। এই মাসেই আদম (আলাইহিস সালাম) ফল খেয়েছিলেন। এ মাসেই হাবীল নিহত হন। এ মাসেই নূহ (আলাইহিস সালাম)-এর ক্বওম ধ্বংস হয়। এ মাসেই ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-কে আগুনে ফেলা হয়। এ মাসের আগমনে রাসূল (ﷺ) ব্যথিত হতেন। এই মাস চলে গেলে খুশী হতেন। তিনি বলতেন, ‘যে ব্যক্তি আমাকে সফর মাস অতিক্রান্ত হওয়ার সুসংবাদ প্রদান করবে, আমি তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করার সুসংবাদ প্রদান করব’ ইত্যাদি ইত্যাদি। এছাড়াও তারা আরো অনেক কথা বানিয়েছে। মুহাদ্দিছগণ একমত যে, সফর মাসের অশুভত্ব ও বালা মুছীবত বিষয়ক সকল কথাই ভিত্তিহীন, মিথ্যা (মাজমূঊ ফাতাওয়া ওয়া রাসাইল, ২/১১৩-১১৫ পৃ.)।

(২) সফর মাস সংক্রান্ত মিথ্যা ও বানোয়াট হাদীছ : ইমাম ইবনুল ক্বাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘এ মাসের কুসংস্কার ও করণীয় সম্পর্কিত সমস্ত হাদীছ জাল। এই মাসের অমুক দিনে এই হয়, অমুক দিনে সেই হয় ইত্যাদি ইত্যাদি। বলা হয়, কেউ যদি সফর মাসের ১ম রাত্রিতে মাগরিবের পরে বা এশার পরে চার রাক‘আত নফল ছালাত আদায় করে, অমুক অমুক সূরা বা আয়াত এতবার পাঠ করে, তবে সে বিপদ থেকে রক্ষা পাবে, এত পুরস্কার পাবে ইত্যাদি। এগুলো সবই ভিত্তিহীন, বানোয়াট কথা (আল-মানারুল মুনীফ, পৃ. ৬৪; ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-২২৪০২৫)।


প্রশ্নকারী : মুবারক, দিনাজপুর।





প্রশ্ন (১০) : আমি সুইডেনের প্রবাসী। রাষ্ট্র থেকে ভাতা পেয়ে থাকি। বাড়ি স্কুল ও বাজার থেকে অনেক দূরে হওয়ায় গাড়ি কিনতে হয়েছে। আমার কিছু প্রতিবেশী গাড়িতে করে তাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাকে টাকা দেয়। অথচ সুইডেনের শ্রম আইন অনুযায়ী এই কাজটি অবৈধ। আমার এখনও রেসিডেন্স পারমিট না থাকায় আমি এখানে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ করতে পারি না। প্রশ্ন হলো, আমার এই কাজটি কি ইসলামে হারাম? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮): বিবাহের ক্ষেত্রে কেমন পাত্র দেখা উচিত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : মহিলারা শাড়ি পরিধান করতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য তা‘বীয ব্যবহার করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : জনৈক বক্তা বলেন, জুমু‘আর খুত্ববা বাংলা ভাষায় দেয়া যাবে না, আরবী ভাষায় দিতে হবে। উক্ত দাবী কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬): মাতাল বা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ত্বালাক্ব দিলে, ত্বালাক্ব সংঘটিত হবে কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২) : মসজিদে জমি দান করার ক্ষেত্রে কয়েকটি প্রশ্ন চলে আসে। যেমন ১. জমি কি রেজিস্ট্রেরি দিতে হবে, না-কি মৌখিকভাবে দিলেও চলবে? ২. জমি থেকে উৎপাদিত ফসল কমিটি বরাবর নিঃশর্তে ছেড়ে দেয়া যাবে কি? ৩. উক্ত মসজিদের অতিরিক্ত আয় বা সম্পদ অন্য কোন মসজিদে দেয়া যাবে কি? ৩. ঐ ব্যক্তির মৃত্যুর পর ওয়ারিছগণ মসজিদ দেখাশুনা করতে পারবে না এমন আশঙ্কা থাকলে কেমন ব্যবস্থা নেয়া উচিত? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৫) : ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা অধিক ধারণা হতে বিরত থাকো’ (সূরা আল-হুজুরাত: ১২)। এ আয়াতটির ব্যাখ্যা কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৭) : বিভিন্ন ভাষায় রচিত গল্প, নাটক, উপন্যাসের বই বিক্রি করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩): তুরস্কের অধিবাসীদের আক্বীদা কেমন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : টিকটিকি মারার ফযীলত সংক্রান্ত কয়েকটি হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। অনেকেই বলে, তা টিকটিকি নয়, বরং তা গিরগিটি কিংবা কাঁকলাস মারতে হবে। এর সঠিক অর্থ কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : ঈদ ও অনুরূপ সময়ে একজন ব্যক্তির নিজের ছবি তুলে পরিবারের কাছে পাঠানো কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ