উত্তর : নফল ছিয়াম যদি কেউ ভেঙ্গে ফেলে তার উপর ক্বাযা আবশ্যক হয় না। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নফল ছিয়ামের ক্ষেত্রে অনেক সময় খাবার জোগাড় না থাকায় ছিয়াম রেখে দিয়েছেন আবার হাদিয়া আসলে ছিয়াম ভেঙ্গে ফেলেছেন। এমনকি নফল ছিয়াম অবস্থায় কেউ দাওয়াত করলে ছিয়াম ভাঙ্গা এবং রাখার ব্যাপারে ঐচ্ছিক মত পোষণ করেছেন। হাদীছে এসেছে,
عَنْ عَائِشَةَ رَضِىَ اللهُ عَنْهَا أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ قَالَتْ جَاءَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا فَقَالَ هَلْ عِنْدَكُمْ مِنْ طَعَامٍ قُلْتُ لَا. قَالَ إِذًا أَصُوْمَ قَالَتْ وَدَخَلَ عَلَىَّ مَرَّةً أُخْرَى فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أُهْدِىَ لَنَا حَيْسٌ. فَقَالَ إِذًا أُفْطِرَ الْيَوْمَ وَقَدْ فَرَضْتُ الصَّوْمَ
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘একদা রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার ঘরে প্রবেশ করলেন এবং বললেন, তোমার কাছে কি খাবার মত কিছু আছে? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, তাহলে আমি ছিয়াম রেখে দিলাম। অন্য একদিন তিনি এলেন তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমাদের জন্য কিছু ‘হায়স’ তথা খেজুর, ঘি এবং ছাতু দিয়ে বানানো এক প্রকার খাবার হাদিয়া এসেছে। তিনি বললেন, আমাকে দেখাও, আমি ছিয়াম অবস্থায় সকাল করেছি। অতঃপর তিনি তা খেলেন’ (নাসাঈ হা/২৩৩০, সনদ হাসান ছহীহ)। হাদীছে এসেছে,
إِذَا دُعِيَ أَحَدُكُمْ إِلَى طَعَامٍ وَهُوَ صَائِمٌ فَلْيَقُلْ إِنِّيْ صَائِمٌ. وَفِيْ رِوَايَةٍ قَالَ إِذَا دُعِيَ أَحَدُكُمْ فَلْيُجِبْ فَإِنْ كَانَ صَائِمًا فَلْيُصَلِّ وَإِنْ كَانَ مُفْطِرًا فَلْيَطْعَمْ
‘যখন তোমাদের কেউ খানার দিকে আহুত হয় ছিয়াম অবস্থায়, সে যেন বলে আমি ছায়েম’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১১৫০)। অপর বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ খানার জন্য আহুত হয়, তখন সে যেন তা কবুল করে, অতঃপর ছিয়াম থাকলে তাদের জন্য দু‘আ করে ছিয়াম না থাকলে খানা খায়’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৪৩১; মিশকাত, হা/২০৭৮)।
প্রশ্নকারী : আল-আমীন, নওগাঁ।