উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক। আবূ হুরাইরা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা এমন কোন ব্যাধি অবতীর্ণ করেননি, যার ঔষধ সৃষ্টি করেননি’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৬৭৮)। অন্য হাদীছে বলেছেন, ‘প্রত্যেক রোগের জন্য ঔষধ রয়েছে। সুতরাং যখন রোগের জন্য সঠিক ঔষধ ব্যবহৃত হয়, তখন আল্লাহ তা‘আলার হুকুমে রোগী রোগমুক্ত হয়ে যায়’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২২০৪-৬৯)। তাই বৈধ পন্থায় চিকিৎসা করতে পারলে ইনশাআল্লাহ যেকোন রোগ ভাল হবে। বদনযর ও জিন-শয়তানের প্রভাব থেকে মুক্তির জন্য সকাল-সন্ধ্যায় বৈধ ঝাড়ফুঁক করা এবং সকাল ও সন্ধ্যাকালীন যিকর-আযকারের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, কারো ওপর বদনযর লাগলে, কোন বিষাক্ত প্রাণী দংশন করলে এবং পাঁজরে খুজলি উঠলে রাসূল (ﷺ) ঝাড়ফুঁক করতে অনুমতি দিয়েছেন’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৭৩৮; ছহীহ মুসলিম, হা/২১৯৫-৫৫)। এছাড়াও সকাল-সন্ধ্যায় সূরা ফাতিহা, সূরা ইখলাছ, সূরা ফালাক্ব, সূরা নাস এবং আয়াতুল কুরসী পড়ে রোগীকে ঝাড়ফুঁক করা উচিত।
প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ শফীক, কুয়েত।