বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪৩ অপরাহ্ন
উত্তর : কোন যুবক যদি দ্বীনদারী ও চরিত্রের দিক থেকে পসন্দনীয় হয়, যাবতীয় হারাম থেকে বিরত থাকে, তবে তাকেই উপযুক্ত পাত্র হিসাবে গ্রহণ করা উত্তম। রাসূল  বলেছেন,

إِذَا خَطَبَ إِلَيْكُمْ مَنْ تَرْضَوْنَ دِيْنَهُ وَخُلُقَهُ فَزَوِّجُوْهُ إِلَّا تَفْعَلُوْا تَكُنْ فِتْنَةٌ فِي الْأَرْضِ وَفَسَادٌ عَرِيْضٌ

‘তোমাদের নিকট যদি এমন পাত্র বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে আসে যার দ্বীনদারী ও চরিত্র তোমাদের নিকট পছন্দসই, তবে তার সাথে তোমাদের কন্যাদের বিবাহ দিয়ে দাও। আর তোমরা যদি এমনটি না কর তবে এর কারণে পৃথিবীতে অনেক বড় ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টি হবে (তিরমিযী হা/১০৮৪, সনদ হাসান)।

সৎ ছেলে যদি দরিদ্রও তবুও তাকে প্রাধান্য দেয়া শরী‘আতের নির্দেশ। আল্লাহ বলেন,

وَ اَنۡکِحُوا الۡاَیَامٰی مِنۡکُمۡ وَ الصّٰلِحِیۡنَ مِنۡ عِبَادِکُمۡ وَ اِمَآئِکُمۡ ؕ اِنۡ یَّکُوۡنُوۡا فُقَرَآءَ یُغۡنِہِمُ اللّٰہُ مِنۡ فَضۡلِہٖ ؕ وَ اللّٰہُ  وَاسِعٌ  عَلِیۡمٌ

‘তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত, তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ণ, তাদেরকেও। তারা যদি দরিদ্র হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দিবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ’ (সূরা আন-নূর: ৩২)।

তবে বিবাহের জন্য উপযুক্ত বা কুফু’ হওয়ার জন্য অনেকে চারটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়েছেন। ইসলাম, স্বাধীন, বংশ ও পেশা। অর্থাৎ মুসলিম কন্যাকে কাফেরের সাথে বা সৎকর্মশীলা কন্যাকে ফাসেকের সাথে বিবাহ দিবে না, স্বাধীন নারীকে কোন ক্রিতদাসের সাথে বিবাহ দিবে না, ভাল বংশের কন্যা নীচু বংশের লোকের সাথে বিবাহ দিবে না এবং কন্যার পরিবার ভাল পেশাদার হলে নিচু মানের পেশাদার পাত্রকে কন্যা দিবে না। কিন্তু ইমাম মালেক (রাহিমাহুল্লাহ) শুধু দ্বীনের বিষয়টিকেই পাত্রের জন্য প্রাধান্য দিয়েছেন। কারণ একটি হাদীছে দ্বীনকে প্রাধান্য দেয়ার নির্দেশ এসেছে (ছহীহ বুখারী, হা/৫০৯০; তুহফাতুল আহওয়াযী, ৪/১৭৩ পৃ.)।


প্রশ্নকারী : রহমতুল্লাহ, ময়মনসিংহ।





প্রশ্ন (২৫) : আল্লাহ তা‘আলার বাণী- ‘নিশ্চয় আপনি যাকে ভালোবাসেন ইচ্ছে করলেই তাকে হেদায়াত দিতে পারবেন না’ (সূরা আল-ক্বাছাছ : ৫৬) এবং তাঁর বাণী: ‘নিশ্চয় আপনি সরল পথের দিকে হেদায়াত করেন’ (সূরা আশ-শূরা : ৫২)। উক্ত আয়াতদ্বয়ের মাঝে সমন্বয় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : জন্ম সনদে বয়স কমিয়ে দেয়া কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৮) : কোন মেয়ে তার বান্ধবীর বিয়ের অনুষ্ঠানে যেতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১০) : বদ নযর কি সত্য? আর যদি বদ নযর লেগেই যায়, তাহলে তা থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩১) : যে সকল রাষ্ট্র আল্লাহকে সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক মনে করে না, সেই রাষ্ট্রের অধীনে যারা সরকারী চাকুরী করেন তাদেরকে দেশের নির্বাচনের বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করতে হয়। মুসলিম হিসাবে বাধ্যগত কারণে উক্ত দায়িত্ব পালন করা কি কুফরীর অন্তর্ভুক্ত হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৪) : মৃত্যুর কারণে কান্নাকাটি করার শারঈ বিধান কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৪) : ঈদের খুত্ববাহ কয়টি? কোথাও একটি আবার কোথাও দু’টি দিতে দেখা যায়। কোনটি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩) : আল্লাহর গুণবাচক নামসমূহ কিভাবে পড়ব? ইয়া আল্লাহ, ইয়া রহমান এভাবে, নাকি আল্লাহ, আর রহমান এভাবে? জানিয়ে বাধিত করবেন। - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৩) : হাত তুলে দু‘আর শুরুতে হামদ ও দরূদ পাঠ করার কথা বলা হয়েছে। কোন্ বাক্য দ্বারা হামদ ও দরূদ পাঠ করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : প্রতি বছর ‘আরাফার দিন (৯ যিলহজ্জ) ছিয়াম রাখা সুন্নাত। কিন্তু বাংলাদেশের হিসাব অনুযায়ী সাধারণত ৮ কিংবা ৭ যিলহজ্জ তারিখে ‘আরাফাহ হয়। এক্ষণে উক্ত ছিয়াম তারিখের সাথে মিলিয়ে রাখবে না আরাফার সাথে মিলিয়ে রাখবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৯) : মৃত ব্যক্তির নামে কুরবানী করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : ফী নিয়ে প্রতিযোগিতা আয়োজন করা বৈধ কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ