উত্তর : কোন যুবক যদি দ্বীনদারী ও চরিত্রের দিক থেকে পসন্দনীয় হয়, যাবতীয় হারাম থেকে বিরত থাকে, তবে তাকেই উপযুক্ত পাত্র হিসাবে গ্রহণ করা উত্তম। রাসূল বলেছেন,
إِذَا خَطَبَ إِلَيْكُمْ مَنْ تَرْضَوْنَ دِيْنَهُ وَخُلُقَهُ فَزَوِّجُوْهُ إِلَّا تَفْعَلُوْا تَكُنْ فِتْنَةٌ فِي الْأَرْضِ وَفَسَادٌ عَرِيْضٌ
‘তোমাদের নিকট যদি এমন পাত্র বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে আসে যার দ্বীনদারী ও চরিত্র তোমাদের নিকট পছন্দসই, তবে তার সাথে তোমাদের কন্যাদের বিবাহ দিয়ে দাও। আর তোমরা যদি এমনটি না কর তবে এর কারণে পৃথিবীতে অনেক বড় ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টি হবে (তিরমিযী হা/১০৮৪, সনদ হাসান)।
সৎ ছেলে যদি দরিদ্রও তবুও তাকে প্রাধান্য দেয়া শরী‘আতের নির্দেশ। আল্লাহ বলেন,
وَ اَنۡکِحُوا الۡاَیَامٰی مِنۡکُمۡ وَ الصّٰلِحِیۡنَ مِنۡ عِبَادِکُمۡ وَ اِمَآئِکُمۡ ؕ اِنۡ یَّکُوۡنُوۡا فُقَرَآءَ یُغۡنِہِمُ اللّٰہُ مِنۡ فَضۡلِہٖ ؕ وَ اللّٰہُ وَاسِعٌ عَلِیۡمٌ
‘তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত, তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ণ, তাদেরকেও। তারা যদি দরিদ্র হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দিবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ’ (সূরা আন-নূর: ৩২)।
তবে বিবাহের জন্য উপযুক্ত বা কুফু’ হওয়ার জন্য অনেকে চারটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়েছেন। ইসলাম, স্বাধীন, বংশ ও পেশা। অর্থাৎ মুসলিম কন্যাকে কাফেরের সাথে বা সৎকর্মশীলা কন্যাকে ফাসেকের সাথে বিবাহ দিবে না, স্বাধীন নারীকে কোন ক্রিতদাসের সাথে বিবাহ দিবে না, ভাল বংশের কন্যা নীচু বংশের লোকের সাথে বিবাহ দিবে না এবং কন্যার পরিবার ভাল পেশাদার হলে নিচু মানের পেশাদার পাত্রকে কন্যা দিবে না। কিন্তু ইমাম মালেক (রাহিমাহুল্লাহ) শুধু দ্বীনের বিষয়টিকেই পাত্রের জন্য প্রাধান্য দিয়েছেন। কারণ একটি হাদীছে দ্বীনকে প্রাধান্য দেয়ার নির্দেশ এসেছে (ছহীহ বুখারী, হা/৫০৯০; তুহফাতুল আহওয়াযী, ৪/১৭৩ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : রহমতুল্লাহ, ময়মনসিংহ।