উত্তর : ফিতরা শুধু গরীব, ফক্বীর-মিসকীনদের জন্যই নির্ধারিত। ইবনু আব্বাস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, রাসূল (ﷺ) ছাদাক্বাতুল ফিতর ফরয করেছেন- অশ্লীল কথা ও বেহুদা কাজ হতে ছিয়ামকে পবিত্র করার জন্য এবং মিসকীনদের খাদ্যের ব্যবস্থার জন্য। যে ব্যক্তি ঈদের ছালাতের পূর্বে তা আদায় করে সেটা ক্ববুল ছাদাক্বা হিসাবে গণ্য হবে। আর যে ব্যক্তি ছালাতের পরে আদায় করে, তা সাধারণ দান হিসাবে গৃহীত হবে’ (আবূ দাঊদ, হা/১৬০৯; ছহীহুল জামি‘, হা/৩৫৭০)।
অতএব এ হাদীছ প্রমাণ করে যে, ‘ছাদাক্বাতুল ফিতর মিসকীনদের খাদ্য স্বরূপ ফরয করা হয়েছে’। সুতরাং এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা অপরিহার্য’ (নাইলুল আওত্বার, ৪/২১৮ পৃ.)। আর নবী (ﷺ) ফিতরাকে যাকাতের মত আটটি খাতে বিভক্ত করেননি। আর তিনি এর আদেশ দিয়েছেন এবং কোন ছাহাবীও এরূপ করেননি (যাদুল মা‘আদ, ২/২১ পৃ.)। শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘দলীলের দিক থেকে এই অভিমতটিই মজবুত’ (মাজমূঊল ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়্যাহ, ২৫/৭১ পৃ.)। ইমাম ইবনুল ক্বাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘নবী (ﷺ)-এর আদর্শ ছিল মিসকীনদেরকে দেয়া। তিনি আট শ্রেণীর মাঝে ভাগ করতেন না এবং সে নির্দেশও দেননি এবং কোন ছাহাবীও এমন কাজ করেননি। ছাহাবীদের পরেও কেউ করেননি’ (যাদুল মা‘আদ, ২/২২ পৃ.)। শায়খ ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘ফিতরা বণ্টনের খাত হচ্ছে গরীব ও মিসকীন’ (মাজমূউ ফাতাওয়া ইবনে বায, ১৪/২০২ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : আব্দুল আযীয, সাতক্ষীরা।
প্র