শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন
উত্তর: ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে শপথ করা সাধারণভাবে মাকরূহ, চাই শপথকারী মিথ্যাবাদী হোক কিংবা সত্যবাদী। তবে শপথের ক্ষেত্রে কেউ যদি মিথ্যাবাদী হয়, তাহলে তা মাকরূহে তাহরীমী তথা হারাম হবে এবং এটা কঠিন পাপ ও তার জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে। কেননা এটা একটি মিথ্যা শপথ। যদিও এর মাধ্যমে পণ্যটির অধিক চাহিদা থাকে। যার ফলে তা বিক্রয়ের বরকত ও লাভকে ধ্বংস করে দেয়। আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, اَلْحَلِفُ مُنَفِّقَةٌ لِلسِّلْعَةِ مُمْحِقَةٌ لِلْبَرَكَةِ ‘মিথ্যা কসম পণ্য চালু করে দেয় বটে, কিন্তু বরকত নিশ্চিহ্ন করে দেয়’ (ছহীহ বুখারী, হা/২০৮৭; ছহীহ মুসলিম, হা/১৬০৬)।

আবূ যার (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, নবী করীম (ﷺ) বলেছেন, ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা তিন শ্রেণীর লোকের সাথে কথা বলবেন না, তাদের প্রতি করুণার দৃষ্টি দিবেন না, তাদের পরিশুদ্ধও করবেন না; বরং তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। আবূ যার (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! তারা কারা? তারা তো ব্যর্থ হল তারা তো ক্ষতিগ্রস্ত হল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, টাকনুর নিচে কাপড় পরিধানকারী, অনুগ্রহ করে প্রকাশকারী এবং মিথ্যা কসমের মাধ্যমে মাল বিক্রয়কারী’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১০৬)।

পক্ষান্তরে ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে শপথকারী যদি সত্যবাদী হয়, তাহলে তা মাকরূহে তানযীহি তথা পবিত্রতার দিক থেকে নিন্দনীয় হবে। কেননা অধিকহারে শপথের কারণে পণ্যটির গতিময়তা আনয়ন করে এবং এ ব্যাপারে মানুষকে অধিকহারে উৎসাহিত করা হয়ে থাকে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘নিশ্চয় যারা আল্লাহর প্রতি কৃত অঙ্গীকার ও স্বীয় শপথ সামান্য মূল্যে বিক্রি করে, পরকালে তাদের কোনই অংশ নেই এবং আল্লাহ তাদের সাথে কথা বলবেন না ও ক্বিয়ামত দিবসে তাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করবেন না, তাদেরকে পরিশুদ্ধ করবেন না এবং তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে’ (সূরা আলে ইমরান: ৭৭)।

অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন, احۡفَظُوۡۤا اَیۡمَانَکُمۡ وَ ‘তোমরা নিজেদের কসমসমূহের প্রতি লক্ষ্য রাখ’ (সূরা আল-মায়েদাহ: ৮৯)। মহান আল্লাহ আরো বলেন, ‘তোমরা নিজেদের শপথের জন্য আল্লাহর নামকে লক্ষবস্তু বানায়ো না’ (সূরা আল-বাক্বারাহ: ২২৪)। আবূ ক্বাতাদা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, إِيَّاكُمْ وَكَثْرَةَ الْحَلِفِ فِى الْبَيْعِ فَإِنَّهُ يُنَفِّقُ ثُمَّ يَمْحَقُ ‘ব্যবসার মধ্যে অধিক কসম খাওয়া হতে বেঁচে থাক। কেননা তা দ্বারা মাল বেশী বিক্রি হয় কিন্তু (বারাকাহ) বিনষ্ট হয়ে যায়’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৬০৭; মিশকাত, হা/২৭৯৩)।


প্রশ্নকারী : আব্দুর রাযযাক, উত্তরা, ঢাকা।





প্রশ্ন (৪০) : রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কবর ত্বাওয়াফ করা যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : জনৈক বক্তা বলেন, আলেমের সমাবেশে উপস্থিত হলে এক হাজার রাকা‘আত নফল ছালাত, এক হাজার রোগী দেখার ও এক হাজার জানাযায় শরীক হওয়ার ছওয়াব পাওয়া যায়। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : ইয়াযীদ ইবনু মু‘আবিয়া সম্পর্কে কেমন ধারণা পোষণ করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (১৩) : যমযমের পানি পানের সময় নিম্নের দু‘আ পড়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৯) : কেমন ব্যক্তি চাঁদ দেখার সাক্ষী দিলে ছিয়াম রাখা যাবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৫) : বন্ধক রাখার ছহীহ পদ্ধতি কী? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩৬) : পিতা-মাতার অনুমতি ছাড়া ছেলে বিবাহ করতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (২৬) : গান-বাজনা হারাম মর্মে কোন্ কোন্ দলীল পেশ করতে হবে? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : পুরুষ লোকের দুই হাত ও দুই পায়ে মেহেদী দিতে পারবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৬) : নকশাযুক্ত টাইলস্ বা এ জাতীয় কিছু মসজিদের ফ্লোরে লাগানো যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৭) : টার্কী মুরগীর গোশত খাওয়া যাবে কি? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ
প্রশ্ন (৩০) : ‘ফাজায়েলে আমল’ নামক বইয়ের ৪৭৭ নং পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে যে, ‘শিশুদেরকে সর্বপ্রথম ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু’ বাক্য শিক্ষা দাও এবং মৃত্যুর সময়ও ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু’ তালক্বীন করাও। কারণ যার প্রথম এবং শেষ বাক্য ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’ হবে, সে এক হাজার বছর বেঁচে থাকলেও একটি পাপ সম্পর্কেও তাকে জিজ্ঞেস করা হবে না’। উক্ত বর্ণনাটি কি সঠিক? - ফাতাওয়া বোর্ড, মাসিক আল-ইখলাছ

ফেসবুক পেজ