বুধবার, ০৪ Jun ২০২৫, ১১:৪০ পূর্বাহ্ন
উত্তর: ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে শপথ করা সাধারণভাবে মাকরূহ, চাই শপথকারী মিথ্যাবাদী হোক কিংবা সত্যবাদী। তবে শপথের ক্ষেত্রে কেউ যদি মিথ্যাবাদী হয়, তাহলে তা মাকরূহে তাহরীমী তথা হারাম হবে এবং এটা কঠিন পাপ ও তার জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে। কেননা এটা একটি মিথ্যা শপথ। যদিও এর মাধ্যমে পণ্যটির অধিক চাহিদা থাকে। যার ফলে তা বিক্রয়ের বরকত ও লাভকে ধ্বংস করে দেয়। আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, اَلْحَلِفُ مُنَفِّقَةٌ لِلسِّلْعَةِ مُمْحِقَةٌ لِلْبَرَكَةِ ‘মিথ্যা কসম পণ্য চালু করে দেয় বটে, কিন্তু বরকত নিশ্চিহ্ন করে দেয়’ (ছহীহ বুখারী, হা/২০৮৭; ছহীহ মুসলিম, হা/১৬০৬)।

আবূ যার (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, নবী করীম (ﷺ) বলেছেন, ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা তিন শ্রেণীর লোকের সাথে কথা বলবেন না, তাদের প্রতি করুণার দৃষ্টি দিবেন না, তাদের পরিশুদ্ধও করবেন না; বরং তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। আবূ যার (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! তারা কারা? তারা তো ব্যর্থ হল তারা তো ক্ষতিগ্রস্ত হল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, টাকনুর নিচে কাপড় পরিধানকারী, অনুগ্রহ করে প্রকাশকারী এবং মিথ্যা কসমের মাধ্যমে মাল বিক্রয়কারী’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১০৬)।

পক্ষান্তরে ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে শপথকারী যদি সত্যবাদী হয়, তাহলে তা মাকরূহে তানযীহি তথা পবিত্রতার দিক থেকে নিন্দনীয় হবে। কেননা অধিকহারে শপথের কারণে পণ্যটির গতিময়তা আনয়ন করে এবং এ ব্যাপারে মানুষকে অধিকহারে উৎসাহিত করা হয়ে থাকে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘নিশ্চয় যারা আল্লাহর প্রতি কৃত অঙ্গীকার ও স্বীয় শপথ সামান্য মূল্যে বিক্রি করে, পরকালে তাদের কোনই অংশ নেই এবং আল্লাহ তাদের সাথে কথা বলবেন না ও ক্বিয়ামত দিবসে তাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করবেন না, তাদেরকে পরিশুদ্ধ করবেন না এবং তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে’ (সূরা আলে ইমরান: ৭৭)।

অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন, احۡفَظُوۡۤا اَیۡمَانَکُمۡ وَ ‘তোমরা নিজেদের কসমসমূহের প্রতি লক্ষ্য রাখ’ (সূরা আল-মায়েদাহ: ৮৯)। মহান আল্লাহ আরো বলেন, ‘তোমরা নিজেদের শপথের জন্য আল্লাহর নামকে লক্ষবস্তু বানায়ো না’ (সূরা আল-বাক্বারাহ: ২২৪)। আবূ ক্বাতাদা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, إِيَّاكُمْ وَكَثْرَةَ الْحَلِفِ فِى الْبَيْعِ فَإِنَّهُ يُنَفِّقُ ثُمَّ يَمْحَقُ ‘ব্যবসার মধ্যে অধিক কসম খাওয়া হতে বেঁচে থাক। কেননা তা দ্বারা মাল বেশী বিক্রি হয় কিন্তু (বারাকাহ) বিনষ্ট হয়ে যায়’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৬০৭; মিশকাত, হা/২৭৯৩)।


প্রশ্নকারী : আব্দুর রাযযাক, উত্তরা, ঢাকা।





প্রশ্ন (২৭) : বদলি হজ্জ যার পক্ষ থেকে করা হয় তিনি কী পরিমাণ নেকী পাবেন? অনুরূপ যিনি বদলি হজ্জ করে দেন তিনি কী পরিমাণ নেকী পাবেন? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১২) : কবরস্থানের ফাঁকা জায়গায় (যেখানে কবর নেই) জানাযার ছালাত পড়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : সিজদাহ অবস্থায় পাগুলো কি একত্র থাকবে, না-কি ফাঁকা থাকবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৮) : গরীব-মিসকীন ছাড়া কুরআনে উল্লেখিত আট শ্রেণীর অন্যদের মাঝে কি ফিতরা বণ্টন করা যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : শ্বশুর যদি কোন জিনিস ইচ্ছা করে দেয়, তাহলে সেটা নেয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৪) : হারাম পথে উপার্জিত সম্পদ দ্বারা হজ্জ করলে হজ্জ হবে কি? সন্তানের উপার্জিত হারাম অর্থ দিয়ে পিতা-মাতা হজ্জ করতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৮) : ইলম অর্জন, তাবলীগ ও দাওয়াতের কাজে সফরে যাওয়ার জন্য পিতা-মাতার অনুমতি ছাড়া যাওয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৫) : দাঁত সাজানো কি জায়েয? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৮) : যঈফ হাদীছ কি সর্বক্ষেত্রেই বর্জনীয়? কোন কোন ক্ষেত্রে যঈফ হাদীছের উপর আমল করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৪) : যে ব্যক্তির জানাযা হয়েছে তার গায়েবানা জানাযা পড়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩২) : জর্দা ছাড়া শুধু পান-সুপারি খাওয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (০৯) : কোন নারী একসময় ব্যভিচারে লিপ্ত ছিল। এমন নারীকে বিয়ে করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ