উত্তর : মহান আল্লাহ বলেন, اِنۡ تُبۡدُوا الصَّدَقٰتِ فَنِعِمَّا ہِیَ وَ اِنۡ تُخۡفُوۡہَا وَ تُؤۡتُوۡہَا الۡفُقَرَآءَ فَہُوَ خَیۡرٌ لَّکُمۡ ‘তোমরা যদি প্রকাশ্যে ছাদাক্বাহ কর, তাহলে ভালো আর যদি তা গোপনে গরীবদের দান কর, তাহলে অতি উত্তম’ (সূরা আল-বাক্বারাহ : ২৭১)। দান করার ক্ষেত্রে ছাহাবীগণ এবং পরবর্তী উত্তম মানুষেরা গোপন পন্থাকেই বেছে নিতেন। যেখানে প্রকাশ্যে দান করাকেই নিরুৎসাহিত করা হয়েছে, সেখানে একজন ব্যক্তি সভাপতি বা প্রধান অতিথি হওয়ার শর্তে দান করবে এটা আদৌ ইসলামী শিষ্টাচার হতে পারে না। এতে করে আরো একটি বিষয় প্রকাশ পাবে যে, যাদের বেশী অর্থ আছে সেই পদগুলোর ক্ষেত্রে তারাই প্রাধান্য পাবে; আল্লাহভীরু, যোগ্যরা বাদ পড়ে যাবে। অথচ আল্লাহ তা‘আলার নিকট সম্মানিত ব্যক্তি তারা যারা আল্লাহকে ভয় করে (সূরা আল-হুজুরাত : ১৩)। তাই দান করার ক্ষেত্রে উক্ত শর্ত পেশ করা যাবে না। তাবূক অভিযানের সময় আবূ বকর, ওমর ও ওছমান (রাযিয়াল্লাহু আনহুম) এদের মাঝে যে প্রতিযোগিতা হয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল আল্লাহর নৈকট্য, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মহব্বত এবং জান্নাত লাভ। যেখানে রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোষণাই দিয়েছিলেন, যারা এতে সহযোগিতা করবে তাদের জন্য জান্নাত (ছহীহ বুখারী, হা/২৭৭৮; আবূ দাঊদ, হা/১৬৭৮)।
প্রশ্নকারী : আতাউর রহমান, জয়পুরহাট।